যমুনা নদীর শাসন বাঁধে ভাঙ্গন
- প্রকাশিত সময় ০৭:০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
- / 170
শাহজাদপুরে যমুনা নদী শাসন বাঁধ স্থানে স্থানে ভাঙ্গনে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চলে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা নদী শাসন বাঁধ স্থানে স্থানে ব্লক ভাঙ্গন গিয়ে তৈরি হচ্ছে গভীর খাদ। আর শুষ্ক মৌসুমে দ্রুত পদক্ষেপে না নিলে বর্ষা মৌসুমে প্রবল ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে বাঁধের আরও বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে দাবি করছে গ্রামবাসী। এজন্য তারা এই মুহুর্তে জিও ব্যাগ/বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৈটোলা, বেড়া, পাবনা’র কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।
সরজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার গালা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামটি উত্তর-দক্ষিণ দিকে লম্বা এবং একই দিকে যমুনা নদীও প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই গ্রাম সংলগ্ন নদী শাসন বাঁধের কয়েকটি স্থান হঠাৎ করেই ব্লকসহ ডুবে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত স্থানের পানির গভীরতা প্রায় ৪০/৪৫ ফুট। কাশিপুর গ্রাম সংলগ্ন স্থানে ভাঙ্গনের প্রধান কারণ হলো, গ্রামটির পূর্বপাশে যমুনা নদীর বিশাল চর জেগে উঠেছে। যে কারণে যমুনা নদী প্রবাহ বাঁক ধরে সোজা দক্ষিণ-পশ্চিম মুখি হয়ে কাশিপুর গ্রামে এসে ধাক্কা খাচ্ছে। নদী প্রবাহ দেখে বুঝার উপায় নেই যে, কখন কোন স্থান ভেঙ্গে যাবে? কাশিপুর গ্রাম সংলগ্ন নদী শাসন বাঁধের যে কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন ধরেছে তার যেকোন একটি স্থান দিয়েও যদি যমুনা নদীর প্রচন্ড ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়, তবে ভাঙ্গনের কবলে পড়বে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রামের পুরাতন জামে মসজিদ, বিশাল কবরস্থানসহ কাশিপুর গ্রামটিই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে গর্জোনা, হাড়িয়াকান্দা, গালা ও মারজান গ্রাম। ওই গ্রামের সাবেক মেম্বর খোদাবক্স আহম্মেদের ছেলে বদিউজ্জামান, জামিরতা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম ও সাবেক মেম্বর সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মাঝে মাঝেই কোন কোন অংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে। তবে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে একটা ঘূর্ণিপাকের মতো হয়ে এখানটা ভেঙ্গে যায়। আমরা সবাই সামনেই বসা ছিলাম, সবাইতো ভয় পেয়ে গেছি।’ তারা আরও বলে, আমাদের মনে হয় ব্লকের নীচ থেকে বালু ও কার্পেট সরে গেছে। তাদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। যে কারণে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি এই মুহুর্তে যদি জিও ব্যাগ ফেলা হয় তাহলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব। নইলে বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৈটোলা, বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের কোন পরিকল্পনা আছে কি না এই মুহুর্তে আমার তা জানা নেই। তবে, আমার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হবে।