নাটোরের বড়াইগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের সদর দরজা খোলা কিন্তু ভেতরে ঝুলছে তালা!
- প্রকাশিত সময় ০৭:১৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
- / 278
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে(সিসি) সদর দরজা খোলা থাকলেও ভেতরে ঝুলছে তালা। নেই সিএইচসিপি।
এলাকাবাসীর অভিযোগে মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যেই চোখে পড়ে।
প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দেখা মেলেনি দায়িত্বরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডর (সিএইচসিপি) সালমা পারভিন স্বপ্না’র।
কঠোর লকডাউনের খবরে সেবা নিতে আশা শিশু, বয়বৃদ্ধসহ অসহায় সাধারণ মানুষ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বিমুখ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়।
বন্ধের কারন সংক্রান্ত কোন নোটিশ ও নেই বাইরে। সিএইচসিপি স্বপ্না ‘সিসি’ মেরামতের কথা জানালেও সেখানে কোন মেরামত জনিত কাজ বা লোকজন দেখা যায়নি। অথচ সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছিলেন এই কমিউনিটি ক্লিনিকের। সেবার নামে এই অনিয়ম চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
সেবা নিতে আসা কয়েকজন ভুক্তোভোগী বলেন— এই ডাক্তার কে কখোনই নিয়মিত পাওয়া যায়না। চারিদিকে বন্ধ, আমাদের ঔষধ কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই, রোদের মধ্যে পায়ে হেঁটে এতোদূরে এসে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।
সেবার নামে এই উদাসীনতা মেনে নেওয়ার মত নয় বলে জানালেন সূধীজনরা।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও বরাদ্ধকৃত সরকারি জিনিসপত্রের অপব্যবহার, অফিসের জিনিসপত্র ব্যাক্তিগত কাজে লাগানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সালমা পারভিন স্বপ্না’র বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিএইচসিপি কর্মচারীরা বলেন— আমরা প্রয়োজনে ১দিন ছুটি পাইনা অথচ এর আগে বড়বাবু (হেড ক্লার্ক) এর সাথে যোগসাজশে বিনা অনুমতিতে ১মাস ছুটিও কাটিয়েছেন এই স্বপ্না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সালমা পারভীন স্বপ্না বলেন— অফিস রিপিয়ারিং (মেরামত) এর কাজ চলছে, তাই বাসা থেকে সেবা দিচ্ছি, অফিসের অনুমতি আছে। আপনারা চেয়ারম্যান—মেম্বর এর সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় কিনা? এবং সিসি বন্ধের কোন নোটিশ সামনে টানানো আছে কিনা জানতে চাইলে— তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
সিসি বন্ধ রেখে বাসা থেকে সেবা দেওয়ার কোন নিয়ম বা অনুমতি আছে কিনা? জানতে চাইলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএসও) আসাদুজ্জামান বলেন— সিসি বন্ধের বা বাসা থেকে সেবা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই এবং তাকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি, তিনি যেটা করেছে সেটা অবশ্যই অপরাধ, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।