ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ায় মুক্তিকে পুড়িয়ে হত্যার নেপথ্যে: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জলাশয় দখল

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / 74

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ-পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ৪দিন পরেও বাড়িতে কান্নার রোল থামেনি।

মুক্তিযোদ্ধা কন্যা পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের (অনার্স) ২য় বর্ষের ছাত্রী মুক্তি খাতুন (২২) কে পিতার প্রতিপক্ষের গ্রুপ গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারায় ওই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম চলছে।

এখনও বাড়িতে ও বাড়ির আশে পাশে প্রচুর লোক সমাগম। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন সাঁথিয়া ও পাবনার একদল জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক নাগডেমড়া মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গেলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্বজনেরা।

কান্না জড়িত কন্ঠে মুক্তির বড় বোন বেলী খাতুন বলেন, ওরা অসময়ে আমার বোনকে পুড়িয়ে মেরে দুনিয়া ছাড়া করলো। মুক্তি খালা রোজিনা বলেন, জেলে,ি মনি, চম্পা ও শাকের মিলে বাড়িতে ঢুকে মুক্তির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সরেজমিন এ ঘটনার পিছনে দুটি কারণ বেড়িয়ে আসে। ১ম কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। ২য় কারণ পাউবো’র জলাশয় দখল। মুক্তির পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার মেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার বংশ আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত আওয়ামী লীগ পরিবার।

২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নাগডেমড়া নির্বাচন কেন্দ্রে আ’লীগ নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি।

র্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ কর্তৃক হ্ইাকোর্টে দায়ের করা মামলায় আমি স্বাক্ষী ছিলাম। তখন থেকেই নাগডেমড়া গ্রামের বাসিন্দা নাগডেমড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আব্দুস ছালাম আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে টার্গেট করে।

সালাম একজন সুবিধাবাদী চরিত্রের লোক। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে তার ভোল বদলিয়ে ওই দলে যোগ দেয়। সে একজন হাইব্রিড আওয়ামী লীগার । এর সাথে একমত পোষণ করে নাগডেমড়া ই্উনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, ছালাম প্রথমে জাতীয় পার্টি করে।

পরবর্তিতে বিএনপি এবং ২০০১সালে জামায়াত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ২০০৮ সালে সে আ’লীগে যোগ দিয়ে নাগডেমড়া ইউনিয়ন আ’লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি হয়। তার গ্রুপের আয়নাল, জাহেদ, সাচ্চু ও আবু খাঁটি জামাত ও মাসুদ বিশ্বাস বিএনপি।

ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ছালামের চাচাতো ভাই আপন বলেন, ছালাম একজন ধান্দাবাজ, ক্ষমতালোভী। গ্রামের সব কাজে সে তার দাপট দেখায়। দল বদল করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করা তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সে নানা অনৈতিক কাজের হোতা ।

তার অনৈতিক কাজে সহযোগিতা না করায় তার গ্রুপ আমাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলকে সে রাজনৈতিক শত্রু মনে করে। ২য় কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানান, নাগডেমরা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

ওই জলাশয়টি প্রথমে মোজাম্মেল হক গ্রুপের লোকজনের দখলে ছিল। এটি দখলে নিতে যায় ছালাম গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে দু’গ্রুপের বিরোধের সূত্রপাত । এই বিরোধের জেরে গত ৩১ জুলাই ছালাম গ্রুপের লোকজন মোজাম্মেল হক গ্রুপের বাড়িতে হামলা চালায়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থকে।

এক পর্যায়ে ছালাম গ্রুপের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ্ভয় গ্রুপের ৮/১০ জন আহত হয়। এব্যাপরে সাঁথিয়া থানায় দু’টি মামলা হয় । লুটপাটের পর ছালাম গ্রুপের ভয়ে মোজাম্মেল হক পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল জানান, ১২ আগস্ট সাঁথিয়া থানার ওসি(তদন্ত) আঃ মজিদ ও নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ কোন অসুবিধা হবেনা মর্মে আমাকে আশ্বস্ত করে বাড়িতে রেখে যায়। বাড়িতে রেখে যাওয়ার পর ছালাম গ্রুপ আমাকে হত্যার হুমকি দিলে আমি থানায় জিডি করি।

এতে রাগান্নিত হয়ে ছালাম গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৯ আগস্ট ৩০-৪০ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওরা আমাকে ও আমার ছেলেদের খুঁজতে থাকে। প্রান ভয়ে আমরা বড়াল নদী সাঁতরিয়ে ওপাড়ে চলে যাই।

হামলাকারিরা বাড়িতে কোন পুরুষ না পেয়ে রাজনেতিক প্রতিহিংসার ঝাল মেটাতে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মুক্তির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর আহত মুক্তিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া হাসপাতালে ও পরে ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

৯ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ২৭ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মুক্তি শেয় নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে ছালামের বৃদ্ধ মাতা জহুরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ওই মেয়ের ক্যান্সার ছিল। আমার ছেলেদের ফাঁসনোর জন্য মোজাম্মেল নিজেই ওর মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। ও আর মুসলমান নাই, হিন্দু হয়া গ্যাছে

এই রকম আরও টপিক

সাঁথিয়ায় মুক্তিকে পুড়িয়ে হত্যার নেপথ্যে: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জলাশয় দখল

প্রকাশিত সময় ০৮:০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ-পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ৪দিন পরেও বাড়িতে কান্নার রোল থামেনি।

মুক্তিযোদ্ধা কন্যা পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের দর্শন বিভাগের (অনার্স) ২য় বর্ষের ছাত্রী মুক্তি খাতুন (২২) কে পিতার প্রতিপক্ষের গ্রুপ গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারায় ওই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম চলছে।

এখনও বাড়িতে ও বাড়ির আশে পাশে প্রচুর লোক সমাগম। গতকাল শুক্রবার সরেজমিন সাঁথিয়া ও পাবনার একদল জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক নাগডেমড়া মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গেলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্বজনেরা।

কান্না জড়িত কন্ঠে মুক্তির বড় বোন বেলী খাতুন বলেন, ওরা অসময়ে আমার বোনকে পুড়িয়ে মেরে দুনিয়া ছাড়া করলো। মুক্তি খালা রোজিনা বলেন, জেলে,ি মনি, চম্পা ও শাকের মিলে বাড়িতে ঢুকে মুক্তির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সরেজমিন এ ঘটনার পিছনে দুটি কারণ বেড়িয়ে আসে। ১ম কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। ২য় কারণ পাউবো’র জলাশয় দখল। মুক্তির পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বলেন, আমার মেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমার বংশ আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত আওয়ামী লীগ পরিবার।

২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নাগডেমড়া নির্বাচন কেন্দ্রে আ’লীগ নেতা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। নির্বাচনে প্রতিপক্ষ ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি।

র্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ কর্তৃক হ্ইাকোর্টে দায়ের করা মামলায় আমি স্বাক্ষী ছিলাম। তখন থেকেই নাগডেমড়া গ্রামের বাসিন্দা নাগডেমড়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আব্দুস ছালাম আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে টার্গেট করে।

সালাম একজন সুবিধাবাদী চরিত্রের লোক। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে তার ভোল বদলিয়ে ওই দলে যোগ দেয়। সে একজন হাইব্রিড আওয়ামী লীগার । এর সাথে একমত পোষণ করে নাগডেমড়া ই্উনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, ছালাম প্রথমে জাতীয় পার্টি করে।

পরবর্তিতে বিএনপি এবং ২০০১সালে জামায়াত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ২০০৮ সালে সে আ’লীগে যোগ দিয়ে নাগডেমড়া ইউনিয়ন আ’লীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি হয়। তার গ্রুপের আয়নাল, জাহেদ, সাচ্চু ও আবু খাঁটি জামাত ও মাসুদ বিশ্বাস বিএনপি।

ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ছালামের চাচাতো ভাই আপন বলেন, ছালাম একজন ধান্দাবাজ, ক্ষমতালোভী। গ্রামের সব কাজে সে তার দাপট দেখায়। দল বদল করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করা তার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সে নানা অনৈতিক কাজের হোতা ।

তার অনৈতিক কাজে সহযোগিতা না করায় তার গ্রুপ আমাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেলকে সে রাজনৈতিক শত্রু মনে করে। ২য় কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানান, নাগডেমরা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাশয় দখলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

ওই জলাশয়টি প্রথমে মোজাম্মেল হক গ্রুপের লোকজনের দখলে ছিল। এটি দখলে নিতে যায় ছালাম গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে দু’গ্রুপের বিরোধের সূত্রপাত । এই বিরোধের জেরে গত ৩১ জুলাই ছালাম গ্রুপের লোকজন মোজাম্মেল হক গ্রুপের বাড়িতে হামলা চালায়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থকে।

এক পর্যায়ে ছালাম গ্রুপের লোকজন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাটসহ অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ্ভয় গ্রুপের ৮/১০ জন আহত হয়। এব্যাপরে সাঁথিয়া থানায় দু’টি মামলা হয় । লুটপাটের পর ছালাম গ্রুপের ভয়ে মোজাম্মেল হক পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল জানান, ১২ আগস্ট সাঁথিয়া থানার ওসি(তদন্ত) আঃ মজিদ ও নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ কোন অসুবিধা হবেনা মর্মে আমাকে আশ্বস্ত করে বাড়িতে রেখে যায়। বাড়িতে রেখে যাওয়ার পর ছালাম গ্রুপ আমাকে হত্যার হুমকি দিলে আমি থানায় জিডি করি।

এতে রাগান্নিত হয়ে ছালাম গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৯ আগস্ট ৩০-৪০ জনের একটি দল আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওরা আমাকে ও আমার ছেলেদের খুঁজতে থাকে। প্রান ভয়ে আমরা বড়াল নদী সাঁতরিয়ে ওপাড়ে চলে যাই।

হামলাকারিরা বাড়িতে কোন পুরুষ না পেয়ে রাজনেতিক প্রতিহিংসার ঝাল মেটাতে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মুক্তির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। গুরুতর আহত মুক্তিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সাঁথিয়া হাসপাতালে ও পরে ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

৯ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ২৭ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মুক্তি শেয় নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে ছালামের বৃদ্ধ মাতা জহুরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ওই মেয়ের ক্যান্সার ছিল। আমার ছেলেদের ফাঁসনোর জন্য মোজাম্মেল নিজেই ওর মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। ও আর মুসলমান নাই, হিন্দু হয়া গ্যাছে