সুজানগরের গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন
- প্রকাশিত সময় ০৫:২৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮
- / 124
পাবনার সুজানগরের ভবানীপুুর (প্রফেসরপাড়া) বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।কাজী আবু বকর সিদ্দিক তার নিকাহ্ রেজিষ্টারের মূল লাইন্সেস ও গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ এবং নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলে |
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নং-১০৬৪ বিচার ৭/২ এন- ৮৫/৮১ তারিখ ০৩/০২/২০০০ ইং ও জেলা রেজিষ্ট্রার পাবনা’র ১৪/০২/২০০০ ইং তারিখ ২২৬ নং স্মারক মুলে ১নং তাঁতীবন্দ ও ২নং সুজানগর ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার হিসাবে কর্মরত থাকাবস্থায় ১৭/০৭/২০০৩ ইং সনে ১নং তাঁতীবন্দ ইউনিয়নটি কর্তন করা হয়।
২নং সুজানগর ইউনিয়নে কর্মরত থাকাবস্থায় সুজানগর ইউনিয়নটি সুজানগর পৌরসভায় রূপায়িত হইলে আমি আমার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রীর লাইন্সেস ইউনিয়ন শব্দের পরিবর্তে পৌরসভা শব্দটি প্রতিস্থাপনের জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার পাবনা’র তারিখ ০১/১১/২০০৬ ইং ১৯৭১ নং স্মারকের মাধ্যমে আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব বরাবর আবেদন করিয়াছিলাম। আমার লাইন্সেস পৌরসভা শব্দটি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার নিয়োগের সংশ্লিষ্টমন্ত্রনালয়ের অনুমতি না লাইয়া সুজানগর পৌরসভায় নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের পদ শুন্য আছে
মর্মেসুজানগর সাব-রেজিষ্ট্রার নিয়োগ বিজ্ঞত্তি প্রদান করিয়াছেন। যাহার প্রেক্ষিতে আমি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৪২৪০/২০১৮ইংএকটি রীট পিটিসন দায়ের করিলে মহামান্য বিচার প্রতিদ্বয় মোকাদ্দমাটি শুনানি অন্তে সস্তুষ্ট হইয়া উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞতির উপর ৬ মাসের ব্যবধান (স্থিতাবস্থা) জারী করিয়াছেন।
সে কারণেমোঃ আরিফ বিল্লা, পিতা ইসমাইল উদ্দিন, সাং- মথুরাপুর, মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা মোঃ মোকছেদ আলী প্রামানিক, সাং- সুজানগর কারিগরপাড়া, মোঃ আব্দুল লতিফ নয়ন, পিতা মরহুম আবু বক্কার মোল্লা, সাং- মসজিদপাড়া, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম (রাসেল), পিতা মৃত হোসেন আলী, সাং- মানিকদির,
সুজানগর পাবনাগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুজানগর নং০৫.৪৩.৭৬৮৩.০০০.৪০.০০১.১৭-৭১৭(৫) স্মারকে আমার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রীর লাইসেন্স সহ মামলা সংক্রান্ত সকল মুল কাগজপত্র দেখার জন্য ১৬/০৭/২০১৮ ইং তাহার কার্যালয় উপস্থিত হতে বলেন।
৬/০৭/২০১৮ ইং তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় উপস্থিত হইয়া আমার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রীর মুল লাইন্সেস সহ সকল নথিপত্রপ্রদর্শন ও শুনানীর সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাব-রেজিষ্ট্রার সুজানগর উপস্থিত ছিলেন।
আমার লাইন্সেস সহ হাইকোর্টের সকল নথিপত্র প্রদর্শন ও শুনানী শেষ হতেই উল্লেখিত চারজন লাইন্সেস প্রত্যাশী অভিযোগকারীগণেরপূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সঙ্গে আসা বারান্দা অপেক্ষমান ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হইতে আমার সঙ্গে থাকা মূল্যবান সকল কাগজপত্রেরফাইলটি জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নেয়
ঐ সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আমি চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করিলেও সাহাযার্থে কেউ আগাইয়া আসে নাই।উল্লেখ্য যে লাইন্সেস প্রত্যাশী চারজন ব্যক্তি নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার না হইয়াও গত দুই বছর যাবৎ আমার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রীর অধিক্ষেত্রের মধ্যে প্রেস হইতে বহি ছাপাইয়া অবৈধ ভাবে জোড়পূর্বক বিবাহ্ রেজিষ্ট্রী করিয়া আসিতেছে।
ইহারা কাজী হইতে না পারিয়া ক্ষিপ্ত হইয়া বিভিন্ন সময়ে আমাকে মান অপমান, অকথ্য গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়া আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৫/০৭/২০১৮ ইং তারিখে আমি আমার অধিক্ষেত্রাধিন চরপাড়া গ্রাম হইতে বিবাহ্ রেজিষ্ট্রী করিয়া নিজ অফিসে ফেরার পথে উল্লেখিত চারজন ব্যক্তি আমার মোটর সাইকেল গতিরোধ করে জোড়পূর্বক আমার সরকারি বালাম বহি ০৩/১৮ সহ ব্যাগে থাকা সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ছিনতাইকরিয়াছিলো।
যাহা গত ০৭/০৭/২০১৮ ইং তারিখের দৈনিক প্রথম আলো সহস্থানীয় প্রত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে দুই দফায় সরকারি বহি ও মূল লাইন্সেস সহ মূল্যবান সকল নথিপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার্স ইনচার্জ সুজানগর থানা কে অবহিত করা হলেও এখনও পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া নথিপত্র ফেরত পাই নাই।
থানা কর্তৃপক্ষ জি,ডি/ মামলা নিবেন না বলে জানাইয়াছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসের ঘটনাটি তাৎক্ষনিক মোবাইল ফোনে মাননীয় জেলা প্রশাসক পাবনা মহোদয়কেঅবহিত করিয়াছি।বর্তমানে আমি আমার নিরাপত্তার সমূহ আশংকা করিতেছি। সে কারণে ১৭/০৭/১৮ ইং তাং উপজেলা নির্বাহী অফিসের হল রুমে বাল্য বিবাহ্ নিরোধ সংক্রান্ত মিটিংয়ে উপস্থিত থাকিতে পারিনাই।
আপনাদের মাধ্যমে দুই দফায় ছিনতাই হওয়া সরকারী বালাম বহি ০৩/১৮ সহ সকল মূল কাগজপত্র উদ্ধার ও আমার নিরাপত্তার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক পাবনা মহোদয়ের নিকট আকুল প্রার্থনা করিতেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাঁতীবন্দ ইউনিয়নেরকাজী জাহাঙ্গীর হোসেন খান, দুলাই ইউনিয়নের কাজী ইয়াছিন, আহাম্মদপুর ইউনিয়নেরকাজী খন্দকার আব্দুল হামিদ, রানীনগর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারেক, সাগরকান্দী ইউনিয়নের কাজী খন্দকার মনিরুজ্জামান, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কাজী হাসান আল মামুন (বাশার), হাটখালী ইউনিয়নের কাজীইদ্রিস আলী,মানিকহাট ইউনিয়নের কাজী খন্দকার মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি