প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত
- প্রকাশিত সময় ০৫:০০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অগাস্ট ২০১৮
- / 121
ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত দিলপাশার ইউনিয়নে অবস্থিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৫ জন। ৬ শত বছরের পুরাতন দিলপাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ও একজন ডিপিএড প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তাই বিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়ার জন্য এখন শিক্ষক আছেন মাত্র দু’জন। এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান সিদ্দিকি ওরফে হেলাল খান দিনের পর দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন।
তাই ক্লাস চলছে ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে! অভিযুক্ত ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও একই সাথে তিনি পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করছেন।
এছাড়া তিনি নিজেকে তথাকথিত ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দেন। যার ফলে শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন একেবারেই ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান সিদ্দিকি ওরফে হেলাল খান একটি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকায় তার পরিবর্তে একজন ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’ দিয়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করান। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার সুযোগে অবশিষ্ট একজন সহকারি শিক্ষক রাশিদুল ইসলামও বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না।
চলতি সপ্তাহের গত শনিবার, রবিবার ও সোমবার অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত না গিয়ে সুবিধামত একদিন হাজির হয়ে খাতায় কয়েক দিনের স্বাক্ষর একবারে করেন।
উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেনের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার অভিযোগ উত্থাপন করেন। সংসদ সদস্য তাৎক্ষণিক বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি নিয়ে নিরব রয়েছেন প্রশাসন। এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার জানান, ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে নিয়মিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও কোন প্রতিকার মেলেনি।
দিলপাশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ প্রণো জানান, ‘ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয় না। নিজেকে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দেন। শুনেছি সে নাকি অন্য একটি কলেজেও চাকুরি করেন।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।