ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

কাদের মির্জার অব্যাহতি প্রত্যাহার নিয়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এর মধ্যে বিরোধ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 156

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুর হাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দলীয় কার্য়ক্রম থেকে অব্যাহতি এবং বহিস্কারের সুপারিশ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি সেলিম গণমাধ্যমের নিকট কাদের মির্জার অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

অপরদিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী সভাপতি সেলিমকে নীতিহীন অ্যাখ্যা দিয়ে অব্যাহতি এবং বহিস্কারের সুপারিশ বহাল আছে বলে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লাইভে এসে জানিয়েছেন।

শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টা ২৭ মিনিটে একরামুল করিম চৌধুরী লাইভে এসে বলেন, “নোয়াখালী বাসী আস-সালামু-আলাইকুম। সেলিম ভাই ঢাকা থেকে এসে বলল মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সে হিসেব মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিছি।এখন ইয়েতে বলতেছে এটা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে কিন্তুু আমি আপনাদের বলতে পারি আমার জানামতে, আমি জানি না, কারণ একটা লোক অপরাধী, যে নোয়াখালীতে না সারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগকে ছোট করেছে। তাকেতো ছাড়া যায় না। তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি জেলা আওয়ামীলীগ। আমার সভাপতি কি অবস্থানে আছেন জানি না, উনি নাকি বলতেছেন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন। উনার অবস্থান, উনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা করল পরে উনি অবস্থান থেকে সরে দাড়াঁলো উনিও নীতিগতভাবে নীতিহীন হয়ে গেল। আমি আপনাদেরকে বলি, উনার অব্যাহতি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় যেসব কথাবার্তা হচ্ছে এগুলো ঠিক না। কারণ এধরনের লোককে দলের অবস্থানে রাখা উচিত না। তার অব্যাহতিটা বহাল রইল। সকলকে ধন্যবাদ। আস-সালামু-আলাইকুম।”

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা আওয়মলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন, আমি নীতিহীন, উনি নীতিবান হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজনীতি উনাদের ব্যবসা, আমি একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে একমত নই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ করে আবার ২ ঘন্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নোয়াখালী আওয়ামী লীগের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে আদেশটি প্রত্যহার করা হলো।

2 Attachments

কাদের মির্জার অব্যাহতি প্রত্যাহার নিয়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এর মধ্যে বিরোধ

প্রকাশিত সময় ০৭:০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুর হাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার দলীয় কার্য়ক্রম থেকে অব্যাহতি এবং বহিস্কারের সুপারিশ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সভাপতি সেলিম গণমাধ্যমের নিকট কাদের মির্জার অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

অপরদিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী সভাপতি সেলিমকে নীতিহীন অ্যাখ্যা দিয়ে অব্যাহতি এবং বহিস্কারের সুপারিশ বহাল আছে বলে তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লাইভে এসে জানিয়েছেন।

শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারী রাত ৯টা ২৭ মিনিটে একরামুল করিম চৌধুরী লাইভে এসে বলেন, “নোয়াখালী বাসী আস-সালামু-আলাইকুম। সেলিম ভাই ঢাকা থেকে এসে বলল মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সে হিসেব মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিছি।এখন ইয়েতে বলতেছে এটা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে কিন্তুু আমি আপনাদের বলতে পারি আমার জানামতে, আমি জানি না, কারণ একটা লোক অপরাধী, যে নোয়াখালীতে না সারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগকে ছোট করেছে। তাকেতো ছাড়া যায় না। তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি জেলা আওয়ামীলীগ। আমার সভাপতি কি অবস্থানে আছেন জানি না, উনি নাকি বলতেছেন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন। উনার অবস্থান, উনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা করল পরে উনি অবস্থান থেকে সরে দাড়াঁলো উনিও নীতিগতভাবে নীতিহীন হয়ে গেল। আমি আপনাদেরকে বলি, উনার অব্যাহতি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় যেসব কথাবার্তা হচ্ছে এগুলো ঠিক না। কারণ এধরনের লোককে দলের অবস্থানে রাখা উচিত না। তার অব্যাহতিটা বহাল রইল। সকলকে ধন্যবাদ। আস-সালামু-আলাইকুম।”

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা আওয়মলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন, আমি নীতিহীন, উনি নীতিবান হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজনীতি উনাদের ব্যবসা, আমি একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে একমত নই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ করে আবার ২ ঘন্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নোয়াখালী আওয়ামী লীগের শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে আদেশটি প্রত্যহার করা হলো।

2 Attachments