ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বড়াইগ্রামে অনিয়মের অভিযোগে নদী খনন বন্ধ করলো এলাকাবাসী

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:২৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 102

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে অনিয়মের অভিযোগে পঁচা বড়াল নদী খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।

তাদের অভিযোগ শিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়নি। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

জানা যায়, মেরিগাছা বাজার হতে চিকনাই নদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পঁচা বড়াল নদী খনন কাজ চলছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ খনন কাজ চলছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

১২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রকল্পের শুরুতে মেরিগাছা বাজার এলাকায় ৭শ’ মিটার নদী খননের দায়িত্ব পায় নাটোরের এম এ কনস্ট্রাকশন।

ইতোঃমধ্যে প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক কাজ তাড়াহুড়া করে শেষ করা হয়েছে।

কিন্তু শুক্রবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহাসহ স্থানীয় লোকজন অনিয়মের অভিযোগে খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানান, শিডিউল অনুযায়ী সমতল থেকে আট ফুট গভীরে নদী খনন করার কথা। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ ৫-৬ ফুট খনন করা হয়েছে, তাও সমান্তরাল নয়।

নদীর পানি শুকিয়ে বা সেচ দিয়ে পানি অপসারণ করে খনন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

নদীর পুরাতন পাড়ি ঢালু (স্লোপ) করে না কেটে নদীর তলদেশ থেকে কাদামাটি তুলে তা দিয়ে স্লোপ করা হয়েছে। এতে এখনই এসব মাটি পুনরায় ভেঙ্গে নদীতেই পড়ে যাচ্ছে।

এছাড়া নদীর মাটি কেটে পাড়ের উপরেই ফেলা হচ্ছে, যা সামান্য বৃষ্টি হলেই ধসে নদীতে নেমে যাবে। এতে নদী খননের প্রকৃত সুফল মিলবে না বলে দাবী ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার পরিচয় দানকারী খোকন হোসেন জানান, শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে, তবে কোথাও কোথাও কাজের তারতম্য হতে পারে।

প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বড়াইগ্রাম অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, পানি শুকিয়ে বা অপসারণ করে নদী খনন করার কথা।

এছাড়া স্লোপিং ভেঙ্গে যাওয়া ও পাড়ে রাখা মাটি ধসে পুনরায় নদীতে পড়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বড়াইগ্রামে অনিয়মের অভিযোগে নদী খনন বন্ধ করলো এলাকাবাসী

প্রকাশিত সময় ০৫:২৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে অনিয়মের অভিযোগে পঁচা বড়াল নদী খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।

তাদের অভিযোগ শিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়নি। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

জানা যায়, মেরিগাছা বাজার হতে চিকনাই নদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পঁচা বড়াল নদী খনন কাজ চলছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ খনন কাজ চলছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

১২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রকল্পের শুরুতে মেরিগাছা বাজার এলাকায় ৭শ’ মিটার নদী খননের দায়িত্ব পায় নাটোরের এম এ কনস্ট্রাকশন।

ইতোঃমধ্যে প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক কাজ তাড়াহুড়া করে শেষ করা হয়েছে।

কিন্তু শুক্রবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুজ্জোহাসহ স্থানীয় লোকজন অনিয়মের অভিযোগে খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানান, শিডিউল অনুযায়ী সমতল থেকে আট ফুট গভীরে নদী খনন করার কথা। কিন্তু বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ ৫-৬ ফুট খনন করা হয়েছে, তাও সমান্তরাল নয়।

নদীর পানি শুকিয়ে বা সেচ দিয়ে পানি অপসারণ করে খনন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

নদীর পুরাতন পাড়ি ঢালু (স্লোপ) করে না কেটে নদীর তলদেশ থেকে কাদামাটি তুলে তা দিয়ে স্লোপ করা হয়েছে। এতে এখনই এসব মাটি পুনরায় ভেঙ্গে নদীতেই পড়ে যাচ্ছে।

এছাড়া নদীর মাটি কেটে পাড়ের উপরেই ফেলা হচ্ছে, যা সামান্য বৃষ্টি হলেই ধসে নদীতে নেমে যাবে। এতে নদী খননের প্রকৃত সুফল মিলবে না বলে দাবী ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার পরিচয় দানকারী খোকন হোসেন জানান, শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে, তবে কোথাও কোথাও কাজের তারতম্য হতে পারে।

প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বড়াইগ্রাম অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, পানি শুকিয়ে বা অপসারণ করে নদী খনন করার কথা।

এছাড়া স্লোপিং ভেঙ্গে যাওয়া ও পাড়ে রাখা মাটি ধসে পুনরায় নদীতে পড়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।