ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মশার অসহনীয় উপদ্রব থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষার দাবিতে ভাড়াটিয়া পরিষদের মানববন্ধন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:২৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১
  • / 99

মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীকে এই অসহনীয় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় আজ ১২ মার্চ ২০২১ইং শুক্রবার সকাল ১০:৩০ টায় , জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের উদ্যোগে।

মানববন্ধনে  ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, “বর্তমানে রাজধানীতে মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই এখন মশার আক্রমণ। এ যেন মানুষের নয় মশার রাজধানী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।এছাড়া নগরীর খাল, নালা পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার প্রজনন স্থল।

ওষুধ পুরো কার্যকর হচ্ছে না।  মশারি, কয়েল আর স্প্রেও কোনো কাজে আসছে না, মশার প্রকোপ এত বেশি । বিভিন্ন গবেষণা উঠে এসেছে রাজধানীতে প্রায় ৪ গুণ মশার ঘনত্ব বেড়েছে ।

ম্যালেরিয়া,  ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে প্রতি বছর  আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মশা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়ার কোন কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”

তিনি আরো বলেন, “ নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না ,  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করেপারেশন আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিলে। বিভিন্ন এলাকার মশককর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার ফল এখন মানুষ ভোগ করছে।

তারা সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ অনুযায়ী বাসাবাড়ির আঙিনা, জলাশয়, ডোবা,ও ড্রেনে ওষুধ ছিটালে মশার বিস্তার ঘটতো না। বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে আনা যেতো। এছাড়া মশা যেহেতু জলাশয়ে বেশি বংশবিস্তার করে সেক্ষেত্রে সেখানে কীটনাশক স্প্রে করে মশার লার্ভা নষ্ট করতে তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব।”

ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের ডোবা, জলাশয় পানি প্রবাহ চলমান করে দিতে হবে।  মশকর্কর্মীদের ট্রেনিং দিতে হবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ।  নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে রাজধানীর ড্রেনগুলো ঢাকনা খুলে।

এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বিল্ডিংয়ের ছাদ এবং বেজমেন্ট সহ বিভিন্ন স্থানে অপরিচ্ছন্ন, নোংরা ও পানি জমে থাকে।  মশা বংশবিস্তার করে এসব স্থানে।  এসব বিল্ডিংকে নজরদারির আওতায় এনে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে , মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন।

রাজধানীর বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের অভিভাবক হিসবে আপনাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। মশক নিধন কর্মীদের সাথেযোগাযোগ রাখুন এবং স্ব-উদ্যোগে আপনাদের বাড়ির আশ-পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন । এতে করে ভাড়াটিয়াদের সাথে সাথে আপনাদের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।”

ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ মোস্তফা ভাড়াটিয়া পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক , কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জামাল শিকদার, শাহজাহান সিরাজ, আজম মোল্লা, মোস্তফা কামাল, মোছাঃ লাভলী, শামীম আহমেদ, অন্তর রহমান, তুহিন চৌধুরী, গোলাম ফারুক মজনু, মোঃ আলমগীর, মেনন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পরুনঃভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামীলীগ ও কর্মচারী পৌর এক যোগে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ

মশার অসহনীয় উপদ্রব থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষার দাবিতে ভাড়াটিয়া পরিষদের মানববন্ধন

প্রকাশিত সময় ০৭:২৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১

মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীকে এই অসহনীয় মশার উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় আজ ১২ মার্চ ২০২১ইং শুক্রবার সকাল ১০:৩০ টায় , জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের উদ্যোগে।

মানববন্ধনে  ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, “বর্তমানে রাজধানীতে মশার উপদ্রব ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বস্তি থেকে অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই এখন মশার আক্রমণ। এ যেন মানুষের নয় মশার রাজধানী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।এছাড়া নগরীর খাল, নালা পরিষ্কার না করায় বেড়েছে মশার প্রজনন স্থল।

ওষুধ পুরো কার্যকর হচ্ছে না।  মশারি, কয়েল আর স্প্রেও কোনো কাজে আসছে না, মশার প্রকোপ এত বেশি । বিভিন্ন গবেষণা উঠে এসেছে রাজধানীতে প্রায় ৪ গুণ মশার ঘনত্ব বেড়েছে ।

ম্যালেরিয়া,  ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে প্রতি বছর  আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মশা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়ার কোন কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”

তিনি আরো বলেন, “ নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না ,  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করেপারেশন আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিলে। বিভিন্ন এলাকার মশককর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার ফল এখন মানুষ ভোগ করছে।

তারা সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ অনুযায়ী বাসাবাড়ির আঙিনা, জলাশয়, ডোবা,ও ড্রেনে ওষুধ ছিটালে মশার বিস্তার ঘটতো না। বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে আনা যেতো। এছাড়া মশা যেহেতু জলাশয়ে বেশি বংশবিস্তার করে সেক্ষেত্রে সেখানে কীটনাশক স্প্রে করে মশার লার্ভা নষ্ট করতে তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব।”

ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের ডোবা, জলাশয় পানি প্রবাহ চলমান করে দিতে হবে।  মশকর্কর্মীদের ট্রেনিং দিতে হবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ।  নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে রাজধানীর ড্রেনগুলো ঢাকনা খুলে।

এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বিল্ডিংয়ের ছাদ এবং বেজমেন্ট সহ বিভিন্ন স্থানে অপরিচ্ছন্ন, নোংরা ও পানি জমে থাকে।  মশা বংশবিস্তার করে এসব স্থানে।  এসব বিল্ডিংকে নজরদারির আওতায় এনে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে , মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন।

রাজধানীর বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “ভাড়াটিয়াদের অভিভাবক হিসবে আপনাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। মশক নিধন কর্মীদের সাথেযোগাযোগ রাখুন এবং স্ব-উদ্যোগে আপনাদের বাড়ির আশ-পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন । এতে করে ভাড়াটিয়াদের সাথে সাথে আপনাদের পরিবারও সুরক্ষিত থাকবে।”

ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ মোস্তফা ভাড়াটিয়া পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক , কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জামাল শিকদার, শাহজাহান সিরাজ, আজম মোল্লা, মোস্তফা কামাল, মোছাঃ লাভলী, শামীম আহমেদ, অন্তর রহমান, তুহিন চৌধুরী, গোলাম ফারুক মজনু, মোঃ আলমগীর, মেনন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পরুনঃভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামীলীগ ও কর্মচারী পৌর এক যোগে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ