ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

এশিয়ার সেরা কম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস সহ বাংলাদেশের আরও দুটি কোম্পানি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • / 214

স্টাফ রিপোর্টারঃ উৎপাদন বিপণন ও লাভের তালিকা বিবেচনায় এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসাসফল শীর্ষ ২০০ টি কোম্পানির তালিকাভুক্ত করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।

প্রভাবশালী মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। উৎপাদন, বিপণন ও লাভের দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান তিনটি হলাে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস ও পাদুকা কোম্পানি ফরচুন সুজ।

তালিকার শীর্ষে অবস্থানরত স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস একটি ঔষধ বিক্রয়কারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ।যার বর্তমান বাজারমূল্য ১ হাজার ৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ ৫১২ মিলিয়ন ডলার এবং নিট আয় ১৫০ মিলন ডলার।

কোম্পানিটিতে ৯ হাজার ২৩৪ জন কর্মী কর্মরত রয়েছে । কোম্পানিটি ১৯৫৮ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী ও তার ৩ বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন। সাধারণের কম্পানিটি পৌছায় ১৯৯১ সালে এবং বিদেশে এন্টিবায়োটিক ও ঔষধ রপ্তানি শুরু করে ১৯৮৭ সাল থেকে। বর্তমানে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস বিশ্বের ৪২ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে।

তালিকার ২য় স্থান অধিকারি রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালস মানব ঔষধ ও প্রাণী স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে রেনেটা নিযুক্ত আছেন। কোম্পানিটি পশু-চিকিৎসা এবং পুষ্টি পণ্য উৎপাদন করে ।

রেনেটার বাজার মূল্য ১ হাজার ৭১ মিলিয়ন ডলার, কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ ৫১২ মেলিয়ন এবং নীট আয় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালসের পূর্বের নাম ছিল ফাইজার ল্যাবরেটরিজ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

রেনেটার বর্তমান প্রধান কার্যালয় ঢাকা, যেখানে প্রায় ২৩০০ কর্মী নিযুক্ত আছে। তারা বর্তমানে হরমোন, স্টেরয়েড এবং সাইটোটক্সিক সহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ প্রস্তুতকরে এবং যুক্ত রাজ্যে প্রিডনিসলন রপ্তানি করে।

৩য় স্থান অধিকারি ফরচুন সুজ লিমিটেড দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র রপ্তানি মুখী প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রায় ৪৫০০ পরিবার নির্ভরশীল।

প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হয় ২০১০ সালে। এটি একটি জুতা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান । এর বাজারমূল্য ২৮ মিলিয়ন ডলার এবং কোম্পানিটির বিক্রি ১৮ মিলিয়ন ও নিট আয়ের পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ডলার।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের এই তিন কোম্পানিসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা-সফল শীর্ষ ২০০টি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।তবে অল্প কিছু স্কোরের জন্যে এই তালিকায় নেই বেক্সিমকো ফার্মা (beximco)।

ফোর্বস জানিয়েছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এক বিলিয়ন ডলারের কম বিক্রি হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে তালিকাটি তৈরি করা হয়। এতে কর্পোরেট পারফর্মেন্সে ব্যতিক্রমী রেকর্ড করা প্রতিষ্ঠানগুলা স্থান পেয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বিক্রি ও মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ঋণের হার নিয়ন্ত্রণ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বেশি স্কোর করেছে তারা। ভারত, পাকিস্তান ও চীন এর অনেক কোম্পানি ঠাই করে নিয়েছে এই তালিকায়।

এশিয়ার সেরা কম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস সহ বাংলাদেশের আরও দুটি কোম্পানি

প্রকাশিত সময় ০৭:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ উৎপাদন বিপণন ও লাভের তালিকা বিবেচনায় এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসাসফল শীর্ষ ২০০ টি কোম্পানির তালিকাভুক্ত করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন।

প্রভাবশালী মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের করা তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। উৎপাদন, বিপণন ও লাভের দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান তিনটি হলাে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস ও পাদুকা কোম্পানি ফরচুন সুজ।

তালিকার শীর্ষে অবস্থানরত স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস একটি ঔষধ বিক্রয়কারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ।যার বর্তমান বাজারমূল্য ১ হাজার ৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ ৫১২ মিলিয়ন ডলার এবং নিট আয় ১৫০ মিলন ডলার।

কোম্পানিটিতে ৯ হাজার ২৩৪ জন কর্মী কর্মরত রয়েছে । কোম্পানিটি ১৯৫৮ সালে স্যামসন এইচ চৌধুরী ও তার ৩ বন্ধু মিলে শুরু করেছিলেন। সাধারণের কম্পানিটি পৌছায় ১৯৯১ সালে এবং বিদেশে এন্টিবায়োটিক ও ঔষধ রপ্তানি শুরু করে ১৯৮৭ সাল থেকে। বর্তমানে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস বিশ্বের ৪২ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে।

তালিকার ২য় স্থান অধিকারি রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালস মানব ঔষধ ও প্রাণী স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে রেনেটা নিযুক্ত আছেন। কোম্পানিটি পশু-চিকিৎসা এবং পুষ্টি পণ্য উৎপাদন করে ।

রেনেটার বাজার মূল্য ১ হাজার ৭১ মিলিয়ন ডলার, কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ ৫১২ মেলিয়ন এবং নীট আয় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালসের পূর্বের নাম ছিল ফাইজার ল্যাবরেটরিজ (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

রেনেটার বর্তমান প্রধান কার্যালয় ঢাকা, যেখানে প্রায় ২৩০০ কর্মী নিযুক্ত আছে। তারা বর্তমানে হরমোন, স্টেরয়েড এবং সাইটোটক্সিক সহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ প্রস্তুতকরে এবং যুক্ত রাজ্যে প্রিডনিসলন রপ্তানি করে।

৩য় স্থান অধিকারি ফরচুন সুজ লিমিটেড দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র রপ্তানি মুখী প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রায় ৪৫০০ পরিবার নির্ভরশীল।

প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হয় ২০১০ সালে। এটি একটি জুতা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান । এর বাজারমূল্য ২৮ মিলিয়ন ডলার এবং কোম্পানিটির বিক্রি ১৮ মিলিয়ন ও নিট আয়ের পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ডলার।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের এই তিন কোম্পানিসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা-সফল শীর্ষ ২০০টি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।তবে অল্প কিছু স্কোরের জন্যে এই তালিকায় নেই বেক্সিমকো ফার্মা (beximco)।

ফোর্বস জানিয়েছে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এক বিলিয়ন ডলারের কম বিক্রি হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে তালিকাটি তৈরি করা হয়। এতে কর্পোরেট পারফর্মেন্সে ব্যতিক্রমী রেকর্ড করা প্রতিষ্ঠানগুলা স্থান পেয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বিক্রি ও মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ঋণের হার নিয়ন্ত্রণ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বেশি স্কোর করেছে তারা। ভারত, পাকিস্তান ও চীন এর অনেক কোম্পানি ঠাই করে নিয়েছে এই তালিকায়।