ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পুঠিয়ায় রসুনের ফলন বিপর্যয়ের মুখে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / 93

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ  পুঠিয়ায় রসুনের গাছ ফাটার কারণে রসুনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার রসুন উৎপদনকারী এলাকা হিসেবে সুপরিচিত সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা বিল ও বানেশ্বর ইউনিয়নের শাহবাজপুর বিল।

এই দুই বিলে রসুনের গাছগুলো ফেটে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা তাদের রসুনের ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস এর কোন প্রতিকার দিতে পারছেনা বলে অনেকের অভিযোগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, অতিমাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে রসুনের এ ধরনের রোগ হতে পারে।

মাটিতে জৈব উপাদানের পরিমান ৫ শতাংশ থাকার কথা কিন্তু কেমিক্যাল সার অতি মাত্রায় প্রয়োগের ফলে মাটির এ জৈব ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

রসুন চাষের জন্য বিষা প্রতি ইউরিয়া ২৯ কেজি, টিএসপি ৩৬ কেজি, এমওপি ৪৪ কেজি, জৈব সার ৬’শ ৬৭ কেজি ও খৈল ৬’শ ৬৭ কেজি প্রয়োগের কথা থাকলে এর মধ্যে কেমিক্যাল সারের প্রয়োগ বেশি হয়ে থাকে।

ফলে যে কোন ফলস উৎপাদনে মাটির জৈব উপাদানে পরিমান কমে গেল ফলন বিপর্যয় হতে পারে।

এবারে পুঠিয়া উপজেলায় রসুনের চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ২’শ ৮০ টন।

গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে বেশি রসুন চাষ হচ্ছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামের রসুন চাষি বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর প্রায় দেড় বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি।

আগামি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রসুন উঠতে সুরু করবে।

এসময় রসুন ফেটে ঝাটার মতো গাছ বের হচ্ছে। কিছুতেই এর কোন প্রতিকার করতে পারছিনা। এ অবস্থায় আমাদের রসুনের খরচ উঠা দায় হবে।

এব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুঁইয়া মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগের তাগিদ দেন।

এছাড়াও জৈব সার যেমন, ভার্মি কম্পোস্ট, কেঁচো সার ও ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৫০টি চাকুসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার

পুঠিয়ায় রসুনের ফলন বিপর্যয়ের মুখে

প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ  পুঠিয়ায় রসুনের গাছ ফাটার কারণে রসুনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার রসুন উৎপদনকারী এলাকা হিসেবে সুপরিচিত সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা বিল ও বানেশ্বর ইউনিয়নের শাহবাজপুর বিল।

এই দুই বিলে রসুনের গাছগুলো ফেটে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা তাদের রসুনের ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস এর কোন প্রতিকার দিতে পারছেনা বলে অনেকের অভিযোগ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, অতিমাত্রায় সার প্রয়োগের ফলে রসুনের এ ধরনের রোগ হতে পারে।

মাটিতে জৈব উপাদানের পরিমান ৫ শতাংশ থাকার কথা কিন্তু কেমিক্যাল সার অতি মাত্রায় প্রয়োগের ফলে মাটির এ জৈব ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

রসুন চাষের জন্য বিষা প্রতি ইউরিয়া ২৯ কেজি, টিএসপি ৩৬ কেজি, এমওপি ৪৪ কেজি, জৈব সার ৬’শ ৬৭ কেজি ও খৈল ৬’শ ৬৭ কেজি প্রয়োগের কথা থাকলে এর মধ্যে কেমিক্যাল সারের প্রয়োগ বেশি হয়ে থাকে।

ফলে যে কোন ফলস উৎপাদনে মাটির জৈব উপাদানে পরিমান কমে গেল ফলন বিপর্যয় হতে পারে।

এবারে পুঠিয়া উপজেলায় রসুনের চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে। লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ২’শ ৮০ টন।

গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে বেশি রসুন চাষ হচ্ছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামের রসুন চাষি বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর প্রায় দেড় বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন তিনি।

আগামি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রসুন উঠতে সুরু করবে।

এসময় রসুন ফেটে ঝাটার মতো গাছ বের হচ্ছে। কিছুতেই এর কোন প্রতিকার করতে পারছিনা। এ অবস্থায় আমাদের রসুনের খরচ উঠা দায় হবে।

এব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুঁইয়া মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগের তাগিদ দেন।

এছাড়াও জৈব সার যেমন, ভার্মি কম্পোস্ট, কেঁচো সার ও ট্রাইকো কম্পোস্ট সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৫০টি চাকুসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার