ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নাটোরের লালপুরে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ভঙ্গ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • / 150

লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতাঃ বোরো ধান ঘরে উঠতে এখনো অন্তত ২০ দিন বাকী, ধানের শীষ পোক্ত হয়নি।

অথচ নাটোরের লালপুর উপজেলার ক্ষেতের ধানের শীষে সোনালী রং ধরেছে। দুর থেকে মনে হবে ধান পাকা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা তার পুড়াই উল্টো। অজ্ঞাত কারণে মাঠের পর মাঠ ধানের শীষের গোড়া দিকে শুকিয়ে ধান চিটা হয়ে সোনালী রং ধরেছে। ফলে উপজেলার কৃষকের সোনালী ধানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

কৃষকরা বলছেন ২৮, জিরা, ৮১ ও ২৯ জাতের বোরো ধানের বেশী ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সাঁইপাড়া মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের সবুজ ধানের অধিকাংশ শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে।
ফলে অনেকে কৃষকই আধাপাকা ধান ধান কাটছেন।

পাশেই একটি ক্ষেতে আধাপাকা ধান কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ধানের শীষ শুকিয়ে যাবার কারণেই ওই জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানালেন উপস্থিত কৃষকরা। অপর একটি ধান ক্ষেতে দেখ গেল আধাপাকা ধান কাটছে কৃষকরা।

বাকনাই গ্রামের মহির উদ্দিন জানান, তার ২ বিঘা জমির জিরা জাতের ধানের শীষ দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি কাঁচা ধান কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মাজেদুল ইসলাম জানালেন, তার ক্ষেতের ২৮ জাতের ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। কি করবেন তারা বুঝতে পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

বাকনাই গ্রামের মহির আলী নামের আরো এক জন কৃষক জানালেন, তার ৮ বিঘা জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লালপুরের একজন কীটনাষক ওষুধ বিক্রেতার পরামর্শে ৪ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকার ওষুধ তিনি ধান ক্ষেতে স্প্রে করেছেন তা কোনো কাজেই আসেনি।

লালপুর-সালামপুর সড়কের সুন্দরগাড়া নামক স্থানে জিল্লুর রহমান নামের এক কৃষককে শুকিয়ে যাওয়া কতগুলো ধানের শীষ হাতে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এবং তিনি জানান, সুন্দরগাড়া মাঠে তারসহ অনেক কৃষকের ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি শুকনো ধানের শীষ নিয়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছেন। এর আগে ওষুধ ব্যবহার করে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি ।

এ ব্যাপারে লালপুরউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এটা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ধানের শীষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি ধান ক্ষেতে বেশী করে পানি রাখা সহ বিঘা প্রতি ৫ কেজি করে এমওপি সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন কৃষকদের।

আরও পড়ুনঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে ৪৮ লাখ টাকার হেরোইনসহ ট্রাক মালিক আটক

নাটোরের লালপুরে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ভঙ্গ

প্রকাশিত সময় ০১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতাঃ বোরো ধান ঘরে উঠতে এখনো অন্তত ২০ দিন বাকী, ধানের শীষ পোক্ত হয়নি।

অথচ নাটোরের লালপুর উপজেলার ক্ষেতের ধানের শীষে সোনালী রং ধরেছে। দুর থেকে মনে হবে ধান পাকা শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা তার পুড়াই উল্টো। অজ্ঞাত কারণে মাঠের পর মাঠ ধানের শীষের গোড়া দিকে শুকিয়ে ধান চিটা হয়ে সোনালী রং ধরেছে। ফলে উপজেলার কৃষকের সোনালী ধানের স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

কৃষকরা বলছেন ২৮, জিরা, ৮১ ও ২৯ জাতের বোরো ধানের বেশী ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সাঁইপাড়া মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের সবুজ ধানের অধিকাংশ শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে।
ফলে অনেকে কৃষকই আধাপাকা ধান ধান কাটছেন।

পাশেই একটি ক্ষেতে আধাপাকা ধান কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ধানের শীষ শুকিয়ে যাবার কারণেই ওই জমির ধান কাটা হয়েছে বলে জানালেন উপস্থিত কৃষকরা। অপর একটি ধান ক্ষেতে দেখ গেল আধাপাকা ধান কাটছে কৃষকরা।

বাকনাই গ্রামের মহির উদ্দিন জানান, তার ২ বিঘা জমির জিরা জাতের ধানের শীষ দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি কাঁচা ধান কেটে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মাজেদুল ইসলাম জানালেন, তার ক্ষেতের ২৮ জাতের ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। কি করবেন তারা বুঝতে পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

বাকনাই গ্রামের মহির আলী নামের আরো এক জন কৃষক জানালেন, তার ৮ বিঘা জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া লালপুরের একজন কীটনাষক ওষুধ বিক্রেতার পরামর্শে ৪ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকার ওষুধ তিনি ধান ক্ষেতে স্প্রে করেছেন তা কোনো কাজেই আসেনি।

লালপুর-সালামপুর সড়কের সুন্দরগাড়া নামক স্থানে জিল্লুর রহমান নামের এক কৃষককে শুকিয়ে যাওয়া কতগুলো ধানের শীষ হাতে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এবং তিনি জানান, সুন্দরগাড়া মাঠে তারসহ অনেক কৃষকের ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি শুকনো ধানের শীষ নিয়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছেন। এর আগে ওষুধ ব্যবহার করে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান তিনি ।

এ ব্যাপারে লালপুরউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এটা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ধানের শীষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি ধান ক্ষেতে বেশী করে পানি রাখা সহ বিঘা প্রতি ৫ কেজি করে এমওপি সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন কৃষকদের।

আরও পড়ুনঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে ৪৮ লাখ টাকার হেরোইনসহ ট্রাক মালিক আটক