বিজ্ঞপ্তি :
১০৮৫ নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
বার্তাকক্ষ
- প্রকাশিত সময় ০৮:৩৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 149
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আবেদন অগ্রাহ্য করে ও আদালতের আদেশ অমান্য করে মায়ানমারের এক হাজার ৮৬ জন নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠালো মালয়শিয়া।
বিবিসি জানিয়েছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আগে ট্রাক ও বাসে করে বন্দরে নিয়ে আসা হয় তারপর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাতে মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর তিনটি জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট মিয়ানমারের এই নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছিল।
বুধবার সকালে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিতে আবেদন করা হয়েছিল তার শুনানির কথা ছিল। এর আগে কর্তৃপক্ষ বারোশো বন্দিকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বন্দির সংখ্যা কমানোর কথা পরিষ্কার করে উল্লেখ করেননি তারা ।
যাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যালঘু নগোষ্ঠী রয়েছে যারা মিয়ানমারের অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার, একথা জানান অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো।তারা আরো বলেন এসময় তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া তাদের ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে কেননাএখন মিয়ানমারের ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতে।
মালয়েশিয়া জানায় যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা অভিবাসন আইন লংঘন করেছেন তাদের মধ্যে কেউই শরণার্থী না ।
মিয়ানমারের যাদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের কাউকেই জোর করে পাঠানো হয়নি তারা সবাই স্বেচ্ছায় যেতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ারডিরেক্টর জেনারেল অফ ইমিগ্রেশন খাইরুল জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন ফেরত পাঠানো ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কোন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শরণার্থী উপস্থিত নেই। জাতিসংঘের হাই কমিশনার ফর রিফিউজিসে যারা নাম দাখিল করেছিলেন তাদের মধ্যে কাউকেই ফেরত পাঠাবে না বলে জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়া ।
একই সূত্র অনুযায়ী মালয়েশিয়ার অভিবাসী আটক কেন্দ্রগুলোতে ইউ এন এইচ সি আর এর প্রবেশ এক বছরেরও অধিক সময় থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ।অর্থাৎ জাতিসংঘের পক্ষে নিশ্চিত করা সম্ভব নয় যে বিবৃতি সত্য কি মিথ্যা, জানিয়েছেন বিবিসি।
সংস্থাটি জানিয়েছে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত ছয় জনের নাম ইউএনএইচসিআরের লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তথ্যটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যারা কিনা নিপিরণ এড়ানোর জন্য পালিয়ে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করছিল জানিয়েছেন অধিকার আন্দোলনকারী জনগোষ্ঠী গুলো।