ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীর বাঘায় ব্যস্ত লেপ-তোশক কারিগররা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 110

হাবিল উদ্দিন, বাঘা, রাজশাহীঃ ভোরে কুয়াশায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণা, ঘাস, লতা, পাতাকে সিক্ত করে তুলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে একটু একটু করে শীতের আগমনবার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। সকাল বেলায় দেখা মিলছে কুয়াশার। শেষ রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। যেন হালকা কাঁথা দিয়ে আর শরীর থেকে শীত নিবারন করা যাচ্ছে না।

সামনে শীত। আর শীতের এমন আগমনে লেপ-তোশক কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউবা বাক্সবন্দী পুরোনো লেপ বের করে দোকানে নিয়ে আসছেন মেরামত করার জন্য, আবার কেউ কেউ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নতুন লেপ তৈরির জন্য ভিড় করছেন লেপ-তোশক তৈরি করার দোকানগুলোতে।

স্বাভাবিক ভাবেই অনেক পরিবার শীত নিবারনে এখনই বের করে ফেলেছেন গত বছরে তুলে রাখা গরম কাপড়।বিকাল হলেই শৈত্য হাওয়া আর সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশা ঝরতে শুরু করেছে।

মধ্যরাতে টিনের চালের উপর টিপটাপ যেন জানান দিচ্ছে শীত মৌসূম। শীতের আগমণে রাত ১০টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূতি হচ্ছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শীত মৌসুম আসলেই লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছে ক্রেতারা।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুই, সুতা, হাতে নিয়ে লেপ আর তোশক সেলাই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোশকের কারিগররা।

শীতের বার্তা বইছে,রাতে পড়ছে শিশির বিন্দু। আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে আকাশ। তাই শুই সুতা হাতে লেপ তোশকের কারিগররা এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন,লেপ তোশক তৈরি করার কাজে।অন্যান্য মৌসূমে কারিগররা অলস সময় পার করলেও এখন যেন ব্যস্ততার শেষ নেই। তাদের এখন ঈদ মৌসূম। শীতের এই ৪\৫ মাস চলবে লেপ-তোশক তৈরীর কাজ।

কারিগররা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাড়ায় মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এবং দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দোকানের অর্ডারের কাজ করছেন তারা। লেপ তৈরীতে ২জন কারিগরের সময় লাগে ৩\৪ঘন্টা। এই ভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে ২-৩টি লেপ তৈরী করতে পারে।

লেপ-তোশক তৈরী করতে তুলাসহ যেসব মালের প্রয়োজন হয় তার দাম এ বছর সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান কারিগররা। ব্যবসায়ীরাও এখন লেপ-তোশক ও বালিশ নিয়ে প্রতিদিন গ্রামাঞ্চলে বিক্রয় করছেন।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লেপ-তোশক দোকানীরা জানান, শীতের শুরুতে আমাদের বেচা-কেনা বেশী হয়ে থাকে।প্রতিটি দোকানে উপচেপড়া ভিড় জমতে থাকে। লেপ-তোশকের কারিগরদের শ্রম হিসেবে মাথা-পিছু ৩\৪ শত টাকা মজুরি দেওয়া হয়। তারা প্রতিদিন ২\৩ টা লেপ ও তোশক সেলাই করে থাকেন। আবার শীত মৌসুম চলে গেলে বেচা-কেনা ঝিমিয়ে পড়ে।

রাজশাহীর বাঘায় ব্যস্ত লেপ-তোশক কারিগররা

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০

হাবিল উদ্দিন, বাঘা, রাজশাহীঃ ভোরে কুয়াশায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণা, ঘাস, লতা, পাতাকে সিক্ত করে তুলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে একটু একটু করে শীতের আগমনবার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। সকাল বেলায় দেখা মিলছে কুয়াশার। শেষ রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। যেন হালকা কাঁথা দিয়ে আর শরীর থেকে শীত নিবারন করা যাচ্ছে না।

সামনে শীত। আর শীতের এমন আগমনে লেপ-তোশক কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউবা বাক্সবন্দী পুরোনো লেপ বের করে দোকানে নিয়ে আসছেন মেরামত করার জন্য, আবার কেউ কেউ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নতুন লেপ তৈরির জন্য ভিড় করছেন লেপ-তোশক তৈরি করার দোকানগুলোতে।

স্বাভাবিক ভাবেই অনেক পরিবার শীত নিবারনে এখনই বের করে ফেলেছেন গত বছরে তুলে রাখা গরম কাপড়।বিকাল হলেই শৈত্য হাওয়া আর সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশা ঝরতে শুরু করেছে।

মধ্যরাতে টিনের চালের উপর টিপটাপ যেন জানান দিচ্ছে শীত মৌসূম। শীতের আগমণে রাত ১০টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূতি হচ্ছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় শীত মৌসুম আসলেই লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছে ক্রেতারা।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুই, সুতা, হাতে নিয়ে লেপ আর তোশক সেলাই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোশকের কারিগররা।

শীতের বার্তা বইছে,রাতে পড়ছে শিশির বিন্দু। আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে আকাশ। তাই শুই সুতা হাতে লেপ তোশকের কারিগররা এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন,লেপ তোশক তৈরি করার কাজে।অন্যান্য মৌসূমে কারিগররা অলস সময় পার করলেও এখন যেন ব্যস্ততার শেষ নেই। তাদের এখন ঈদ মৌসূম। শীতের এই ৪\৫ মাস চলবে লেপ-তোশক তৈরীর কাজ।

কারিগররা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাড়ায় মহল্লায় ঘুরে ঘুরে এবং দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দোকানের অর্ডারের কাজ করছেন তারা। লেপ তৈরীতে ২জন কারিগরের সময় লাগে ৩\৪ঘন্টা। এই ভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে ২-৩টি লেপ তৈরী করতে পারে।

লেপ-তোশক তৈরী করতে তুলাসহ যেসব মালের প্রয়োজন হয় তার দাম এ বছর সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান কারিগররা। ব্যবসায়ীরাও এখন লেপ-তোশক ও বালিশ নিয়ে প্রতিদিন গ্রামাঞ্চলে বিক্রয় করছেন।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লেপ-তোশক দোকানীরা জানান, শীতের শুরুতে আমাদের বেচা-কেনা বেশী হয়ে থাকে।প্রতিটি দোকানে উপচেপড়া ভিড় জমতে থাকে। লেপ-তোশকের কারিগরদের শ্রম হিসেবে মাথা-পিছু ৩\৪ শত টাকা মজুরি দেওয়া হয়। তারা প্রতিদিন ২\৩ টা লেপ ও তোশক সেলাই করে থাকেন। আবার শীত মৌসুম চলে গেলে বেচা-কেনা ঝিমিয়ে পড়ে।