ঈশ্বরদীতে করোনার টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন- এম.পি নুরুজ্জামান বিশ্বাস
- প্রকাশিত সময় ০৮:১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 118
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এর টিকা গ্রহনের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরদীতে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতেও একযোগে শুরু হলো করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম।
এসময় সাবেক সংসদ সদস্য মনজুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি.এম.ইমরুল কায়েস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এফ এ আসমা খান, পরিবার পরিকল্পনার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: আব্দুল বাতেন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডুসহ আরো অনেকেই টিকা গ্রহন করেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথম ধাপে ঈশ্বরদীতে ১০ হাজার ৪৪৫ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। দুই ডোজ হিসেবে ৫ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। বেক্সিমকো ফার্মার একটি ভ্যানে এসব ভ্যাকসিন পৌঁছায় ঈশ্বরদীতে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে টিকা নিতে আগ্রহী ৩৫০ জন মানুষ সুরক্ষা APPS এর মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। এদিন ১০০ জনকে টিকাদানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসময় এমপি নূরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বাঙ্গালী জাতির সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে অতি দ্রুততর সময়ের মধ্যে টিকাদোনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এসময় শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব দরবারে সমুজ্জল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়, প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
ড. এফ এ আসমা খান বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের এসব ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। করোনাভাইরাস সংক্রম মোকাবেলায় ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য চিকিৎসক, টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবং টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি। আজ রবিবার ১০০ জন ব্যক্তিকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৩টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ২জন টিকাদান কর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।