ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নারী পাচারের অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / 172

স্টাফ রিপোর্টারঃ মে মাস এর শেষ দিকে ভারতে একটি বাংলাদেশী তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পরে। ভিডিওটিতে দেখা যায় ৪ জন লম্পট মেয়েটিকে খুবই নির্মম ভাবে নির্যাতন করছে, খুব দ্রুতই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পরে।

ভিডিওটি পুলিশের নজরে পরলে নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। জানা যায় টিকটক অ্যাপ ব্যাবহার করে তাকে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেয় তারা ।

পুলিশ এর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে কিছু ভুক্তভোগী তাদের মধ্যে দুইজন এর সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের সাথে ও অনেকটা একই ভাবে ঘটে ঘটনাটি । ২ জনেরই ছিল টাকার দরকার ।

তাদের টিকটিক ও মেসেঞ্জারে এমন সময় কথা হয় আরও ২ টি ভারতীও মেয়ের সাথে যারা তাদের নিজের ভাল অবস্থার কথা জানায় ও তাদের চাকরি দেওার ওয়াদা করে তাদের পাচার করে দেয়।

এক এর পর এক এমন ঘটনার পর পুলিশ কোমর বেধে নামলে বাংলাদেশে ধরা পরে আরও একদল পাচারকারী এবং সামনে আসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পুলিশ বলছে বাংলাদেশ এর সীমান্তবর্তী এলাকা সাতক্ষীরা,যশোর,ও ঝিনাইদহে পাচারকারীদের বেশ কিছু আস্তানা রয়েছে যেখানে তারা পাচার করার জন্য নিয়া আসা শিশু ও নারীদের রাখে এবং রাত হলে তাদের বাংলাদেশ – ভারত এর বর্ডার পার করিয়ে দেয়।

বর্ডার এর ওই পারে থাকে পাচারকারীর আরাকদল যাদের কাছে থাকে তাদের নকল ভারতীও পাসপোর্ট , আধার কাড ও যাবতীয় কাগজ নিয়ে তৈরি থাকে। সেখান থেকে প্লাইনে করে তাদের সরাসরি পাঠানো হয় বাঙ্গালুরুর আনন্দপুরে যেখানে এই পাচার চক্রের একটি বড় আস্তানা আসে বলে প্রমাণ পায় সেখানকার পুলিশ । তবে ভারতে এটিই তাদের এক মাত্র জায়গা নয় । চেন্নাইতে ও তাদের একটি বড় চক্র রয়েছে ।

ভারতের পুলিশ এই ঘটনা চক্রে গ্রেফতার করে মোট ১৩ জন এবং বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে আরও ১২ জনকে । তেজগাঁও বিভাগের উপ – পুলিশ কমিশনার জানায় ; এই চক্রটি এর থেকেও অনেক বড়, আরও ৫টি মামলা হয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছে তাদের আইনের আউতায় আনচে।

তিনি আরও বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন আরও কিছু মেয়ে হয়ত খুব তারতারিই পালিয়ে এসে আইনের আশ্রয় নিবে। ব্র্যাক এর হিসাব মতে ২০০৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ প্রজন্ত পাচার এর ঘটনায় মোট মামলা ৬,৭৩৫ টি এবং মোট ভুক্তভোগী ১২,৩২৪ জন ।

ভুক্তভোগীরা জানায় তাদের উপর এমন অমানবিক নির্যাতন করত তারা যা ভাষায় বলা সম্ভব না । তাদের এক জায়গায় বেশি দিন রাখা হত না। তাদের কিছু দিন পর পরই অন্ও জায়গায় পাঠানো হত ।

একদিন তাদের মধ্যে একজন সেই বাসার জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে আসে এবং ট্রেন নিয়ে কলকাতা তারপর বাংলাদেশ । তার আগে তার বড় বোন এবং তার সাথে তার সমবয়সী খালাকে ও পাচার করা হয়েছিল যাদের খোজ সে কখনই পায়নি ।

আরও পড়ুনঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ইয়াবা ও মাইক্রোসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নারী পাচারের অন্যতম মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া

প্রকাশিত সময় ১০:৩০:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ মে মাস এর শেষ দিকে ভারতে একটি বাংলাদেশী তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পরে। ভিডিওটিতে দেখা যায় ৪ জন লম্পট মেয়েটিকে খুবই নির্মম ভাবে নির্যাতন করছে, খুব দ্রুতই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পরে।

ভিডিওটি পুলিশের নজরে পরলে নির্যাতনকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। জানা যায় টিকটক অ্যাপ ব্যাবহার করে তাকে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে পাচার করে দেয় তারা ।

পুলিশ এর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে কিছু ভুক্তভোগী তাদের মধ্যে দুইজন এর সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের সাথে ও অনেকটা একই ভাবে ঘটে ঘটনাটি । ২ জনেরই ছিল টাকার দরকার ।

তাদের টিকটিক ও মেসেঞ্জারে এমন সময় কথা হয় আরও ২ টি ভারতীও মেয়ের সাথে যারা তাদের নিজের ভাল অবস্থার কথা জানায় ও তাদের চাকরি দেওার ওয়াদা করে তাদের পাচার করে দেয়।

এক এর পর এক এমন ঘটনার পর পুলিশ কোমর বেধে নামলে বাংলাদেশে ধরা পরে আরও একদল পাচারকারী এবং সামনে আসে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পুলিশ বলছে বাংলাদেশ এর সীমান্তবর্তী এলাকা সাতক্ষীরা,যশোর,ও ঝিনাইদহে পাচারকারীদের বেশ কিছু আস্তানা রয়েছে যেখানে তারা পাচার করার জন্য নিয়া আসা শিশু ও নারীদের রাখে এবং রাত হলে তাদের বাংলাদেশ – ভারত এর বর্ডার পার করিয়ে দেয়।

বর্ডার এর ওই পারে থাকে পাচারকারীর আরাকদল যাদের কাছে থাকে তাদের নকল ভারতীও পাসপোর্ট , আধার কাড ও যাবতীয় কাগজ নিয়ে তৈরি থাকে। সেখান থেকে প্লাইনে করে তাদের সরাসরি পাঠানো হয় বাঙ্গালুরুর আনন্দপুরে যেখানে এই পাচার চক্রের একটি বড় আস্তানা আসে বলে প্রমাণ পায় সেখানকার পুলিশ । তবে ভারতে এটিই তাদের এক মাত্র জায়গা নয় । চেন্নাইতে ও তাদের একটি বড় চক্র রয়েছে ।

ভারতের পুলিশ এই ঘটনা চক্রে গ্রেফতার করে মোট ১৩ জন এবং বাংলাদেশের পুলিশ গ্রেফতার করে আরও ১২ জনকে । তেজগাঁও বিভাগের উপ – পুলিশ কমিশনার জানায় ; এই চক্রটি এর থেকেও অনেক বড়, আরও ৫টি মামলা হয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছে তাদের আইনের আউতায় আনচে।

তিনি আরও বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন আরও কিছু মেয়ে হয়ত খুব তারতারিই পালিয়ে এসে আইনের আশ্রয় নিবে। ব্র্যাক এর হিসাব মতে ২০০৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ প্রজন্ত পাচার এর ঘটনায় মোট মামলা ৬,৭৩৫ টি এবং মোট ভুক্তভোগী ১২,৩২৪ জন ।

ভুক্তভোগীরা জানায় তাদের উপর এমন অমানবিক নির্যাতন করত তারা যা ভাষায় বলা সম্ভব না । তাদের এক জায়গায় বেশি দিন রাখা হত না। তাদের কিছু দিন পর পরই অন্ও জায়গায় পাঠানো হত ।

একদিন তাদের মধ্যে একজন সেই বাসার জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে আসে এবং ট্রেন নিয়ে কলকাতা তারপর বাংলাদেশ । তার আগে তার বড় বোন এবং তার সাথে তার সমবয়সী খালাকে ও পাচার করা হয়েছিল যাদের খোজ সে কখনই পায়নি ।

আরও পড়ুনঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ইয়াবা ও মাইক্রোসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক