জমির সীমানা বিরোধে পাবনার সাঁথিয়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ
- প্রকাশিত সময় ০৬:৪২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
- / 106
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত-১৫। এ ঘটনায় থানা পুলিশ উভয় গ্রুপের আটক-২।
প্রতিপক্ষের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট চালানো অভিযোগ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের নেকবার ও কাজীলাল পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এই জের ধরে শুক্রবার সকালে নেকবার পক্ষের এমদাদুল আফড়া মঙ্গল গ্রাম মাঠে জমি চাষ করতে গেলে জমির সীমানা নির্ধারন নিয়ে কাজীলাল পক্ষের কালু মেম্বরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ধাওয়া দেয়।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেকবার পক্ষের লোকজন মাঠে কাজ করতে গেলে কাজীলাল পক্ষ সংগঠিত হয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নেকবার পক্ষের লোকজনের পিছু হটলে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা কমপক্ষে ৫/৬টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলা চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলাগুলি হয়েছে বলে জানা যায়।
এতে বাধা দিতে গিয়ে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতেেদর সাঁথিয়া, বেড়া, পাবনা ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতে আওয়ালের ছেলে আরিফ গুলিবিদ্ধসহ নেকবার পক্ষের আহতরা হলো বেল্লাল, জলিল, রহমান, ওসমান, সুরাই, ইমদাদুল, নেক্বার, আলিমুদ্দিন, নজরুল, আলতাব, মাইদুল, জাহাঙ্গীর, সোহেল, আবুল, একরাম, রেহেনা।
কাজীলালপক্ষের আহতরা হল কাজীলাল, আরিফ, জমিন, তোফাজ্জল। নেকবার পক্ষের বেল্লালের স্ত্রী সাথী খাতুন, মনোয়ারা খাতুন জানান, প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে বেলাল, জলিল, সোবহান, আয়ুব আলী, ইসলাম, আজিত, মোহাম্মদ আলীর বাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় নগদ ২ লক্ষ টাকা, স্বণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানা পুলিশ কাজীলাল পক্ষের কালু মেম্বার ও নেকবারের পক্ষের বেলালকে আটক করেছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দুদফা পুলিশ পাঠিয়েছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।