শাহজাদপুরে কচু চাষে লাভবান হচ্ছে চাষীরা- বাড়ছে চাষাবাদ
- প্রকাশিত সময় ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
- / 153
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। অল্প পুঁজিতে ভালো মুনাফা হওয়ায় কচু চাষের প্রতি ঝুঁকছেন এ উপজেলার কৃষক।
উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড় মহারাজপুর, নন্দলালপুর, ছোট মহারাজপুর, পোরজনা, হরিনাথপুর গ্রামে বেশি কচু চাষ হয়। অন্য সবজির পাশাপাশি কচুর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ওল কচু ২০ হেক্টর, পানি কচু ৭০ হেক্টর, মুখী কচু ৬০ হেক্টর, লতি কচু ৩০ হেক্টরসহ মোট ১৮০ হেক্টর জমিতে কচুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কচুর বাম্পার ফলনও হয়েছে।
ওল কচু ২৮০ মেট্রিক টন, পানি কচু ২৪৫০ মেট্রিক টন, মুখী কচু ১০২০ মেট্রিক টন, লতি কচু ৭৫০ মেট্রিকটনসহ মোট ৪৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে।
সরে জমিনে ঘুরে বুধবার ২রা জুন দুপুরে উপজেলার বড়মহারাজপুর গ্রামে কয়েকটি কচু ক্ষেত ঘুরে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অল্প খরচে অধিক লাভ করা যায় কচুতে। বড় মহারাজপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি কচুর চাষ হয়েছে।
বাজারে মাছ-মাংসের দাম বেশি থাকায় এবং অন্য সবজির তুলনায় কচুর মূল্য কম হওয়ায় ক্রেতারাও কচুর দিকে ঝুঁকছেন।
তাছাড়া ডায়া, পুঠিয়া গ্রামেও কচুর যথেষ্ট চাষ হচ্ছে। এ উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির কচুর চাষ হচ্ছে। উলো হলো পাইন্যে কচু, মান কচু, ওল কচু, গুরি কচু, মদন কচু, বাংলা কচু, গাউক্রা কচু ও খাউজান্যে কচু। কৃষকরা বাংলা কচু ও খাউজান্যে কচু ছাড়া বাকি সব কচুর চাষ করে থাকেন।
তবে পানি কচু অর্থাৎ পাইন্যে কচুর চাষ বেশি করে থাকেন। বড় মহারাজপুর গ্রামের কচু চাষী আব্দুস সালাম জানান, তিনি প্রতি বছর দেড় বিঘা জমিতে কচু চাষ করে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা আয় করছেন।
প্রতি ২২ শতক জমিতে পাইন্যে কচুর চাষ করতে সার, কীটনাশকসহ সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ৭/৮ হাজার টাকা। কচুর লতি ও কচু বিক্রি করে ৪০/৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
হরিনাথপুর গ্রামের মাজেম বলেন, একটু কষ্ট করলেই কচুর চাষ ভালো হয়। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে উপজেলায় কচু চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুস ছালাম জানান, উপজেলার সর্বত্রই কচুর চাষ ভালো হয়। এ বছরও কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তা নিলে চাষিরা আরো লাভবান হবে।