পাবনার ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা রাতের আধারে এলজিইডির বারপোস্ট ভেঙ্গে দিয়েছে
- প্রকাশিত সময় ০২:১৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 85
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ ড্রাম ট্রাক চলাচলের সুবিধার্থে রাতের আধারে পাবনার ঈশ্বরদীতে এলজিইডি’র সবগুলো বার পোস্ট ভেঙে দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা।
রাস্তার ক্ষতি রোধের জন্য ভারী যানবাহন চলাচল সীমিত করার লক্ষ্যে গত বছরের নভেম্বরে এলজিইডি’র উদ্যোগে এই বারপোস্ট নির্মাণ করা হয়েছিল।
দীর্ঘ মেয়াদে রাস্তার টেকসই ধরে রাখার লক্ষ্যে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা স্কুলমোড়, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া, এমপি মোড়, বিলকেদার ও সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা ও ছিলিমপুর মোড়ে গুরুত্বপূর্ন পাঁচটি পয়েন্টে লোহার পাইপের বারপোস্ট স্থাপন করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অফিস।
মাত্র তিন মাসের ব্যাবধানে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এবং ড্রাম ট্রাকগুলোর চলাচলের সুবিধার্থে রাতের আধারে সবগুলো বারপোস্টগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীরা।
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু ও মাটি ভর্তি ভারী ট্রাক ও ট্রাক্টরগুলো দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামের ভিতরের এসব হালকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে কাদা মাটি পড়ে রাস্তায় চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে বাতাসে বালু বের হয়ে পুরো রাস্তা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।
১৭ টন ওজন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন রাস্তায় ৪০ টন ওজনের যানবাহন চলাচলে মেরামতের কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় এসব রাস্তাগুলো। রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয় অগভীর থেকে গভীর খানাখন্দের। ফলে ছোট ছোট যানবাহন যোগে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এসব রাস্তায় চলাচলকারীদের।
এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রাস্তায় লোহার পাইপের বারপোস্ট স্থাপন করেছিল ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অফিস।
বারপোস্ট গুলো তুলে ফেলায় এসব রাস্তা দিয়ে আবারো বালু ও মাটি বোঝায় ট্রাক, ট্রাক্টর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে রাস্তাার বিটুমিন ভেঙে যাচ্ছে। রাস্তায় অগভীর থেকে গভীর খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তাগুলো সাধারনত ১৭-২০ টন ওজনের গাড়ি চলাচল করার উপযোগী। কিন্তু বালু বোঝাই ড্রামট্রাক গুলোর ওজন হয়ে থাকে ৪০-৫০ টন। এতে রাস্তাগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগনের ভোগান্তি দূর করতে বিভিন্ন পয়েন্ট এ বারপোস্টগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। এগুলো ভেঙ্গে ফেলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাধারন জনগনের চিন্তা না করে শুধু মাত্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বারপোস্টগুলো ভেঙ্গে ফেলা জঘন্য অপরাধ হয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয়রা নতুন করে বারপোস্টগুলো স্থাপনের পাশাপাশি ফসলি জমি নষ্টকারী অবৈধ মাটি ও বালুর ব্যবসা বন্ধ ও দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।