ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরে কামারপল্লীতে ওস্তাদ-সাগরেদ্দের ব্যস্ততা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮
  • / 90

চাটমোহর (পাবনা) :পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের অধ্যূষিত উপজেলাগুলোতে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কামারপল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানির ঈদের আর কয়েকদিন বাকি।

কোরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দা, বঁটি ও ছুরি। কামারপল্লীতে ওস্তাদ সাগরেদ্দের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।এঅঞ্চলের প্রত্যন্ত জনপদের কামারপল্লী ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের ছন্দোময় পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। এদিকে ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিরা চষে বেড়াচ্ছে এখানে-সেখানে।

নিরমল কুমার মন্ডলসহ কয়েকজন কামার জানায়, কোরবানি ঈদে গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অবশ্যই প্রয়োজন হয়।

ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে আরও এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।কামাররা আরোও জানায়, বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে, যেন নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই।

ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও পাইকারি দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুরি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।সংশ্লিষ্টরা জানায়, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ৬০ থেকে ৪৭০ টাকা, ছুরি ৩৫ থেকে ৩২০ টাকা,

ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ২২০ থেকে ৪২০ টাকা এবং ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ‘পানি’ দিতে ১৫৫ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজারের কামার শ্রী নির্মল কুমার মন্ডল জানান, সারা বছর কমবেশি কাজ হলে কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।

ভোর থেকে রাত গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারশালার কাজ। গাছের গুরির মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চাটমোহরে কামারপল্লীতে ওস্তাদ-সাগরেদ্দের ব্যস্ততা

প্রকাশিত সময় ১০:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৮

চাটমোহর (পাবনা) :পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলের অধ্যূষিত উপজেলাগুলোতে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কামারপল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানির ঈদের আর কয়েকদিন বাকি।

কোরবানির পশু কাটাকুটিতে চাই ধারালো দা, বঁটি ও ছুরি। কামারপল্লীতে ওস্তাদ সাগরেদ্দের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।এঅঞ্চলের প্রত্যন্ত জনপদের কামারপল্লী ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের ছন্দোময় পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। এদিকে ধাতব সরঞ্জামাদি শান দিতেও ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ শানদানিরা চষে বেড়াচ্ছে এখানে-সেখানে।

নিরমল কুমার মন্ডলসহ কয়েকজন কামার জানায়, কোরবানি ঈদে গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার অবশ্যই প্রয়োজন হয়।

ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে আরও এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।কামাররা আরোও জানায়, বর্তমানে পুরোদমে কাজ চলছে, যেন নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই।

ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও পাইকারি দোকানদার ও খুচরা ক্রেতাদের চাহিদা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না।

কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুরি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।সংশ্লিষ্টরা জানায়, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ৬০ থেকে ৪৭০ টাকা, ছুরি ৩৫ থেকে ৩২০ টাকা,

ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ২২০ থেকে ৪২০ টাকা এবং ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা ‘পানি’ দিতে ১৫৫ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজারের কামার শ্রী নির্মল কুমার মন্ডল জানান, সারা বছর কমবেশি কাজ হলে কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।

ভোর থেকে রাত গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারশালার কাজ। গাছের গুরির মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।