ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীর বাঘায় পুকুর খননের মহাউৎসব, প্রশাসন নিরব ভূমিকায়

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • / 84

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে আবাদি জমিতে চলছে পুকুর খনন। এ বিষয়ে বিভিন্ন গনমাধ‍্যমে নিউজ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের তৎপরতা ও স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। স্থানীয় দের অভিযোগ প্রশাসনের ভুমিকা নিরব ও রহস্যজনক মনে হচ্ছে?

জানা গেছে,বাঘা উপজেলার বলিহার বিলে চলছে পুকুর খননের মহাউসৎসব। এ ছাড়া পুকুরর খনন করা হচ্ছে চাকিপাড়া বিলে, বাউসা ইউনিয়নের মধ্যে মাঝপাড়া, দিঘার চুনির বিল, কামারপাড়া বিল, পীরগাছা ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর, কলাবাড়িয়া, হাবাসপুর এবং বাজুবাঘা ইউনিয়নের হিজলপল্লী, বারখাদিয়া, নওটিকা এলাকায় ভেকু দিয়ে ব্যাপকহারে কাটা হচ্ছে পুকুর। এইসব এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য পুকুর খনন করা হচ্ছে।

ফলে বর্ষা মৌসুমে বিলে বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পুকুর খননে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুকুর কাটার কারণে শত শত বিঘা জমিতে রোপন করা আম গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

গত ৩-৪ বছর ধরে যে পরিমাণ পুকুর খনন করা হয়েছে এ বছরে প্রায় তার সমপরিমাণ কাটা হচ্ছে। এ কারণে এলাকার কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন না। যেসব জমিতে বিগত সময়ে এক বছরে তিন ধরনের ফসল উৎপাদন হতো। বর্তমানে ক‍ৃষকরা কোনো মৌসুমে ফসল ফলাতে পারছেন না। ফলে শত শত কৃষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বাউসা গ্রামের রতন কুমার জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন বিলগুলোতে যেভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে, তাতে দুই-তিন বছরের মধ্যে আর কোন ফসলি জমি থাকবে না। এদিকে বর্ষা মৌসুমের জন্য পদ্মা নদীর সঙ্গে ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। পুকুর খননের কারণে অনেক সমস্যায় পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। ফসল জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।

মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের অসিত কুমার জানান, আমার আগের পুকুর মেরামত করেছি। তবে ইতোমধ্যে সেটা কাটা হয়ে গেছে। তবে নতুন করে কোন পুকুর খনন করা হচ্ছে না। এদিকে তেঁথুলিয়া গ্রামের অচিন তলা বিলে পুকুর খননকারি জামাল উদ্দিন জানান, আমার নিচু জমিতে ফসল হয় না। তাই পুকুর খনন করা হয়েছে।

এদিকে চাকিপাড়া বিলে কয়েক বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে বলিহার বিলে চলছে পুকুর খননের মহাউসৎসব।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জানান, বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন চলছে শুনেছি। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পুকুর খনের বিষয়টি জেনেছি। আগামী মাসের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনা করা হবে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলী জানান, যেখানে পুকুর খনন হচ্ছে, সেখানে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ভেকু সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে সকল এলাকায় আরো নতুনভাবে পুকুর খনন চলছে, সেই এলাকায় অভিযান চালানো হবে এবং পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজশাহীর বাঘায় পুকুর খননের মহাউৎসব, প্রশাসন নিরব ভূমিকায়

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

বাঘা উপজেলা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে আবাদি জমিতে চলছে পুকুর খনন। এ বিষয়ে বিভিন্ন গনমাধ‍্যমে নিউজ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের তৎপরতা ও স্থানীয়রা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। স্থানীয় দের অভিযোগ প্রশাসনের ভুমিকা নিরব ও রহস্যজনক মনে হচ্ছে?

জানা গেছে,বাঘা উপজেলার বলিহার বিলে চলছে পুকুর খননের মহাউসৎসব। এ ছাড়া পুকুরর খনন করা হচ্ছে চাকিপাড়া বিলে, বাউসা ইউনিয়নের মধ্যে মাঝপাড়া, দিঘার চুনির বিল, কামারপাড়া বিল, পীরগাছা ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর, কলাবাড়িয়া, হাবাসপুর এবং বাজুবাঘা ইউনিয়নের হিজলপল্লী, বারখাদিয়া, নওটিকা এলাকায় ভেকু দিয়ে ব্যাপকহারে কাটা হচ্ছে পুকুর। এইসব এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য পুকুর খনন করা হচ্ছে।

ফলে বর্ষা মৌসুমে বিলে বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পুকুর খননে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুকুর কাটার কারণে শত শত বিঘা জমিতে রোপন করা আম গাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

গত ৩-৪ বছর ধরে যে পরিমাণ পুকুর খনন করা হয়েছে এ বছরে প্রায় তার সমপরিমাণ কাটা হচ্ছে। এ কারণে এলাকার কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন না। যেসব জমিতে বিগত সময়ে এক বছরে তিন ধরনের ফসল উৎপাদন হতো। বর্তমানে ক‍ৃষকরা কোনো মৌসুমে ফসল ফলাতে পারছেন না। ফলে শত শত কৃষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বাউসা গ্রামের রতন কুমার জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন বিলগুলোতে যেভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে, তাতে দুই-তিন বছরের মধ্যে আর কোন ফসলি জমি থাকবে না। এদিকে বর্ষা মৌসুমের জন্য পদ্মা নদীর সঙ্গে ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। পুকুর খননের কারণে অনেক সমস্যায় পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। ফসল জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে।

মনিগ্রাম ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের অসিত কুমার জানান, আমার আগের পুকুর মেরামত করেছি। তবে ইতোমধ্যে সেটা কাটা হয়ে গেছে। তবে নতুন করে কোন পুকুর খনন করা হচ্ছে না। এদিকে তেঁথুলিয়া গ্রামের অচিন তলা বিলে পুকুর খননকারি জামাল উদ্দিন জানান, আমার নিচু জমিতে ফসল হয় না। তাই পুকুর খনন করা হয়েছে।

এদিকে চাকিপাড়া বিলে কয়েক বিঘা জমিতে পুকুর খননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে বলিহার বিলে চলছে পুকুর খননের মহাউসৎসব।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জানান, বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন চলছে শুনেছি। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, পুকুর খনের বিষয়টি জেনেছি। আগামী মাসের মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপনা করা হবে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলী জানান, যেখানে পুকুর খনন হচ্ছে, সেখানে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ভেকু সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে সকল এলাকায় আরো নতুনভাবে পুকুর খনন চলছে, সেই এলাকায় অভিযান চালানো হবে এবং পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।