ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

১৪ ঘণ্টারও উপরে করোনা আক্রান্ত লাস পড়েছিল নড়াইল হাসপাতালের মেঝেতে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
  • / 130

(জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে: নড়াইল সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মেঝেতে ১৪ ঘন্টা পড়েছিল হতভাগ্য মিজানুরের লাশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাশ পড়ে ছিল নড়াইল সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মেঝেতে। এ সময়ের মধ্যে কেউ লাশটির খোঁজ নিতে আসে নাই । এতে আশপাশের রোগীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দেয়। আর এ ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ইউনিটে খন্দকার মিজানুর রহমান (৫২) নামের একজনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটা পর্যন্ত সেখান থেকে লাশটি সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বজনেরা এসে লাশটি নিয়ে যান।

মারা যাওয়া খন্দকার মিজানুর রহমান নড়াইল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবা-মাজাইল গ্রামের খন্দকার নূরুল ইসলামের ছেলে।
বেলা আড়াইটার দিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ বলেন, জেলা পরিবার-পরিকল্পনার কার্যালয়ের এক কর্মীকে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

এ দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার করোনা ইউনিটে দেখা যায়, ৩০ শয্যার করোনা ইউনিট। সব কটি শয্যায় করোনা শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি আছেন। মেঝেতে লাশটি পড়ে আছে। লাশটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া। লাশ ঘিরে মাছি ওড়াউড়ি করছিল। লাশের পেট ফুলে গেছে।

লাশটির পাশের শয্যায় করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আজাদুর রহমান। তাঁর ছেলে ফজলে রাফি বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক অসুস্থ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে এই ইউনিটে নিয়ে আসেন। এর তিন ঘণ্টা পর রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

রোগী ও স্বজনেরা জানান, এভাবে একটি লাশ সামনে নিয়ে ভয়াবহ এক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। এতে মানসিক অবস্থা কেমন হয়? লাশটি এখান থেকে সরিয়ে রাখা যেত। হাসপাতালটির নার্স হেনা পারভীনের বাসায় ভাড়া ছিলেন খন্দকার মিজানুর রহমান। হেনা পারভীন বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকে তার বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন মিজানুর রহমান। তিনি বিয়ে করেননি। গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ হওয়ার খবর পান। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে তাকে ভর্তি করান। পরে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

বেলা একটার দিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এফ এম মশিউর রহমান স্বজনদের খবর দেওয়ার কথা জানান। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্বরত নার্স বাসনা সাহা বলেন, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বজনেরা এসে লাশটি নিয়ে গেছেন।

এ দিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা মিজানুর রহমানের লাশ হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকার ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না বলে সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

আরও পরুনঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্য বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টারও উপরে করোনা আক্রান্ত লাস পড়েছিল নড়াইল হাসপাতালের মেঝেতে

প্রকাশিত সময় ০১:৩৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১

(জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে: নড়াইল সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মেঝেতে ১৪ ঘন্টা পড়েছিল হতভাগ্য মিজানুরের লাশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাশ পড়ে ছিল নড়াইল সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মেঝেতে। এ সময়ের মধ্যে কেউ লাশটির খোঁজ নিতে আসে নাই । এতে আশপাশের রোগীদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দেয়। আর এ ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ইউনিটে খন্দকার মিজানুর রহমান (৫২) নামের একজনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া তিনটা পর্যন্ত সেখান থেকে লাশটি সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বজনেরা এসে লাশটি নিয়ে যান।

মারা যাওয়া খন্দকার মিজানুর রহমান নড়াইল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবা-মাজাইল গ্রামের খন্দকার নূরুল ইসলামের ছেলে।
বেলা আড়াইটার দিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ বলেন, জেলা পরিবার-পরিকল্পনার কার্যালয়ের এক কর্মীকে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

এ দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার করোনা ইউনিটে দেখা যায়, ৩০ শয্যার করোনা ইউনিট। সব কটি শয্যায় করোনা শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি আছেন। মেঝেতে লাশটি পড়ে আছে। লাশটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া। লাশ ঘিরে মাছি ওড়াউড়ি করছিল। লাশের পেট ফুলে গেছে।

লাশটির পাশের শয্যায় করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আজাদুর রহমান। তাঁর ছেলে ফজলে রাফি বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক অসুস্থ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে এই ইউনিটে নিয়ে আসেন। এর তিন ঘণ্টা পর রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

রোগী ও স্বজনেরা জানান, এভাবে একটি লাশ সামনে নিয়ে ভয়াবহ এক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। এতে মানসিক অবস্থা কেমন হয়? লাশটি এখান থেকে সরিয়ে রাখা যেত। হাসপাতালটির নার্স হেনা পারভীনের বাসায় ভাড়া ছিলেন খন্দকার মিজানুর রহমান। হেনা পারভীন বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকে তার বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন মিজানুর রহমান। তিনি বিয়ে করেননি। গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ হওয়ার খবর পান। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে তাকে ভর্তি করান। পরে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

বেলা একটার দিকে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এ এফ এম মশিউর রহমান স্বজনদের খবর দেওয়ার কথা জানান। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্বরত নার্স বাসনা সাহা বলেন, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্বজনেরা এসে লাশটি নিয়ে গেছেন।

এ দিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা মিজানুর রহমানের লাশ হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকার ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না বলে সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

আরও পরুনঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্য বরখাস্ত