ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার স্বার্থেই শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়নে সরকার ও মালিক পক্ষকে নতুন করে ভাবতে হবে ——— মাহমুদ হোসেন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:০১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
  • / 264

স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিসিক গার্মেন্টস শ্রমিক অভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভাতে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন বলেছেন, মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে গার্মেন্টস শ্রমিকগণ গত ৮মাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করলেও চলমান করোনা দূর্যোগ কালে তাঁরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সরকারী প্রণোদনার টাকায় গার্মেন্টস মালিকগণ আয়েশি জীবন প্রাপ্ত হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যে জোটেনি কানাকড়িও। উপরোন্তু এই দুঃসময়ে বেশ কিছু কারখানাতে প্রাপ্য পাওনা না দিয়ে লে-অফ ও শ্রমিক ছাটাই করে বহু শ্রমিককে পথে বসিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, ২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিকদের অভ্যূত্থানের মধ্যো দিয়ে তৎকালীন সরকার ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে বাধ্য হলেও গত ১৭ বছরে সে চুক্তির আজও পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।

এখনও অধিকাংশ গার্মেন্টস ফেক্টরীতে ৮ ঘন্টার স্থলে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এখনও খর্ব করে রাখা হয়েছে।

ওভার টাইমে দ্বিগুন মজুরী নেই, বাৎসরিক বহু ছুটি-ছাটা এমন কি গ্রাচ্যুইটির পয়সা থেকেও বহু শ্রমিককে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মাহমুদ হোসেন বলেছেন, এভাবে প্রতি পদে পদে শ্রমিকদেরকে শোষন নিপিড়ন করে গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষা করা যাবেনা।

শিল্প বিকাশের স্বার্থেই মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হয়; এই সহজ কথাটা আমাদের গার্মেন্টস মালিকগণ বুঝতেই চান না। মজুরী ও প্রাপ্য পাওনা নির্ধারণে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংরক্ষন করা লাগে; যে কোন বিরোধ মিটাতে বিশ্ব জুড়েই এটা একটি স্বীকৃত পন্থা।

অথচ গার্মেন্টস মালিকরা ট্রেড ইউনিয়নের নাম শুনলেই যেন জুজুর ভয়ে তটস্থ হয়ে পরেন। আর যে কারণেই অসংগঠিত শ্রমিকগণ কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যখন তখন কারখানা বন্ধ করে দিয়ে রাজপথে নেমে আসেন।

আর তাই গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার স্বার্থে সরকার ও গার্মেন্টস মালিক পক্ষকেই শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নে নতুন করে ভাবতে হবে। তিনি ২০০৩ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে সম্পাদীত চুক্তির আলোকে অবিলম্বে দ্রব্য মূল্যের সাথে সংগতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী পুনর্নির্ধারণ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদান, ছাটাই নির্য়াতন বন্ধ করার আহবান করেন এবং ২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিক অভ্যূত্থানের শহীদ আমজাদ হোসেন কামালের হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান।

আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকনেতা হেলিম সরদারের সভাপতিত্বে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জের বিসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সভাতে মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেছেন। সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলী, সাবিনা বেগম, আয়েশা
বেগম, লিটন মিয়া, নবী হোসেন, নুরী বেগম, মোঃ রানা প্রমূখ।

গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার স্বার্থেই শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়নে সরকার ও মালিক পক্ষকে নতুন করে ভাবতে হবে ——— মাহমুদ হোসেন

প্রকাশিত সময় ০৭:০১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিসিক গার্মেন্টস শ্রমিক অভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভাতে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন বলেছেন, মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে গার্মেন্টস শ্রমিকগণ গত ৮মাসে স্মরণকালের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করলেও চলমান করোনা দূর্যোগ কালে তাঁরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সরকারী প্রণোদনার টাকায় গার্মেন্টস মালিকগণ আয়েশি জীবন প্রাপ্ত হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যে জোটেনি কানাকড়িও। উপরোন্তু এই দুঃসময়ে বেশ কিছু কারখানাতে প্রাপ্য পাওনা না দিয়ে লে-অফ ও শ্রমিক ছাটাই করে বহু শ্রমিককে পথে বসিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, ২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিকদের অভ্যূত্থানের মধ্যো দিয়ে তৎকালীন সরকার ও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করতে বাধ্য হলেও গত ১৭ বছরে সে চুক্তির আজও পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।

এখনও অধিকাংশ গার্মেন্টস ফেক্টরীতে ৮ ঘন্টার স্থলে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এখনও খর্ব করে রাখা হয়েছে।

ওভার টাইমে দ্বিগুন মজুরী নেই, বাৎসরিক বহু ছুটি-ছাটা এমন কি গ্রাচ্যুইটির পয়সা থেকেও বহু শ্রমিককে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মাহমুদ হোসেন বলেছেন, এভাবে প্রতি পদে পদে শ্রমিকদেরকে শোষন নিপিড়ন করে গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষা করা যাবেনা।

শিল্প বিকাশের স্বার্থেই মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হয়; এই সহজ কথাটা আমাদের গার্মেন্টস মালিকগণ বুঝতেই চান না। মজুরী ও প্রাপ্য পাওনা নির্ধারণে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার সংরক্ষন করা লাগে; যে কোন বিরোধ মিটাতে বিশ্ব জুড়েই এটা একটি স্বীকৃত পন্থা।

অথচ গার্মেন্টস মালিকরা ট্রেড ইউনিয়নের নাম শুনলেই যেন জুজুর ভয়ে তটস্থ হয়ে পরেন। আর যে কারণেই অসংগঠিত শ্রমিকগণ কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যখন তখন কারখানা বন্ধ করে দিয়ে রাজপথে নেমে আসেন।

আর তাই গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার স্বার্থে সরকার ও গার্মেন্টস মালিক পক্ষকেই শ্রমিকদের পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নে নতুন করে ভাবতে হবে। তিনি ২০০৩ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে সম্পাদীত চুক্তির আলোকে অবিলম্বে দ্রব্য মূল্যের সাথে সংগতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী পুনর্নির্ধারণ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রদান, ছাটাই নির্য়াতন বন্ধ করার আহবান করেন এবং ২০০৩ সালের ৩ নভেম্বর গার্মেন্টস শ্রমিক অভ্যূত্থানের শহীদ আমজাদ হোসেন কামালের হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান।

আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকনেতা হেলিম সরদারের সভাপতিত্বে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জের বিসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সভাতে মাহমুদ হোসেন এসব কথা বলেছেন। সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গার্মেন্টস শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলী, সাবিনা বেগম, আয়েশা
বেগম, লিটন মিয়া, নবী হোসেন, নুরী বেগম, মোঃ রানা প্রমূখ।