ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটি কাজে আসছে না

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুলাই ২০১৮
  • / 136

পাবনার চাটমোহরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের চলাচলের জন্য কাজে আসছে না।

উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেনগ্রাম ও নটাবাড়িয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত কিনু সরকারের জোলার উপর প্রায় ৭ বছর পূর্বে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইজগেট (ব্রীজ) নির্মিত হয়।

দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতার কারণে ব্রীজটি দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।গুরত্বপূর্ণ এ স্থানে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছেন।

গত ৭ বছর পূর্বে এখানকার পুরাতন স্লুইজগেটটি একেবারে ভেঙে যাওয়ায় তার ১শ ফিট উজানে নির্মাণ করা হয় এ স্লুইজগেটটি। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় ব্রীজটির উপর দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

এলাকাবাসী ফসলের গাড়ি, গরু, মহিষ, ছাগল নিয়ে ব্রীজটির উপর দিয়ে যেতে পারছেন না। ব্রীজের একপাশে বাড়িঘড় অন্যপাশে জলাভূমি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী নটাবাড়িয়া, ধানকুনিয়া, চরসেনগ্রাম, সেনগ্রাম, দোদারিয়া, বিশিপাড়া, দড়িপাড়া, চরপাড়া, মথুরাপুর, পৈলানপুরসহ এর আশপাশ গ্রামগুলোর মানুষকে।

বর্ষাকালে এই স্লুইজগেট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ-পশ্চিম চলনবিলাঞ্চলের প্রায় ৩০ টি বিলে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সেতুর দুইপাশ ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় পার্শ্ববর্তী উত্তরসেনগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়, চরসেনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটাবাড়িয়া মাদ্রাসা, দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয় ।

নটাবাড়িয়া গ্রামের ইসমাইল সরকার জানান, স্লুইজগেটটি নির্মিত হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই এলাকার খোয়াজ প্রামানিক জানায়, সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।

কোন প্রকার যানবাহন ব্রীজটির উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।তাছাড়া বর্ষায় ব্রীজটির দুইপাশ ডুবে যাওয়ায় সম্পূর্ণ রূপে অকেজো হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানায়, জনগুরত্বপূর্ণ এ ব্রীজটির দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ দ্রুত প্রয়োজন। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানায়, অবহেলিত ব্রীজটি সংযোগ সড়ক মানুষের প্রাণের দাবী। সংশ্লিষ্ট মহলের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন যাবত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হয়নি।

এব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, ব্রীজটি সংযোগ সড়ক নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাটমোহরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটি কাজে আসছে না

প্রকাশিত সময় ১০:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুলাই ২০১৮

পাবনার চাটমোহরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের চলাচলের জন্য কাজে আসছে না।

উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেনগ্রাম ও নটাবাড়িয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত কিনু সরকারের জোলার উপর প্রায় ৭ বছর পূর্বে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি স্লুইজগেট (ব্রীজ) নির্মিত হয়।

দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতার কারণে ব্রীজটি দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।গুরত্বপূর্ণ এ স্থানে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছেন।

গত ৭ বছর পূর্বে এখানকার পুরাতন স্লুইজগেটটি একেবারে ভেঙে যাওয়ায় তার ১শ ফিট উজানে নির্মাণ করা হয় এ স্লুইজগেটটি। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় ব্রীজটির উপর দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

এলাকাবাসী ফসলের গাড়ি, গরু, মহিষ, ছাগল নিয়ে ব্রীজটির উপর দিয়ে যেতে পারছেন না। ব্রীজের একপাশে বাড়িঘড় অন্যপাশে জলাভূমি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী নটাবাড়িয়া, ধানকুনিয়া, চরসেনগ্রাম, সেনগ্রাম, দোদারিয়া, বিশিপাড়া, দড়িপাড়া, চরপাড়া, মথুরাপুর, পৈলানপুরসহ এর আশপাশ গ্রামগুলোর মানুষকে।

বর্ষাকালে এই স্লুইজগেট দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ-পশ্চিম চলনবিলাঞ্চলের প্রায় ৩০ টি বিলে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সেতুর দুইপাশ ডুবে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় পার্শ্ববর্তী উত্তরসেনগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়, চরসেনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, নটাবাড়িয়া মাদ্রাসা, দহপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্র শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হয় ।

নটাবাড়িয়া গ্রামের ইসমাইল সরকার জানান, স্লুইজগেটটি নির্মিত হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একই এলাকার খোয়াজ প্রামানিক জানায়, সংযোগ সড়ক না হওয়ায় মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।

কোন প্রকার যানবাহন ব্রীজটির উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।তাছাড়া বর্ষায় ব্রীজটির দুইপাশ ডুবে যাওয়ায় সম্পূর্ণ রূপে অকেজো হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকতার হোসেন জানায়, জনগুরত্বপূর্ণ এ ব্রীজটির দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ দ্রুত প্রয়োজন। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানায়, অবহেলিত ব্রীজটি সংযোগ সড়ক মানুষের প্রাণের দাবী। সংশ্লিষ্ট মহলের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন যাবত সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হয়নি।

এব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, ব্রীজটি সংযোগ সড়ক নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।