রাজশাহীর বাঘায় ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে
- প্রকাশিত সময় ১২:৫১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
- / 155
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া নিয়ে ঠিকাদারের নির্মাণসামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে রাস্তার নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করছেন এক ঠিকাদার। এবং কয়েক মাস ধরে এ মাঠ দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠে।
এতে মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচলে, নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের মাঠসহ সীমানার সৌন্দর্য্য। যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যালয় খুললে পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলে অভিযোগ এলাকাবাসির।
তাছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাঠ ভাড়া দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় কামরুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে বিদ্যালয় মাঠে রাস্তা সংস্কারের জন্য পিচ ও পাথর পোড়ানো হলে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
তারা আরও বলেন, টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
ফতেপুর বাউসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরল ইসলাম বলেন, ঠিকাদাররা বিদ্যালয় মাঠে যে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছে সেটা ভাড়া হিসেবে নয়। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে ঠিকাদার আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন। তবে সেই টাকা এখনো ঠিকাদার দেন নি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঝন্টু আলী বলেন, বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায় নি এবং গত মাসে তার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২কিলো ২০০ মিটার রাস্তার কাজ পেয়েছেন রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিলন এন্টার প্রাইজ। সাব লিজ নিয়ে সেই কাজটি করছেন মাহাবুব নামের একজন। তার পক্ষে কাজ দেখভাল করেন রায়হান।
তিনি জানান,মাহাবুব আমার দুলাভাই। তিনি এই এলাকার বিষ্ট মন্ডলের হাটে যাতায়াতের রাস্তার কাজ করছেন। বিদ্যালয় বন্ধ থাকা ও জায়গা না পাওয়ায় রাস্তা সংস্কার কাজে নির্মাণসামগ্রী ওই বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণসামগ্রী রাখা হবে।
অন্যদিকে উপজেলার কালিদাশখালি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও ফেলে রাখা হয়েছে ঠিকাদারের নির্মাণ সামগ্রী। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের একদিকে নির্মাণ সামগ্রী আর পুরো মাঠ দখলে নিয়ে ধানের খড় শুকানোর উৎসব।
তাছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম ওবায়িদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।বিদ্যালয়ের মাঠটি কিভাবে ঠিকাদারকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন। এ জন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার বিঘ্ন হতে পারে এমন কোন মালামাল বিদ্যালয় মাঠে রাখার নিয়ম নেই। তবে বিদ্যালয় উন্নয়নের স্বার্থে ম্যানেজিং কমিটি সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসার পাপিয়া সুলতানা চামেলী বলেন, বিষয়টি এর আগে জানতেন না তিনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।