ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

উল্লাপাড়ায় অবাধে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানো , প্রশাসনের নেই নজরদারি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:২৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 103

উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ ) প্রতিনিধি: সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অধিকাংশ ইটভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ফলজ ও বনজ গাছ উজাড় হচ্ছে।

পরিবেশ বান্ধব বলা হলেও আড়ালে গাছ  কেটে ও নিম্নমানের কয়লা দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ওই সব ভাটায় । ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়া দূষণে আশপাশের বাড়িঘর, ফসলি জমি, ফলের গাছ, জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। জনবসতি ও ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সব মহলকে ম্যানেজ করেই গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক ইটভাটা ।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইট ভাটার ধোঁয়ার কারণে রাতের বেলা আমরা ঘুমাতে পারছি না। বাচ্চারা শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে পড়ছে। সেই সাথে, এলাকাতে গাছপালা, ফসলি জমিজমা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষতি হচ্ছে।

ফসলি জমি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ করলেও সেগুলোর অধিকাংশ আবারো নতুন করে গড়ে উঠছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই উচ্ছেদ করা অবৈধ ইট ভাটা আবারো নতুন করে কিভাবে গড়ে উঠছে,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। ইটভাটায় দুই একটি বন্ধে তৎপরতা দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময় নেই প্রশাসনের নজরদারি ।

কতটা ইটভাটা পরিবেশবান্ধব ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম এবং সেদিকে কতটুকু নজরদারি আছে প্রশাসনের । স্থানীয় কৃষকরা জানান , ইট ভাটার কারণে গত ১০ বছরের বেশি সময় থেকে ওই এলাকায় কমেছে ফসলি জমি এবং ফসলের উৎপাদন। ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ধোঁয়ায় লোকজন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যায় ভুগছে । প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা এসব করে গেলেও দেখার কেউ নেই । সূত্র বলছে, প্রতি বছর অক্টোবর মাসে ইটভাটাগুলোর কাজ শুরু হয় এবং তা চলে মে-জুন পর্যন্ত। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ইটভাটায় ১২-১৩ রাউন্ড ইট পোড়ানো হয়।

প্রত্যেক রাউন্ডে ৩/৪ লাখ ইট পোড়ানো হয়। আর প্রত্যেক ইটভাটায় বছরে গড়ে এক কোটি ইট উৎপাদন হয়।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি রাউন্ড ইট পোড়াতে প্রায় ৮-৯ হাজার মণ  জ্বালানি কাঠ লাগে এবং সেই হিসাবে এক মৌসুমে একটি ইটভাটায় গড়ে কাঠ পোড়ে প্রায় এক লাখ মণ। উল্লাপাড়া ইউএনও অফিসসূত্রে জানাযায়, বর্তমানে উপজেলায় ২৬টি ইটভাটা চলমান
রয়েছে

আরও পড়ুনঃ বাঘায় যুবকের লাশ উদ্ধার

                         শাশুড়ির অত্যাচার ও স্বামীর ওপর অভিমানে গৃহবধুর আত্মহত্যা

 

উল্লাপাড়ায় অবাধে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানো , প্রশাসনের নেই নজরদারি

প্রকাশিত সময় ০৪:২৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ ) প্রতিনিধি: সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অধিকাংশ ইটভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় ফলজ ও বনজ গাছ উজাড় হচ্ছে।

পরিবেশ বান্ধব বলা হলেও আড়ালে গাছ  কেটে ও নিম্নমানের কয়লা দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ওই সব ভাটায় । ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়া দূষণে আশপাশের বাড়িঘর, ফসলি জমি, ফলের গাছ, জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। জনবসতি ও ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সব মহলকে ম্যানেজ করেই গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক ইটভাটা ।

স্থানীয় লোকজন জানান, ইট ভাটার ধোঁয়ার কারণে রাতের বেলা আমরা ঘুমাতে পারছি না। বাচ্চারা শ্বাসকষ্টসহ নানা অসুখে পড়ছে। সেই সাথে, এলাকাতে গাছপালা, ফসলি জমিজমা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিসের ক্ষতি হচ্ছে।

ফসলি জমি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ করলেও সেগুলোর অধিকাংশ আবারো নতুন করে গড়ে উঠছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই উচ্ছেদ করা অবৈধ ইট ভাটা আবারো নতুন করে কিভাবে গড়ে উঠছে,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। ইটভাটায় দুই একটি বন্ধে তৎপরতা দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময় নেই প্রশাসনের নজরদারি ।

কতটা ইটভাটা পরিবেশবান্ধব ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম এবং সেদিকে কতটুকু নজরদারি আছে প্রশাসনের । স্থানীয় কৃষকরা জানান , ইট ভাটার কারণে গত ১০ বছরের বেশি সময় থেকে ওই এলাকায় কমেছে ফসলি জমি এবং ফসলের উৎপাদন। ইটভাটার ধোঁয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ধোঁয়ায় লোকজন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যায় ভুগছে । প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকরা এসব করে গেলেও দেখার কেউ নেই । সূত্র বলছে, প্রতি বছর অক্টোবর মাসে ইটভাটাগুলোর কাজ শুরু হয় এবং তা চলে মে-জুন পর্যন্ত। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি ইটভাটায় ১২-১৩ রাউন্ড ইট পোড়ানো হয়।

প্রত্যেক রাউন্ডে ৩/৪ লাখ ইট পোড়ানো হয়। আর প্রত্যেক ইটভাটায় বছরে গড়ে এক কোটি ইট উৎপাদন হয়।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি রাউন্ড ইট পোড়াতে প্রায় ৮-৯ হাজার মণ  জ্বালানি কাঠ লাগে এবং সেই হিসাবে এক মৌসুমে একটি ইটভাটায় গড়ে কাঠ পোড়ে প্রায় এক লাখ মণ। উল্লাপাড়া ইউএনও অফিসসূত্রে জানাযায়, বর্তমানে উপজেলায় ২৬টি ইটভাটা চলমান
রয়েছে

আরও পড়ুনঃ বাঘায় যুবকের লাশ উদ্ধার

                         শাশুড়ির অত্যাচার ও স্বামীর ওপর অভিমানে গৃহবধুর আত্মহত্যা