ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনা বই মেলায় লেখক ও কবিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১
  • / 98
প্রতিনিধি পাবনাঃ ‘বইয়ের ঘ্রাণে, সুবোধ জাগুক প্রাণে’ – প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত ১১ মার্চ ২০২১ সন্ধা সারে সাতটায় পাবন রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তনে ১৬ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বই মেলার ১১ তম দিনে বইপ্রেমী লেখক ও কবিদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম তালুকদার।
এসময় সম্মানিত কবি,লেখক বৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রৌফ, সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাথিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মনছুর আলম, পাবনা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর রাজস্ব কর্মকর্তা খান আনোয়ার হোসেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক কবি আর্দোনাথ ঘোষ।
এসময় মতবিনিময়ে উপস্থাপনা করেন জেলা সমবায় কার্যালয়ের অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
এসময় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি বৃন্দের বক্তব্যে পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক কবি আর্দনাথ ঘোষ বলেন – স্বল্প কথার মাঝে বিরাট ম্যাসেজ পাওয়াকে কবিতা বলে, কবিতা বুঝা ও অনুভুতির বিষয়।
পাবনা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের রাজস্ব কর্মকর্তা, খান আনোয়ার হোসেন বলেন – লেখক সৃষ্টি হয়েছে ঠিকি কিন্তু পাঠক সৃষ্টি হচ্ছেনা, পাঠক সৃষ্টি হলেও লেখক লেখা বিক্রি শুরু করেছে। এসময় হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি ব্যক্ত করে বলেন, যেসময় তিনি বই বিক্রয়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন – তখন থেকে তার লেখার মান অনুন্নত হয়েছে।
সাথিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক  ড. মনছুর আলম বলেন  –  বইমেলা ও আমাদের আলোচনা সভা পূর্ব থেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তিনি পাবনার  কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক,বাংলা একাডেমির ও জাতীয় গ্রন্থাগারের সাবেক পরিচালক সরকার জয়েন উদ্দিনকে নিয়ে আলোচনা করেন, যিনি সর্বপ্রথম ঢাকা একুশে বই মেলার প্রবর্তক, ৫১ বছর আগে তিনি বইমেলার  সৃষ্টি করেছিলেন। তার নামে সম্মাননা পুরষ্কার চালু করার দাবি জানান।
আলোকিত মানুষ গড়তে বই পড়ার কোনো বিকল্প নাই।
সরকরি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক লেখক আখতারুজ্জামান বলেন – একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি নিজেকে চিনতে পারছিনা ঠিক তেমনই এই আয়োজনে আমন্ত্রিত হতে পেরে সেরকম অনুভব করছি। কোভিড কেমন করে সবাইকে আলাদা করে দিয়েছে, হাত মেলানো যাবেনা, ঘড় ছারা হতে পারব না।
কেমন মহামারিতে মৃত্যুর সৃষ্টি হয়েছে, মনোয়ার হোসেন জাইদি, কবি মজিদ বিশ্বাস সহো কত মানুষ গত হয়ছে। আমরা প্রত্যেকেই জেগেছি, কি নিয়ে জেগে উঠলাম! সত্য,ন্যয় ও আনন্দের সঙ্গে বাঁচাকে আদর্শ জীবনযাপন বলা যেতে পারে। বই মানুষকে সহজ করে, বই অসাধারণ করে না। আমরা নিজেকে চিনতে পারলে জাতি হিসেবে উন্নত হতে পারতাম।
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক, মোঃ আব্দুর রৌফ বলেন – আপনারা যারা মেলা পরিদর্শন করতে এসেছেন, তারা ছারা এই মেলা কখনোই সমৃদ্ধ হতো না। এখন আছি এখানে, একটু পরে চলেযাবো, এমন করে একটা সময় পৃথিবী থেকেই চলে যাবো, এটাই জীবনের নিয়তি।
মানুষের পরিচয় তার কৃতিত্বে, কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ তার পেশাগত যোগ্যতার চেয়েও ব্যক্তিগত যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, যেমন আমরা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে একজন জমিদার হিসেবে চিনিনা, কবি হিসেবে চিনি, এধরনের অন্যান্য মানুষও একইরকম।
জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক,  রেজাউল করিম তালুকদার বলেন – কখনো এই ভাবে নির্বাক দৃষ্টি ভঙ্গিতে চেয়ে থাকতে দেখিনি শ্রতাকে, অনেক অনুষ্ঠানে  আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে, এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা ঞ্জাপণ করেন।
তিনি বলেন সংস্কৃতিবান মানুষের সামনে এসে কথা বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি, তিনি আয়োজক বৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। বইয়ের সঙ্গে আমাদের দুরত্ব বাড়ছে।
যে সম্পর্কে আপনি স্পর্শ করবেন না তার সঙ্গে গভীর ভাবে জরানো সম্ভব নয়, তিনি ভার্চুয়ালে বই পুস্তক পরার উদাহরণের বিপক্ষে ঐ কথা বলেন।
বই পড়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো সম্পৃক্ত, নতুন প্রজন্মের লেখকদের অনেক গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি এবং বিগতদের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, যা লিখবেন – মানুষ তাই পাঠ করবে তা নয়, ছন্দ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে – যেইটা সম্পূর্ণই শ্রবণ শক্তির ব্যাপার। একটি বইমেলা পাঠক কূলের সঙ্গে লেখক দের মিলনমেলা সৃষ্টি করতে পারে। যে বইকে ভালোবাসেনা তার হৃদয়ে পরিপূর্ণ ভালোবাসার সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ তিনি দুরত্ব মোচনকারি।
অনেক ভালো কিছু পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় বইয়ের সান্নিধ্যে না পেলে।
নিজের জন্য নিজেকে সৃষ্টি করতে হবে, বই পড়ার মধ্য দিয়ে, আলোকিত মানুষ গড়তে হবে।
আমরা ভালোবাসতে জানি আমরা সকলেই বই পছন্দ করি এই সুত্রে আমরা সুরে গাথা।
যারা বই দেখতে এসেছেন, পড়ছেন তারা অন্যকে বই পড়তে ও লিখতে উৎসাহী করবেন।

পাবনা বই মেলায় লেখক ও কবিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত সময় ১১:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১
প্রতিনিধি পাবনাঃ ‘বইয়ের ঘ্রাণে, সুবোধ জাগুক প্রাণে’ – প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গত ১১ মার্চ ২০২১ সন্ধা সারে সাতটায় পাবন রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তনে ১৬ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বই মেলার ১১ তম দিনে বইপ্রেমী লেখক ও কবিদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম তালুকদার।
এসময় সম্মানিত কবি,লেখক বৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রৌফ, সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাথিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মনছুর আলম, পাবনা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর রাজস্ব কর্মকর্তা খান আনোয়ার হোসেন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক কবি আর্দোনাথ ঘোষ।
এসময় মতবিনিময়ে উপস্থাপনা করেন জেলা সমবায় কার্যালয়ের অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
এসময় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি বৃন্দের বক্তব্যে পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক কবি আর্দনাথ ঘোষ বলেন – স্বল্প কথার মাঝে বিরাট ম্যাসেজ পাওয়াকে কবিতা বলে, কবিতা বুঝা ও অনুভুতির বিষয়।
পাবনা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের রাজস্ব কর্মকর্তা, খান আনোয়ার হোসেন বলেন – লেখক সৃষ্টি হয়েছে ঠিকি কিন্তু পাঠক সৃষ্টি হচ্ছেনা, পাঠক সৃষ্টি হলেও লেখক লেখা বিক্রি শুরু করেছে। এসময় হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি ব্যক্ত করে বলেন, যেসময় তিনি বই বিক্রয়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন – তখন থেকে তার লেখার মান অনুন্নত হয়েছে।
সাথিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক  ড. মনছুর আলম বলেন  –  বইমেলা ও আমাদের আলোচনা সভা পূর্ব থেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তিনি পাবনার  কৃতি সন্তান কথা সাহিত্যিক,বাংলা একাডেমির ও জাতীয় গ্রন্থাগারের সাবেক পরিচালক সরকার জয়েন উদ্দিনকে নিয়ে আলোচনা করেন, যিনি সর্বপ্রথম ঢাকা একুশে বই মেলার প্রবর্তক, ৫১ বছর আগে তিনি বইমেলার  সৃষ্টি করেছিলেন। তার নামে সম্মাননা পুরষ্কার চালু করার দাবি জানান।
আলোকিত মানুষ গড়তে বই পড়ার কোনো বিকল্প নাই।
সরকরি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক লেখক আখতারুজ্জামান বলেন – একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি নিজেকে চিনতে পারছিনা ঠিক তেমনই এই আয়োজনে আমন্ত্রিত হতে পেরে সেরকম অনুভব করছি। কোভিড কেমন করে সবাইকে আলাদা করে দিয়েছে, হাত মেলানো যাবেনা, ঘড় ছারা হতে পারব না।
কেমন মহামারিতে মৃত্যুর সৃষ্টি হয়েছে, মনোয়ার হোসেন জাইদি, কবি মজিদ বিশ্বাস সহো কত মানুষ গত হয়ছে। আমরা প্রত্যেকেই জেগেছি, কি নিয়ে জেগে উঠলাম! সত্য,ন্যয় ও আনন্দের সঙ্গে বাঁচাকে আদর্শ জীবনযাপন বলা যেতে পারে। বই মানুষকে সহজ করে, বই অসাধারণ করে না। আমরা নিজেকে চিনতে পারলে জাতি হিসেবে উন্নত হতে পারতাম।
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক, মোঃ আব্দুর রৌফ বলেন – আপনারা যারা মেলা পরিদর্শন করতে এসেছেন, তারা ছারা এই মেলা কখনোই সমৃদ্ধ হতো না। এখন আছি এখানে, একটু পরে চলেযাবো, এমন করে একটা সময় পৃথিবী থেকেই চলে যাবো, এটাই জীবনের নিয়তি।
মানুষের পরিচয় তার কৃতিত্বে, কৃতিত্বের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ তার পেশাগত যোগ্যতার চেয়েও ব্যক্তিগত যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, যেমন আমরা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে একজন জমিদার হিসেবে চিনিনা, কবি হিসেবে চিনি, এধরনের অন্যান্য মানুষও একইরকম।
জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক,  রেজাউল করিম তালুকদার বলেন – কখনো এই ভাবে নির্বাক দৃষ্টি ভঙ্গিতে চেয়ে থাকতে দেখিনি শ্রতাকে, অনেক অনুষ্ঠানে  আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে, এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা ঞ্জাপণ করেন।
তিনি বলেন সংস্কৃতিবান মানুষের সামনে এসে কথা বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি, তিনি আয়োজক বৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। বইয়ের সঙ্গে আমাদের দুরত্ব বাড়ছে।
যে সম্পর্কে আপনি স্পর্শ করবেন না তার সঙ্গে গভীর ভাবে জরানো সম্ভব নয়, তিনি ভার্চুয়ালে বই পুস্তক পরার উদাহরণের বিপক্ষে ঐ কথা বলেন।
বই পড়ার সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিষয় গুলো সম্পৃক্ত, নতুন প্রজন্মের লেখকদের অনেক গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি এবং বিগতদের প্রতি শ্রদ্ধা বোধ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, যা লিখবেন – মানুষ তাই পাঠ করবে তা নয়, ছন্দ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে – যেইটা সম্পূর্ণই শ্রবণ শক্তির ব্যাপার। একটি বইমেলা পাঠক কূলের সঙ্গে লেখক দের মিলনমেলা সৃষ্টি করতে পারে। যে বইকে ভালোবাসেনা তার হৃদয়ে পরিপূর্ণ ভালোবাসার সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ তিনি দুরত্ব মোচনকারি।
অনেক ভালো কিছু পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় বইয়ের সান্নিধ্যে না পেলে।
নিজের জন্য নিজেকে সৃষ্টি করতে হবে, বই পড়ার মধ্য দিয়ে, আলোকিত মানুষ গড়তে হবে।
আমরা ভালোবাসতে জানি আমরা সকলেই বই পছন্দ করি এই সুত্রে আমরা সুরে গাথা।
যারা বই দেখতে এসেছেন, পড়ছেন তারা অন্যকে বই পড়তে ও লিখতে উৎসাহী করবেন।
আরও পড়ুনঃ পুঠিয়ায় বাংলা লোকনাট্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান