ফরিদপুরের বৃলাহিড়ীবাড়ী আলহাজ্ব আবুল হোসেন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জড়িত
- প্রকাশিত সময় ০৯:০৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮
- / 136
ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি:উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ী আলহাজ্ব আবুল হোসেন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জড়িত থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় বিঘন্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
যোগাযোগ বিছিন্ন প্রত্যন্ত পল্লীর এ বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আবুল হোসেন প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের পাশেই আদর্শ গ্রাম (গুচ্ছ গ্রাম)। ভুমিহীন ছিন্নমুল ১ হাজার ২০০ মানুষ এখানে বসবাস করেন।
গ্রামের হতদরিদ্র ৬০/৭০ জন ছেলে-মেয়ে এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে। মোট প্রায় ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে। অর্ধেকের বেশি ছাত্রী। বৃলাহিড়ীবাড়ী ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় এটি।
লক্ষন্নীয়, দেওভোগ, পুরন্দরপুর, এরশাদ নগর, কাজীটোল, বাঁশুরিয়া, জন্তিহার ও আরকান্দি গ্রামের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ। দুইদিকে নদী বেষ্টিত যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে বাধা হয়ে আছে।
ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ থেকে দেওভোগ পর্যন্ত একটি পাকা রাস্তা থাকলেও দেওভোগ থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত কোন পাকা রাস্তা নেই। রাস্তাটি নির্মিত হলে দুই তিনটি গ্রামে ছাত্রÑছাত্রী এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা থেকে বেতুয়ান গ্রাম পর্যন্ত পাকা রাস্তা থাকলেও বেতুয়ান গ্রাম থেকে হাড়িয়াবাড়ী আদর্শ গ্রাম হয়ে বিদ্যালয় পর্যন্ত দ্ইু কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা করার জন্য অনেক বছরের দাবী এলাবাসীর।
বিদ্যালয়ের দুই পাশে গুমানী নদী থাকায় নদী পাড়ের ছাত্র-ছাত্রীরা খেওয়া নৌকার কারণে বিদ্যালয়ে যাতায়াতে বিঘ ঘটে। গুমানি নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মিত হলে ছাত্র-ছাত্রীসহ আশে পাশে ১৬ গ্রামের লোক উপকৃত হবে।
বিদ্যালয়টিতে দ্বিতল বিশিষ্ট্য একটি মাত্র ভবন আছে। ভবনটি ভুমিকম্পে কয়েক জায়গা ফাটল ধরেছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে ক্লাস করছেন। ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী এখানে একটি বহুতল বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের দাবী করেছেন।
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি উঁচু-নীচু। বাউন্ডারী দেওয়ালটি অসমাপ্ত থাকায় মাঠে গরু- ছাগলের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। মাঠটিতে মাটি ভড়াটসহ বাউন্ডারী ওয়ালটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলা-ধুলাও করতে পারবে।
বিদ্যালয়ে কোন কম্পিউটার শিক্ষক না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার শেখানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে ব্যক্তিগতভাবে একটি মাত্র কম্পিউটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বিদ্যালয়ে একজন দক্ষ কম্পিউটার শিক্ষকসহ একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার ও একটি ফটোস্ট্যাট মেশিনের বিশেষ প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।