পাবনায় ঘনবায়ুচাপ ও বৃষ্টির পানিতে ধানের জমির লাচার অবস্থা
- প্রকাশিত সময় ০৯:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
- / 95
পাবনা প্রতিনিধিঃ প্রাকৃতিক দূর্যোগের দিক থেকে পাবনা জেলা তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় না। সামান্য কিছু যায়গা বন্যায় প্লাবিত হলেও বেশির ভাগ জমিই তৈরি করা হয় উঁচু জায়গা গুলোতে।
এদিকে নতুন ধানের আগাম বার্তা কৃষকের মনে এনেছে আনন্দের অনুভূতি, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে পাকা ধানের ম ম গন্ধ। জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে প্রান্তিক কৃষক। অনেকে ধান মাড়াই করতেও শুরু করেছে।
কিন্তু এরই মধ্যে কিছু কৃষকের মাথায় হাত ও কপালে বারি পড়ার মতো অনুভূতিতে দিন গুনতে হচ্ছে। এ যেনো সৃষ্টিকর্তার অপার লিলাখেলা। শীতকে নিমন্ত্রণ জানায় আর্ষিণ-কার্তিকের প্রবল বায়ুচাপ ও ঘন বৃষ্টি। গত ৫-৭ দিন আগেও এধরনের এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ধান খেত গুলোতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।
গত ৮ নভেম্বর রোববার সকসল ১১ টায় পরিদর্শন পূর্বক দেখা যায় পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া, মনোহরপুর, বহাদুরপুর, মালিগাছা, টেবুনিয়ার বিভিন্ন খেত খামার গুলোর একই অবস্থা।
সরেজমিনে মাঠ প্রদক্ষিণ করে দেখি মনোহর পুরের উত্তর – দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান সড়ককে মাঝে রেখে উভয় পাশে গড়ে ৭ শত বিঘা ধানের খেত অবস্থিত। এসময় উত্তর দিকে অর্থাৎ মনোহরপুর ৫,৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত কয়েকজন কৃষক জানান তাদের ৪০০ বিঘা জমির ধানের আবাদে প্রায় ২০০ বিঘা জমি বায়ুচাপ ও ঘনবৃষ্টি নষ্ট করে দিয়ে গেছে।
মনহর পুর ৪ নং ওয়ার্ডেও একই ঘটনা ঘটেছে। এখানকার একজন কৃষক মোঃ শফিকুল তাদের দুরাবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলেন – এই মাঠে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ৮০-৯০ জন কৃষক ধানের আবাদ করেন। এর মধ্যে প্রায় ২০-২৫ বিঘা জমি ঝড়োবাতাসে নুয়ে পরেছে। এই নুয়ে পরা জমি থেকে এখন লাভের বিপরীতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে সাথে বৃথা গেছে তাদের দিন রাত মিলিয়ে করা পরিশ্রমও।
এয়ময় ভুক্তভোগী কৃষকদের মাঝে ছিলেন মন্টু, রহিম, আসলাম, সাইফুল, মফেজ, আরিফ, ছক্কার আরও অনেকেই।