প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখলীর সুবর্ণচরে দুটি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন করছেন
- প্রকাশিত সময় ০৬:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
- / 260
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জানমাল রক্ষার্থে নবনির্মিত দুটি মুজিব কিল্লা’র শুভ উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার ২৩ মে বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত মুজিব কিল্লা দুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম ইবনুল হাসান ইভেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশানর এবিএম আজাদ, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা.জাফর উল্যাহ, সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম সহ সাংবাদিক ও জনসাধারন।
মুজিব কিল্লা’র উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে জনসাধারনের মধ্য থেকে একজন উপকার ভোগী বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, “মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দুর্যোগ কবলিত পরিবার ও গৃহপালিত প্রাণী এবং মূল্যবান দ্রব্য সামগ্রী নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য ৮ হাজার বর্গমিটারের দুটি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামে দুই কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৭ টাকা ব্যয়ে ও চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এক কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয়ে মুজিব কিল্লা দুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সাধারণ কৃষিজমি থেকে ১১ ফুট উঁচুতে পুরনো মাটির উপর নির্মিত ভবনের প্রথম তলায় ও ছাদে ৫০০ পরিবারের মানুষ একত্রে আশ্রয় নিতে পারবে। গবাদি পশুর জন্য ৫৫৮ বর্গমিটারের শেড রয়েছে, আছে বাথরুম সুবিধাসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
এছাড়া বিদ্যুৎ, সোলার সিস্টেম সুবিধা রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এসব কিল্লায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খেলার মাঠ ও হাট-বাজার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অল্প খরচে যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে জনসাধারনের জানমাল রক্ষার্থে বেশ কিছু মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এই কিল্লাগুলো নির্মাণ করা হয়। তখন এগুলো মুজিব কিল্লা নামে পরিচিতি পায়। একপর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিল্লাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কিল্লা ও তার আশপাশের জমি বেদখল ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।