শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় পাবনায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
- প্রকাশিত সময় ০৮:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
- / 106
পাবনা প্রতিনিধিঃ শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পাবনায় দেশবরেণ্য শিল্পদ্যোক্তা স্কয়ার গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সকালে পাবনায় বৈকন্ঠপুরের এষ্ট্রাস খামার বাড়ীতে স্যামসন এইচ চৌধুরী সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান স্কয়ার মাতা অনিতা চৌধুরীসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া ধর্মীয় প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পাবনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাব অডিটরিয়ামে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর কণিষ্ট পুত্র ও স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সিনিয়র সহ সভাপতি মীর্জা আজাদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, প্রমুখ।
স্মরণসভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। স্মরণ সভার শুরুতে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর কণিষ্ট পুত্র ও স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু স্মরণসভায় তার বক্তব্যে বলেন, আমার পিতা শৃংখলা বা নিয়মানুবর্তিতার কথা মুখে বলতেন না। তিনি ছিলেন পরিপূর্ণভাবে একজন ডিসিপ্লিনড মানুষ। একজন সফল, সুখী এবং পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে। আর প্রয়ান দিবসে সবাইকে নিয়ে আমরা তার সফলতার গল্প, সততার গল্প সহ দেশপ্রেমের কথাগুলো স্মরণ করি।
নিজের বাবা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। দেশের উন্নয়নে, মানুষের উন্নয়নে তিনি সবসময় নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা করতেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার কাশীয়ানী থানার আড়ুকাকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। স্যামসন চৌধুরী ভারতে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার বাবা ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ছিলেন একটি ফার্মেসীর মেডিকেল অফিসার।