পাবনার ঈশ্বরদীতে নিরাপদ ফসলের উৎপাদনের লক্ষ্যে আইপিএম মডেল ইউনিয়নের প্রচারণা সভা
- প্রকাশিত সময় ০৯:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
- / 110
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ১৬ নভেম্বর আইপিএম মডেল ইউনিয়নের প্রাচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান শরীফ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: আব্দুল কাদের।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার কৃষিবিদ ড.মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাকিলা জাহান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদা মোতমাইন্না।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. এখলাছুর রহমান, পাবনার কৃষি তথ্য সার্ভিসের এআইসিও মো. জুলফিকার আলী ও আশিষ তরফদার এবং ইউনিয়নের র্কমরত উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতাগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুধী জনদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কম খরচে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ২৫ জন দলভূক্ত কৃষকদের ২০ শতাংশ হারে জমিতে ফুল কপি, বাধাকপি, সীম, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি প্রর্দশনী স্থাপন করা হয়েছে।
কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরোলস কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোপরি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরাপদ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যেহেতু লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নটিকে আইপিএম মডেল হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, সেহেতু এর উন্নয়নে ধারা অব্যহত রাখেতে উপস্থিত কৃষক- কৃষনীদের অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: আব্দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের মুখে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি তুলে দিতে নিরাপদ উপায়ে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আর নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদনের জন্য আইপিএম পদ্ধতির বিকল্প নেই। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় এবং কোনো রাসায়নিক দ্রব্য চাষ কাজে ব্যবহার করা হয় না। এতে ফসল দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না ও নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন অনেকটা নিশ্চিত হয়।
কৃষক-কৃষানী না বুঝে ফসলক্ষেতে অধিক পরিমানে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে নিরাপদ ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আইপিএম মডেল ইউনিয়নের প্রচারণা সভায় অংশগ্রহনকরী কৃষক-কৃষানীদের নিরাপদ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে সঞ্চলনা করেন ঈশ্বরদীর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদা মোতমাইন্না। অন্যান্যদের মধ্যে সাংবদিক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রধান অতিথি ও আগত সুধীজনসহ কৃষকদের চাষকৃত মাঠে নিরাপদ সবজি ক্ষেত পরির্দশন করেন।
আরও পড়ুনঃ পাবনায় “ কৃষি উৎপাদনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার” বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত