উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিনঃ শেখ হাসিনা
- প্রকাশিত সময় ০৮:২৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮
- / 163
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা গত নির্বাচনে নৌকামার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিলেন বলেই আমি দেশের উন্নয়ন করছি।
এজন্য পাবনাবাসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আগামি নির্বাচনেও নৌকামার্কা প্রতীককে আপনারা বিজয়ী করেন তাহলে আপনাদের ভাগ্যেরও উন্নয়ন ঘটবে। কারণ নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে স্বাধীন করে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন তখনিই তাকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘকাল ওরা দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গেছে। আর আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষ যাতে সুখে শান্তিতে বাস করতে পারে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বিএনপি ও চার দলীয় জোটের দুঃশাসনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীকে হত্যা, লুটপাট, বাড়ি-ঘর জালিয়ে দিয়েছিল।
তিনি বিএনপি-জামায়াতের হাতে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার পাবনার ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বাক্কু, আসাদুল্লাহ, রশিদ, মেহেদী হাসান, রফিকুল ইসলামসহ অর্ধশত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি জামায়াতের কাজই ছিলো খুন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দুর্নীতি।
ওরা এতিমের টাকা লুট করে খায়? পবিত্র ধর্মেও বলা আছে এতিমের টাকা এতিমদের মাঝে যথাযথভাবে বন্টন করে দাও। কিন্তু খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আতসাত করে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন। আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধও নেইনি। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করে।গতকাল বিকেলে পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে সকালে হেলিকক্টারযোগে ঈশ্বরদী অবতরণ শেষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২য় ইউনিটের ফাস্ট কংক্রিট পোরিং ডেট (এফসিডি) কাজের উদ্বোধনী করেন। এরপর তিনি দুপুর ৩ টা ৫৩ মিনিটে পাবনা পুলিশ লাইন মাঠের জনসভাস্থলে উপস্থিত হন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী জনসভা মঞ্চের পাশে স্থাপিত মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা পর্যন্ত রেল চলাচল, পাবনা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস,সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স , পাবনা আদর্শ মহিলা কলেজ একাডেমিক ভবন,জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, পুলিশ লাইন্স মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন,জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল,পাবনা মেডিকেল কলেজের ৬’শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন,২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ঈশ্বরদী থানা ভবন, , সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া, ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর, লক্ষীকুন্ডা, সাঁড়া, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর , ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স,ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন,রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিগন্যালিং সহ রেললাইন নির্মাণ ।
এবং চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর ওপর নারায়ণপুর সেতু, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গোমানী নদীর ওপর নৌবাড়িয়া সেতু, চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সিটি কলেজ একাডেমিক ভবন, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক ভবন, খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ একাডেমিক বন;চাটমোহর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন,চাটমোহর উপজেলায় কাটাখাল সেতু, চাটমোহর উপজেলায় আত্রাই নদীর ওপর আত্রাই সেতু,চাটমোহর উপজেলায় গোমানী নদীর ওপর নিমাইচড়া সেতু,চাটমোহর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন,
বোনকোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন, সুজানগর মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভবন, সুজানগর উপজেলায় ধোলাইখাল সেতু, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলাসহ সুজানগর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন এবং সুজানগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আটঘরিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, সুজানগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়ন ও আটঘরিয়া উপজেলায় হাদল ইউনিয়ন ভূমি অফিস, , সাঁথিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাঁথিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেড়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার ও পানি শোধনাগার নির্মাণ, সাঁথিয়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার নির্মাণ ।
প্রধানমন্ত্রী ৪ টা ৩৮ মিনিটে পুলিশ লাইন মাঠের বিশাল মঞ্চে তার বক্তব্য শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় বিভিন্ন গ্রামগঞ্চ থেকে মিছিল নিয়ে জনতা সকালেই আসতে শুরু করে। বেলা ১২ টার মধ্যেই পুলিশ লাইন মাঠ মানুষে উপচে পড়া ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। বেলা যতই বাড়তে থাকে মানুষের ¯্রােত ততই উপচে পড়ছিলো। দুপুর ২টার সময় জনসভার মাঠে মিছিলের ¯্রােত জায়গা না পাওয়ায় রাস্তার উপর অবস্থান নিতে থাকে। এরপর রাস্তাতেও জায়গা না পেয়ে প্রিয় নেত্রীকে দেখতে আসা হাজার হাজার মানুষ কদমতলা, লাইব্রেরি বাজার, জেলা স্কুল সড়ক ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ে সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে মাইকে বক্তব্য শোনেন।
শেখ হাসিনা যখন বক্তব্য দিতে শুরু করেন তখন জনতা দাড়ানোর জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন ভবন ও গাছে চড়ে নেত্রীর বক্তব্য শোনেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ জনসভার লোকসমাগম ২০১৩ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকেই স্মরণ করে দেয়।
সে জনসভায় যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছিলো এবার যেন তাও ছাপিয়ে গেছে। গ্রামগঞ্জে হাজার হাজার মানুষ গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকতে না পেরে ৪ কিলোমিটার দুর থেকে পায়ে হেটে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হন। মানুষের চাপে শহরের হোটেল রোঁস্তোরাতেও খাবার শূন্য হয়ে পরে।
বেলা ১২ টার দিকে মিছিলে মিছিলে শহর প্রকম্পিত হয়ে উঠে। শহরের অলি-গলি যেখানেই চোখ যায় শুধু মিছিল আর মিছিল। মানুষ বাদ্যযন্ত্র বাচিয়ে নেচে গেয়ে পুলিশ লাইন মাঠের দিকে আসতে থাকে। ২ টার মধ্যেই শহরের দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। পাবনার স্মরণকালের ইতিহাসে এমন জনসমুদ্র আর মানুষ দেখেনি বলেও অনেকে জানান।
জনসভায় উপস্থিত প্রবীণরা জানান, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন পাবনা স্টেডিয়ামে আসেন যে সময় যেমন লাখ লাখ মানুষ তাকে দেখতে যেভাবে হুমড়ি খেয়ে পরেছিল ঠিক তেমনি ভাবেই আজ মানুষ শেখ হাসিনার জনসভা উপস্থিত হন। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসমাবেশ দুপুর ৩টায় শুরু হয়। পবিত্র কোরান, গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেল পাঠের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টা ৩৮ মিনিটে তার বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্যে তিনি পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনীর কথা জানিয়ে বলেন, এ প্রকল্পটি চালু হলে ২৪’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন হবে তেমনি কর্মসংস্থানেও বিরাট ভূমিকা রাখবে। তিনি জঙ্গি ও মাদকমুক্ত দেশ গড়তে ধর্মীয় আলেম, শিক্ষক, বাবা-মাকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বাবা-মা’র উদ্দেশ্যে বলেন, সন্তান কোথায় যায় কার সাথে মিশে তা লক্ষ্য রাখবেন। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে তা খেয়াল রাখবেন। তিনি জঙ্গিবাদ, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদ দেশের উন্নয়নে বড় অন্তরায়। এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি মাদক ও জঙ্গি সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলু এমপি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. ডিপু মনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হাসান মাহমুদ চৌধুরী এমপি, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, সামছুল হক টুকু এমপি, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরি সদস্য অধ্যক্ষ মেরিনা জাহান, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল রহমান সোহাগ।
পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, মকবুল হোসেন এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেসুর রহমান মিন্টু, আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী ২৭ মিনিট ভাষণে আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপন করে আকাশ জয় করেছি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছি। ৪০ লাখ বিধবাকে ভাতা দিচ্ছি। ১০ লাখ প্রতিবন্ধিকে ভাতা, ৮০ হাজার প্রতিবন্ধ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি, ১ কোটি ৪০ লাখ শিশুর বৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে, তাদের মাকেও এ বৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে, বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে, বিনামূল্যে বইও বিতরণ করা হচ্ছে, কমিউনিটি ক্লিনিকে গ্রামে বসে ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে, যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, জমি নেই তাদের খাস জমি দেয়া হচ্ছে। যাদের জমি আছে তাদের ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
একটি বাড়ি ও একটি খামার প্রকল্পে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পে ১’শ টাকা জমা দিলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সরকার ১’শ টাকা দিচ্ছে। যারা বিদেশ যাচ্ছেন তাদের আর বাড়ি-ঘর বিক্রি করতে হচ্ছে না। তাদের প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারছে। বর্গা চাষীদের ঋণ দেয়া হচ্ছে। ২ কোটি কৃষকদের কৃষি উপকরণ কিনতেও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ১ কোটি কৃষকের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে ব্যাংক হিসাবে। আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। যুবসমাজ যাতে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যুবসমাজ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে যাতে উপার্জন করতে পারে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে আমরা ১’শ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলও ঘোষণা করেছি। তাই আমরা মানুষের কল্যাণে সর্বকালের সর্ববৃহত বাজেট ঘোষণা করেছি। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করেছি। গবেষণার মাধ্যমে সব মৌসুমেই তরকারি ফল উৎপান করা হচ্ছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও আমরা সফলতা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী ৯ বছরের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে আরও বলেন, নদী খনন করে আমরা নাব্যতা ফিরে এনেছি যদি আগামিতে আমরা ক্ষমতায় আসি তাহলে দেশের আরও ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কিছু চাইতে হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য যা যা দরকার সেটাই আমরা করে থাকি। তাই তিনি আগামি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিন।
প্রধানমন্ত্রী বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ৫ বছর পর পাবনা শহরে আগমন উপলক্ষে পৌর এলাকায় অসংখ্য নৌকাসদৃশ্য তোরুণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দিয়ে সাজানো হয়। পাবনা ছাড়াও নাটোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া থেকে বিপুল সংখ্যক লোক এ জনসভায় উপস্থিত হন। জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি লোক প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত হওয়ায় তাদের কাছে অবাক লাগছে।