ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হাসপাতলে শিশু মৃত্যুর পর পৌঁছালেন ডাক্তার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৪১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 128

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনাভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু হাসান নামের এক শিশু মৃত্যুতে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

রবিবার ৮ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাসান ভাঙ্গুড়া পৌরসভার পাথরঘাটা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা রুহল আমিনের ছেলে।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় শিশু হাসানের প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি বিভাগে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন। সেখানকার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় প্যারামেডিক্যাল চিকিৎসক মাসুদ রানা শিশুটিকে বহির্বিভাগে পাঠিয়ে দেন। বহির্বিভাগে টিকিট কাটতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকলে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় টিকিট কেটে শিশুটিকে বহির্বিভাগ থেকে আবার ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসে।

সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্যকে না পেয়ে এবং প্যারামেডিকেল চিকিৎসক মাসুদ রানা চিকিৎসা না দিয়ে শিশুটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি চেম্বারে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু তখনও মেডিক্যাল অফিসার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় শিশুটিকে ভর্তি না করা ও অক্সিজেন দিতে বিলম্ব করা হয়। এভাবে প্রায় ঘন্টা খানেক হাসপাতালে ঘোরাঘুরির পরে শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন দেওয়ায় আগেই শিশুটির সকাল ১১:০০ টার দিকে মৃত্যু হয় ।

এ বিষয়ে প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার মাসুদ রানা বলেন, শিশুটির অবস্থা এতটা খারাপ ছিল পরিবারের লোক আমাকে জানায় নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য দাবি করেন, তিনি হাসপাতালের ওয়াডে পরিদর্শনে ছিলেন। তার আসার আগেই শিশুটি মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, শুনেছি শিশুটিকে বাইরের কোনো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে সকাল ৯:৫৫ মিনিটে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে আসার পরপরই শিশুটি মারা যায়।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হাসপাতলে শিশু মৃত্যুর পর পৌঁছালেন ডাক্তার

প্রকাশিত সময় ১১:৪১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০২০

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনাভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু হাসান নামের এক শিশু মৃত্যুতে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

রবিবার ৮ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাসান ভাঙ্গুড়া পৌরসভার পাথরঘাটা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা রুহল আমিনের ছেলে।

শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় শিশু হাসানের প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি বিভাগে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন। সেখানকার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় প্যারামেডিক্যাল চিকিৎসক মাসুদ রানা শিশুটিকে বহির্বিভাগে পাঠিয়ে দেন। বহির্বিভাগে টিকিট কাটতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থাকলে শিশুটির অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় টিকিট কেটে শিশুটিকে বহির্বিভাগ থেকে আবার ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসে।

সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্যকে না পেয়ে এবং প্যারামেডিকেল চিকিৎসক মাসুদ রানা চিকিৎসা না দিয়ে শিশুটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি চেম্বারে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অক্সিজেন দিতে বলেন। কিন্তু তখনও মেডিক্যাল অফিসার সওগাত এহসান সাম্য না থাকায় শিশুটিকে ভর্তি না করা ও অক্সিজেন দিতে বিলম্ব করা হয়। এভাবে প্রায় ঘন্টা খানেক হাসপাতালে ঘোরাঘুরির পরে শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন দেওয়ায় আগেই শিশুটির সকাল ১১:০০ টার দিকে মৃত্যু হয় ।

এ বিষয়ে প্যারামেডিক্যাল ডাক্তার মাসুদ রানা বলেন, শিশুটির অবস্থা এতটা খারাপ ছিল পরিবারের লোক আমাকে জানায় নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডাক্তার সওগাত এহসান সাম্য দাবি করেন, তিনি হাসপাতালের ওয়াডে পরিদর্শনে ছিলেন। তার আসার আগেই শিশুটি মারা যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, শুনেছি শিশুটিকে বাইরের কোনো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে সকাল ৯:৫৫ মিনিটে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে আসার পরপরই শিশুটি মারা যায়।