ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার চাটমোহরে এ বছর ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে পাট চাষ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • / 154

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ সোঁনালী আশ খ্যাত পাট চাষ করে কৃষক একসময় লাভ করতে না পারায় পাট চাষে বিমুখ হচ্ছিলেন। গত দুই বছর যাবত পাটের দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে পাট চাষীদের চোখে মুখে এখন যেন হাসির ঝিলিক।

এ বছর অনেক কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন করছেন। অনেকে এখনও পাট বীজ বপন করতে পারেন নি। অনেকে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন।

তবে অফিসিয়ালী পাট বীজ বপন শেষ দেখানো হয়েছে। অনেক কৃষকই বলছেন পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে।

চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর।

গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।

চাটমোহরের আড়িংগাইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি মৌসুমে চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করবেন তিনি। তার জমির কাছাকাছি কোন সেচ যন্ত্র না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করতে পারেন নি। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় এখনো পাট বীজ বপন করতে পারেন নি তিনি। যারা সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করেছেন তাদের পাট চারা বেড়িয়ে গেছে। তারা এখন আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন।

উক্ত এলাকার পাট চাষের সত্তর ভাগ জমিতে কৃষক পাট বীজ বপন করেছেন বলেও জানান তিনি।

একই গ্রামের আফজাল প্রাং জানান, চাষ, বীজ, সার, দুই দফা আগাছা পরিষ্কার, কাটা, পঁচানো, আশ ছড়ানোসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ পরে যায়। গড় ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৮ মন। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়।

গত বছর ভর মৌসুমে প্রতি মন পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। যারা ভর মৌসুমে পাট বিক্রি করে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ পেয়েছিলেন। আর যারা বিক্রি না করে রেখে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, সত্যিই পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চাটমোহরে পাট বীজ বপন শেষ হয়েছে। আগামি দিনে খুব বেশি খড়া না হলে, আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক পাটের ভাল ফলন পাবেন।

পাবনার চাটমোহরে এ বছর ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে পাট চাষ

প্রকাশিত সময় ০২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ সোঁনালী আশ খ্যাত পাট চাষ করে কৃষক একসময় লাভ করতে না পারায় পাট চাষে বিমুখ হচ্ছিলেন। গত দুই বছর যাবত পাটের দাম বাড়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে পাট চাষীদের চোখে মুখে এখন যেন হাসির ঝিলিক।

এ বছর অনেক কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন করছেন। অনেকে এখনও পাট বীজ বপন করতে পারেন নি। অনেকে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করছেন।

তবে অফিসিয়ালী পাট বীজ বপন শেষ দেখানো হয়েছে। অনেক কৃষকই বলছেন পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে।

চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর।

গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।

চাটমোহরের আড়িংগাইল গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি মৌসুমে চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করবেন তিনি। তার জমির কাছাকাছি কোন সেচ যন্ত্র না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করতে পারেন নি। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় এখনো পাট বীজ বপন করতে পারেন নি তিনি। যারা সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করেছেন তাদের পাট চারা বেড়িয়ে গেছে। তারা এখন আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন।

উক্ত এলাকার পাট চাষের সত্তর ভাগ জমিতে কৃষক পাট বীজ বপন করেছেন বলেও জানান তিনি।

একই গ্রামের আফজাল প্রাং জানান, চাষ, বীজ, সার, দুই দফা আগাছা পরিষ্কার, কাটা, পঁচানো, আশ ছড়ানোসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ পরে যায়। গড় ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৮ মন। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়।

গত বছর ভর মৌসুমে প্রতি মন পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। যারা ভর মৌসুমে পাট বিক্রি করে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ পেয়েছিলেন। আর যারা বিক্রি না করে রেখে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পেয়েছেন।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান জানান, সত্যিই পাট চাষীদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চাটমোহরে পাট বীজ বপন শেষ হয়েছে। আগামি দিনে খুব বেশি খড়া না হলে, আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূলে থাকলে কৃষক পাটের ভাল ফলন পাবেন।