পাবনায় কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন
- প্রকাশিত সময় ০২:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
- / 115
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতি দাবিদারদের বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করছে- উচ্ছেদ তালিকায় থাকা বৈধ বসতি দাবিদারেরা।
(২৯ মার্চ) সোমবার সকাল ১০টা থেকে শহরের আব্দুর হামিদ সড়কের পাবনা প্রেস ক্লাবের এর সামনে এই আমরণ অবস্থান কর্মসূচী শুরু হয়েছে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ রিজভি ম্যাক্সিম, অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন, শ্রমিক নেতা পাভেল হাসান জাহাঙ্গীর, শামসুল হক বাবু, সাঈদ হাসনাইন বেবী সহ আরও অনেকে।
পাবনা পৌর এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী দীর্ঘদিন পরে আবারো খনন হতে যাচ্ছে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রাথমিক উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়।
সীমানা নির্ধারন ও আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকার কারনে বন্ধ রাখা হয়েছিল নদীর খনন কাজ।
সম্প্রতি সরকারের নদী রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আর পাবনা বাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে পাবনা পানি উন্নয়বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও পাবনা পৌরসভার সমন্বয়ে এই নদী খনন কাজ আবারো শুরু করতে যাচ্ছে।
কিন্তু নদীর দুই পারের শতবর্ষ ধরে বৈধ ভাবে সরকারের খাজনা-খারিজ দিয়ে বসবাসকৃত কয়েক হাজার বসতি আজ উচ্ছেদের হুমকির মুখে।
কোন প্রকারের নোটিস বা আলোচনা ছাড়াই এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে বলেছে আন্দোলনকারীরা।
তাদের দাবি চার পুরুষের বৈধ বসতিদের কাগজ পত্র দেখে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হোক।
আর যদি নদীর খনন করার জন্য জায়গা প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের ক্ষতিপূরন দিতে হবে সরকারকে।
তাই যতক্ষন পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। প্রয়োজনে লাশ হয়ে ফিরে যাবো তবু এই সমস্যার সমাধান চাই।
উচ্ছেদ করলে পূর্নবাসনের ব্যবস্থা চাই, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান এই অসহায় নদী পারের মানুষেরা।
চারটি বৈধ রেকর্ডধারীদের অবৈধ বলে কোন প্রকারের আলোচনা না করে জোড় পূর্বক সিমানা নির্ধারন করে আজ আমাদের উচ্ছেদ করা প্রক্রিয়া করেছে।
এই বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক এখনো মামলা চলমান।
আগামী ৩১ মার্চ থেকে আবারো পাবনা ইছামতি নদীর খনন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে বসতবাড়ি সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।