ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 120

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ সকলে অভিনয় ভাবলেও ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে বিষপানে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মহিউদ্দিন মহি (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যার সময় বলেন,‘চেক নয়, আমার টাকা নগদ ফেরত দিতে হবে, না দিলে আমি এখনই বিষপান করবো।’ বিষের শিশি হাতে নিয়ে এ ঘোষণার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে ভেবেছিল, তিনি অভিনয় করছেন। তবে সেটি অভিনয় ছিল না, সত্যিই বিষপান করে আত্মহত্যা করলেন মহিউদ্দিন মহি (৩৫) নামের এই যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা তিলকপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের নিজ বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে সকলের সামনে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা তিলকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মহি। সেখানে ঈশ্বরদী থানার একজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও বিষপানের সময় নয়, বিষপানের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মৃত মহি পরিবারের সদস্য, স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপপুর প্রকল্পে ভাড়া খাটানোর ব্যবসায় মাটি কাটার ভেকু মেশিন কেনার জন্য ব্যবাসায়ীক পার্টনার হিসেবে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম হোসেনকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা দেন মহিউদ্দিন মহি। কিছুদিন আগে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার পূর্বনির্ধারিত সময় পার হয়েছে।

এরপরও টাকা ফেরত না দেওয়ায় মেশিন আটকে রেখে টাকার জন্য সেলিমকে চাপ দেন মহি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এরই জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেলিমের লোকজন ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে মহি বাড়িতে যান। এসময় মহি চেকের বদলে নগদ টাকার দাবি করেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) মহিউদ্দিনের লাশ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মনন ফকির নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, মহি জমি-বাড়ি সব বিক্রি করে ২০ লাখ টাকারও বেশি সেলিম নামে টাঙ্গাইলের এক ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন। টাকা ফেরত না পেয়ে এবং সর্বস্ব হারিয়ে তিনি বিষন্ন হয়ে পড়েছিলেন। টাকার চাপ সইতে না পেরেই মহি হয়তো বিষপান করেছেন।

ঈশ্বরদী থানার সাব-ইন্সপেক্টর কান্তি কুমার মোদক বলেন, মহিউদ্দিন মহি কী খেয়েছিল তা আমি জানি না। তিনি কিছু একটা খেয়ে মাতলামি করছেন, এমন খবর পেয়ে আমরা তাকে একরকম জোর করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দিয়েছি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মহির ব্যবসায়িক পার্টনার সেলিম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, তিনি আমাকে টাকা দিয়েছিলেন। বুধবার ব্যাংকে নগদ টাকা না পেয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তাকে দেওয়া হয়। তবে তিনি চেক নয়, নগদ টাকার দাবি করেন। আত্মহত্যার কারণ আমি জানি না।

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত সময় ১০:০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ সকলে অভিনয় ভাবলেও ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে বিষপানে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মহিউদ্দিন মহি (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যার সময় বলেন,‘চেক নয়, আমার টাকা নগদ ফেরত দিতে হবে, না দিলে আমি এখনই বিষপান করবো।’ বিষের শিশি হাতে নিয়ে এ ঘোষণার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে ভেবেছিল, তিনি অভিনয় করছেন। তবে সেটি অভিনয় ছিল না, সত্যিই বিষপান করে আত্মহত্যা করলেন মহিউদ্দিন মহি (৩৫) নামের এই যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা তিলকপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের নিজ বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, ধার দেওয়া টাকা ফেরত না পেয়ে সকলের সামনে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা তিলকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মহি। সেখানে ঈশ্বরদী থানার একজন পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও বিষপানের সময় নয়, বিষপানের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মৃত মহি পরিবারের সদস্য, স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপপুর প্রকল্পে ভাড়া খাটানোর ব্যবসায় মাটি কাটার ভেকু মেশিন কেনার জন্য ব্যবাসায়ীক পার্টনার হিসেবে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম হোসেনকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা দেন মহিউদ্দিন মহি। কিছুদিন আগে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার পূর্বনির্ধারিত সময় পার হয়েছে।

এরপরও টাকা ফেরত না দেওয়ায় মেশিন আটকে রেখে টাকার জন্য সেলিমকে চাপ দেন মহি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এরই জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেলিমের লোকজন ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে মহি বাড়িতে যান। এসময় মহি চেকের বদলে নগদ টাকার দাবি করেন।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) মহিউদ্দিনের লাশ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মনন ফকির নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, মহি জমি-বাড়ি সব বিক্রি করে ২০ লাখ টাকারও বেশি সেলিম নামে টাঙ্গাইলের এক ব্যবসায়ীকে দিয়েছিলেন। টাকা ফেরত না পেয়ে এবং সর্বস্ব হারিয়ে তিনি বিষন্ন হয়ে পড়েছিলেন। টাকার চাপ সইতে না পেরেই মহি হয়তো বিষপান করেছেন।

ঈশ্বরদী থানার সাব-ইন্সপেক্টর কান্তি কুমার মোদক বলেন, মহিউদ্দিন মহি কী খেয়েছিল তা আমি জানি না। তিনি কিছু একটা খেয়ে মাতলামি করছেন, এমন খবর পেয়ে আমরা তাকে একরকম জোর করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দিয়েছি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

মহির ব্যবসায়িক পার্টনার সেলিম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, তিনি আমাকে টাকা দিয়েছিলেন। বুধবার ব্যাংকে নগদ টাকা না পেয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তাকে দেওয়া হয়। তবে তিনি চেক নয়, নগদ টাকার দাবি করেন। আত্মহত্যার কারণ আমি জানি না।