পাবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
- প্রকাশিত সময় ০৭:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
- / 108
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রফেসর পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছে। রবিবার (১৩ই ডিসেম্বর) হাইকোর্ট এই স্থগিতাদেশ দেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ ও গণিত বিভাগে শূন্য পদে প্রফেসর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী তার পছন্দের চার শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফজলুল হক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পরিবহণ প্রশাসক জিয়া পরিষদ নেতা ড. মো. কামরুজ্জামান, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হারুনার রশিদকে প্রফেসরের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নীতিমালা লঙ্ঘন করে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এই নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে পাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম গত ৫ নভেম্বর ক্যম্পাসে ভিসি এম. রোস্তম আলীর দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এতে ভিসি কর্ণপাত না করায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিট চলা অবস্থায় অতি গোপনে তড়িঘড়ি করে ১২ ডিসেম্বর অনলাইনের (জুম) মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেন। রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামানের আদালত এই নিয়োগের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
মামলার আইনজীবী মাহমুদ হাসান রানা জানান, আমরা স্থগিতাদেশের কপি পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি এই নিয়োগ পক্রিয়া চলমান রাখে, তাহলে আইনকে অমান্য করা হবে।
রিটকারী শিক্ষক ড. এম আবদুল আলীম বলেন, গত ৫ নভেম্বর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে একক অবস্থান-কর্মসূচি পালন করি। সেখানে দাবি করা হয়েছিল নীতিমালা লঙ্ঘন করে দেওয়া শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে হবে।
কিন্তু উপাচার্য মহোদয় তা আমলে না নেওয়ায় আমি হাইকোর্টে রিট করি। নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ আমার দাবির যৌক্তিকতাই প্রতিষ্ঠিত হলো।
বিষয়টি নিয়ে পাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর ড. রোস্তম আলী ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রম্যের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।