শিলাইদহ পদ্মা নদীতে রমরমা বালু বাণিজ্য পাবনার পাঁকা রাস্তা হুমকির মুখে
- প্রকাশিত সময় ০৬:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 130
পাবনা প্রতিনিধিঃ সরকারিভাবে এসব বালু উত্তোলন নিষেধ থাকলেও বা বালু উত্তোলনের কোনো ইজারা না থাকলেও প্রভাবশালী মহল সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালু উত্তোলন এবং রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।
এ থেকে সরকারও হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। পদ্মা চরের বালু বহনে সরকারের কোটি টাকায় সংস্কারকৃত্য পাবনার পাকা রাস্তা গুলো হুমকির মুখে।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
পদ্মায় জেগে ওঠা চরের ২টি স্থান থেকে ভেকু দিয়ে প্রায় প্রতিদিন তিন শতাধিক ডাম ট্রাক বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এর ফলে হুমকির মুখে রয়েছেন পাবনার রাস্তা। পাবনা থেকে কুষ্টিয়া যাতায়াতের জন্য খুব সল্প সময়ের রাস্তা হলো টেকনিক্যাল টু শিলাইদহ। এ রাস্তার প্রায় প্রতিদিন বিশ হাজার লোকের চলাচল।
প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকাল পর্যন্ত শিলাইদহ পদ্মা চর থেকে অবৈধ বালু কেটে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের কোমরপুর বাজারের উপর দিয়ে অতিরিক্ত বালি বোঝাই ডামট্রাক গুলো ল ঘাট, বাংলাবাজার হয়ে টেকনিক্যাল মোড় দিয়ে পাবনার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বালুবোঝাই ভারি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের কারণে নদী তীরবর্তী গ্রামীণ মাটির সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ল ঘাট, বাংলাবাজার টেকনিক্যাল রাস্তায় প্রায় সময়ই জানযটের সৃষ্টি হয় এত দূভোগ পোহাতে হয় সাধারন যাত্রীদের। শিলাইদহ রাস্তায় চলাচল করা বেশ কয়েকজন ও এলাকাবাসী সুত্র জানাযায়, চরসাদীপুর ইউনিয়নের সামসুল মেম্বার, জহুরুল মেম্বার, জিলাল, রেজাই, চাঁদ ও আশরাফ মোল্লাসহ ১৫-২০জন স্থানীয় প্রভাবশালী বালু খেকোরা পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ডামট্রাক বালি উত্তোলন করে পাবনার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে।
পদ্মা নদী থেকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনের ভুমিকা রয়েছেন নিবর। এবিষয়ে স্থানীয় কেউ বালু খেকোদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে নানা ধরনের হুমকি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা এর সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের ঘটনায় মাঝে মধ্যেই পদ্মা নদীতে মোবাইল কোর্ট করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করা হয়। তবে সার্বক্ষনিক সেখানে বসে থাকাতো সম্ভব হয় না। আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
এ অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজিবুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, বালু উত্তোলনের বিষয় আমরা জানিনা তবে খোঁজ নিয়ে যদি কুমারখালী উপজেলায় হয় তাহলে আইন আইনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে সাদীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।