ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ফসলি জমিতে পুকুর খননে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / 139

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ও অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ফলে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি।

এ সব মাটি স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালতের নিষেধজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করেই দেদারচ্ছে চলছে পুকুর খননের কার্যক্রম। এক্সেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে।

খননের মাটি ট্যাক, কুতুব (কুত্তা) গাড়ী অথবা হলার ট্রোলি গাড়ী করে তা ইট ভাটায় বা অন্য স্থানে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মাটি বহনের অতিরিক্ত লোডবাহী ট্র্যাক, হ্যাড়ো ও কুতুবের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, উপজেলা ও জেলা সংযোগ সড়কসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক।

সরেজমিন দেখা যায় দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল গ্রামের মৃতঃ জাহের আলী ব্যাপারী ছেলে আব্দুল মান্নান ব্যাপারী ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের পাটুল বাজারের পূর্ব দিকে মাটি চকের মৌজা একাধিক ফসলী জমি খনন করে পুকুর তৈরী করছেন।

অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড়বিশাকোল গ্রামের হুজুর আলী প্রামানিক বাশবাড়িয়া মৌজার কামারী বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন। ফসলী জমি পুকুর তৈরীর জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, নিজের জমি পুকুর খনন করতে প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে তাদের জানা নেই।

পাটুল ও নৌবাড়িয়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, মাটি বহনের ট্র্যাক,হ্যাড়ো ও কুত্তা গাড়ীর চাকায় গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা গুলি একদম নষ্ট হচ্ছে। ফলে পায়ে হেঁটে অর্থবা গ্রামীন ভ্যান- অটোভ্যান ও নছিমন চলাচলে অসুবিধা ও হরহামেশেই দূর্ঘটনা হচ্ছে। পুকুর খনন কারী জমির মালিক ও মাটি ব্যাবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হাবিব জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণির পরিবর্তন করা যাবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, ভূমির স্তর পরিবর্তন করতে হলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিতে হয়। এর বাইরে কেউ ফসলি জমিতে পুকুর খনন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে দু-এক স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ফসলি জমিতে পুকুর খননে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি

প্রকাশিত সময় ১০:৪৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ও অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। ফলে সংকুচিত হচ্ছে ফসলি জমি।

এ সব মাটি স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালতের নিষেধজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করেই দেদারচ্ছে চলছে পুকুর খননের কার্যক্রম। এক্সেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে।

খননের মাটি ট্যাক, কুতুব (কুত্তা) গাড়ী অথবা হলার ট্রোলি গাড়ী করে তা ইট ভাটায় বা অন্য স্থানে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মাটি বহনের অতিরিক্ত লোডবাহী ট্র্যাক, হ্যাড়ো ও কুতুবের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, উপজেলা ও জেলা সংযোগ সড়কসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক।

সরেজমিন দেখা যায় দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল গ্রামের মৃতঃ জাহের আলী ব্যাপারী ছেলে আব্দুল মান্নান ব্যাপারী ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের পাটুল বাজারের পূর্ব দিকে মাটি চকের মৌজা একাধিক ফসলী জমি খনন করে পুকুর তৈরী করছেন।

অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড়বিশাকোল গ্রামের হুজুর আলী প্রামানিক বাশবাড়িয়া মৌজার কামারী বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন। ফসলী জমি পুকুর তৈরীর জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, নিজের জমি পুকুর খনন করতে প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে তাদের জানা নেই।

পাটুল ও নৌবাড়িয়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, মাটি বহনের ট্র্যাক,হ্যাড়ো ও কুত্তা গাড়ীর চাকায় গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা গুলি একদম নষ্ট হচ্ছে। ফলে পায়ে হেঁটে অর্থবা গ্রামীন ভ্যান- অটোভ্যান ও নছিমন চলাচলে অসুবিধা ও হরহামেশেই দূর্ঘটনা হচ্ছে। পুকুর খনন কারী জমির মালিক ও মাটি ব্যাবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হাবিব জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণির পরিবর্তন করা যাবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, ভূমির স্তর পরিবর্তন করতে হলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিতে হয়। এর বাইরে কেউ ফসলি জমিতে পুকুর খনন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে দু-এক স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।