নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিশোরীর বড় বোন ঘটনার প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আহত শিখি শরীর বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে কিশোরীর বড় বোনের বাসার তিন তলার ছাদে। কিশোরীর বাসা হবিগঞ্জের মাধবপুরে। গত ১৪ অক্টোবর সে তার বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসে।বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউরোপের একটি গ্রামের তিন তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় কিশোরীর বড় বোন ভাড়া থাকেন।

এরপর থেকে বাসার পাশের মুদির দোকানের রুবেল ভাড়াটিয়ার ছেলে অপু তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব ও দিতো।সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শনিবার ৩১ অক্টোবর রাতে দুইটার দিকে রুবেল আর অপু কিশোরীর দরজায় ধাক্কা এবং দরজা খোলার সাথে সাথে তারা কিশোরীর মুখ চেপে ধরে তিনতলায় ছাদে নিয়ে যায়।

তারপর কিশোরীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালানো হয় কিন্তু ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হলে কিশোরীর কে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনতলার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। কিশোরীর চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ বেরিয়ে আসে এবং জরুরি অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিশোরীর এক হাতের হাড় এবং এক পা ভেঙে যায় এবং তার সাথে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। যার কারণে কিশোরীকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর থানার পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন,ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যার চেষ্টায় কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়।অভিযুক্ত দুজন সহ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি চাপা দেয়ার জন্য অপুর বাবা হাসান মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। অপু এবং রুবেল উভয়ই পলাতক। তাদের খোঁজ এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।