গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন “আশার আলোসংস্থা” কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা
- প্রকাশিত সময় ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
- / 141
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন “আশার আলোসংস্থা” গোবিন্দগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা। ভুক্তভোগীরা সর্বশান্ত। ভুক্তভোগীরা এর বিরূদ্ধে জোড়ালো ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ডাকবাংলায় প্রধান কার্যালয পরিচয় সম্বলিত সদস্য কল্যাণ ভাতাবহি ও সদস্য কার্ড বানিয়ে কোচাশহর শাখা অফিসের সদস্যদের নিকট থেকে ভর্তি ফি ২২০/=টাকা, সঞ্চয় বাবদ মাস ৫০/=টাকা, বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার নামে ৬০০০/=টাকা, ৫৫০০/=টাকায় দুই বান্ডিল টিন, এককালিন টিনসেড আধা পাকা ঘর দেওয়ার নামে ১৬-২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সদস্যাগণ।
সরজমিনে জানা গেছে, গাইবান্ধা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন আশার আলো সংস্থা -নামের সদস্য বইয়ে এবং সদস্য কল্যাণ ভাতা বহিতে রেজি নং গাই/শহর/১৪৪৩/২০১৭ইং লেখা আছে। কোচাশহর শাখা অফিসের সদস্যদের মধ্যে আরজী শাহাপুর গ্রামের খাতিজা বেগম সদস্য নং ২৪১/৫, শিল্পী বেগম নং ৬৭৫/৫, রাবেয়াবেগম নং ২৮৬/৫, মোঃ বাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগমের নিকট থেকে লোন ও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নামে ৩৫০০০/=টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সদস্য কল্যাণ ভাতাবহি নং ২০১/২ ছিদ্দিকা বেগম স্বামী নুরুল ইসলাম এর নিকট থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে এই প্রতিনিধিকে জানান।
ভুক্তভোগী সদস্যাগণ আরও জানান, মাঠকর্মী রত্না বেগম তাদের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। মাঠকর্মী রত্না বেগম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান ” আমার ৩০০ জন সদস্য ও সদস্যার টাকা শাখা ম্যানেজারের নিকট সটিকভাবে জমাদিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, ম্যানেজার আবু তালেব ও সংস্থার চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সাজু সব টাকা জমা নিয়ে তাকে (রত্না), মাঠকর্মী বাবলী, মুন্না, বিশাল কে সামান্য বেতন দিয়েছে। প্রত্যেক মাঠকর্মীর নিকট থেকে জামানত নিয়েছে ৩০ ত্রিশ হাজার টাকা।
সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সদস্য গ্রুপ তৈরী করে প্রায় ৬০০০/- ছয় হাজার সদস্যের নিকট থেকে ধাপ্পাবাজীর মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সংস্থার চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সাজু কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন” আমরা যা নেই তার দ্বিগুন দেই, অল্পদিনের মধ্যে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে মৌচাক হয়ে যাবে।”
এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রতারনার মাধ্যমে তাদেরকে ঠকানো হয়েছে। তাদের কষ্টের টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন।