পাবনা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তাড়াশ রাজবাড়ী
- প্রকাশিত সময় ১০:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
- / 94
স্টাফ রিপোর্টারঃ তাড়াশ রাজবাড়ী পাবনা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যা পাবনা শহরের সবচাইতে পুরাতন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী হিসেবে সুপরিচিত।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮০০ সালের কোনো এক সময় তাড়াশ রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন তাড়াশের তৎকালীন জমিদার রায়বাহাদুর বনমালী রায়। স্থাপত্যের দিক দিয়ে এটির সাথে ইউরোপীয় রেনেসাঁ রীতির মিল পাওয়া যায়। এখান থেকে রায়বাহাদুর তার পরিপূর্ণ তাড়াশের জমিদারি পরিচালনা করতেন ।
রায়বাহাদুর বনমালী রায়ের দুটি হাতি ছিল। হাতিদের প্রবেশে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য তার প্রধান ফটকটিতে বৃহৎ আকারে তৈরি করা হয়।
আয়তাকার এই ভবনটির মোট দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৬০ ফুট হলেও এই ভবনটির মনোরম কারুকার্য এবং বৃহদায়তন কারুকার্য খচিত স্তম্ভগুলো সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ।
শোনা যায়, রায়বাহাদুরের মেয়ের নাম ছিল তারা দেবী। অনেকে মনে করেন জমিদারের মেয়ের নাম তারা থেকে তাড়াশের উৎপত্তি। একই সূত্র ধরে রায়বাহাদুরের মায়ের নাম ভবানী, সেই নাম অনুসারে তাড়াশের ১৫ কিলোমিটার উত্তরে ভবানীপুর নামে নাম করণ করা হয় এবং মা ভবানী মন্দির স্থাপন করা হয়।
তৎকালীন পাবনার জমিদার সমূহের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ছিলেন এই রায় বাহাদুর বনমালী রায়। জনশ্রুতি অনুসারে রায়বাহাদুর জমিদারের বংশধরগণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালে এই ভবনটি তাদের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
৮ই জানুয়ারি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে থেকে সংরক্ষিত ঘোষণার পূর্বে ভবনটি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর হিসেবে এবং পাবনা মেডিকেল কলেজের ভবন হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে।
আরও পরুনঃগাইবান্ধায় নদীতে ভেসে উঠল মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যদেহ!