রায়পুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লার স্তূপ, মানুষের দুর্ভোগ
- প্রকাশিত সময় ০৯:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
- / 142
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। নাকে কাপড় দিয়ে চলতে হয় পথচারীদের।
সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কাপড়ে নাক ঢেকে চলছে পথচারীরা। লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের গরুরবাজার এলাকায় প্রতিদিনের চিত্র এটি।
দালালবার ইউপির জায়গা হলেও সকল কিছুই তত্বাবধান করেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর পৌরসভা গঠিত হয়। ২৮.৫ বর্গ কিলোমিটারের ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে এ ‘ক শ্রেণী’র পৌরসভা ১৯৯৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
পৌর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবারে মানুষের বসবাস। পৌরসভায়.১০০জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। কিন্তু শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই।
এর ফলে প্রতিদিন.৪টি ট্রাক ও ৩০টি ট্রলিতে ভরে ময়লা এনে রায়পুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই ফেলছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা । পাশাপাশি সরকারি কলেজের দক্ষিনে, ফায়ার সার্ভিসের পশ্চিমে স্টিল ব্রীজের সামনেসহ ৪/৫ যায়গায়ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়।
পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মোঃ জুয়েল মোবাইলে বলেন, রায়পুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি ডোবা রয়েছে। সেটি ভরাট করার জন্যই ওই স্থানে ময়লা ফেলা হয়।
তবে এলাকাবাসী বলছেন, উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের পামে এভাবে ময়লা ফেলায় এলাকাবাসী ও পথচারিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর বাশার বলেন, মাসড়কের পাশে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা মোটেও ঠিক নয়। ময়লা-আবর্জনা থেকে এলাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। মশা-মাছি পোকামাকড় জন্ম নিচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমাদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে ওই স্থান দিয়ে যাওয়া কষ্টকর।’
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারাও এভাবে এলাকাবাসীকে কষ্ট দিতে চায় না। কিন্তু বিকল্প জায়গা না পাওয়ায় কিছুই করা যাচ্ছে না।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন ও সচিব মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজা হচ্ছে। নতুন জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত পৌর নাগরিকদের একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে।