ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা দখলের জোড়া খুনের ঘটনায় আটক-১

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / 90

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই বাজারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষে দুইজন খুনের ঘটনায় মঞ্জিলা নামক এক আসামী আটক। 

সাঁথিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবারের সংঘর্ষে দুই খুনের ঘটনায় নিহত মোন্নাফের স্ত্রী রুলিনা খাতুন ঐদিন রাতেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ১৬/০১/২১ইং তারিখে এই মামলায় ১৯ জন নামিক আসামীসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়।

শনিবার বিকালেই মামলার এজাহার ভুক্ত ২ নং আসামী মঞ্জিলা (৪৫) নামক সংঘর্ষের মূলহোতা বাচ্চুর স্ত্রীকে আটক করে থানা পুলিশ। রবিবার তাকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে ক্রয়কৃত জমিতে শনিবার সকালে ঘর তুলতে যান উপজেলার নাড়িয়াগদাই গ্রামের শাখাওয়াতের ছেলে মোন্নাফ। এসময় পতিপক্ষ বাচ্চুর গ্রুপের সিদ্দিকের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশী তৈরী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পাইকশা গ্রামের শামসুলের ছেলে নাছির হোসেন (৩৫) কে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। আহত মোন্নাফকে সাঁথিয়া হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত মোুন্নাফ ও নাছির একে অপরের মামাতো ফুফাতো ভাই।

মোন্নাফের স্ত্রী রুলিনা খাতুন জানান, আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র মূলক প্রতিপক্ষ বাচ্চু গ্রুপ খুন করেছে। আমি এ খুনের বিচার চাই। তিনি দাবি করেন জমির বিরোধের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছিলাম। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল রায়হান স্যার জমির কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।

পাইকশা গ্রামের মোুন্নাফের মামা আব্দুল করিম জানান, আমরা সকাল থেকেই ঘরের কাজ করছিলাম। এমন সময় সিদ্দিকের সাথে ১০/১২জন লোক এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। মোুন্নাফ তাদের জানায়, আমার জমিতে আমি ঘর করছি। কাজ বন্ধ করব কেন।

এসময় তারা মোন্নাফের উপর ঝাপিয়ে পড়ে মারপিট করতে থাকে। কান্না জড়িত কন্ঠে করিম জানান, শত চেষ্টা করেও আমি ভাগ্নেকে রক্ষা করতে পারলাম না।

সাাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, দুইজন খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামীকে আটক করেছি। বাঁকী আসামীদের আটক করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে।

পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা দখলের জোড়া খুনের ঘটনায় আটক-১

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাড়িয়াগদাই বাজারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষে দুইজন খুনের ঘটনায় মঞ্জিলা নামক এক আসামী আটক। 

সাঁথিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবারের সংঘর্ষে দুই খুনের ঘটনায় নিহত মোন্নাফের স্ত্রী রুলিনা খাতুন ঐদিন রাতেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ১৬/০১/২১ইং তারিখে এই মামলায় ১৯ জন নামিক আসামীসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়।

শনিবার বিকালেই মামলার এজাহার ভুক্ত ২ নং আসামী মঞ্জিলা (৪৫) নামক সংঘর্ষের মূলহোতা বাচ্চুর স্ত্রীকে আটক করে থানা পুলিশ। রবিবার তাকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ মাস পূর্বে ক্রয়কৃত জমিতে শনিবার সকালে ঘর তুলতে যান উপজেলার নাড়িয়াগদাই গ্রামের শাখাওয়াতের ছেলে মোন্নাফ। এসময় পতিপক্ষ বাচ্চুর গ্রুপের সিদ্দিকের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশী তৈরী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে পাইকশা গ্রামের শামসুলের ছেলে নাছির হোসেন (৩৫) কে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। আহত মোন্নাফকে সাঁথিয়া হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত মোুন্নাফ ও নাছির একে অপরের মামাতো ফুফাতো ভাই।

মোন্নাফের স্ত্রী রুলিনা খাতুন জানান, আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র মূলক প্রতিপক্ষ বাচ্চু গ্রুপ খুন করেছে। আমি এ খুনের বিচার চাই। তিনি দাবি করেন জমির বিরোধের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছিলাম। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল রায়হান স্যার জমির কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।

পাইকশা গ্রামের মোুন্নাফের মামা আব্দুল করিম জানান, আমরা সকাল থেকেই ঘরের কাজ করছিলাম। এমন সময় সিদ্দিকের সাথে ১০/১২জন লোক এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। মোুন্নাফ তাদের জানায়, আমার জমিতে আমি ঘর করছি। কাজ বন্ধ করব কেন।

এসময় তারা মোন্নাফের উপর ঝাপিয়ে পড়ে মারপিট করতে থাকে। কান্না জড়িত কন্ঠে করিম জানান, শত চেষ্টা করেও আমি ভাগ্নেকে রক্ষা করতে পারলাম না।

সাাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, দুইজন খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামীকে আটক করেছি। বাঁকী আসামীদের আটক করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে।