সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নদ-নদীতে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা নিধন
- প্রকাশিত সময় ০৬:২১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
- / 169
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাহজাদপুর উপজেলায় বর্ষার পানি আসার সাথে সাথেই যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাইসহ
বিভিন্ন জলাসয়ে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মহোৎসব শুরু হয়েছে।
দেশি জাতের এই মাছ নিধন রোধে নীরব ভূমিকায় পালন করছে প্রশাসন । এ বিষয়ে সংস্লিষ্ট প্রশাসন ব্যাপক অর্থ ব্যয় করে প্রচারণা দিলেও কার্যত্ব সুফল মিলছে না মাঠ পর্যায়ে। নিয়মিত নজরদারি না থাকায় ভরা মৌসুমেও হাট-বাজারগুলোতে বড় মাছের আকাল দেখা দিয়েছে।
বর্ষার পানি নদ-নদীতে প্রবেশের সাথে সাথেই এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্য শিকারিরা সরকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি, বাদাই জাল ও মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে। হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এ সব দেশীয় প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ। এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না মৎস্য বিভাগ।
কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত ক’দিন হলো যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর,ধলাই চাকলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল,মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাদাই জাল, খৈলশুনিসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে।
বিশেষ করে শৈল ও টাকি মাছের পোনা মারতে মাতোয়ারা হয়ে উঠছেন তারা। আর করোনাকালীন অলস সময় পার করতে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাথী রানী নিয়োগী বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন আর মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এভাবে নদ-নদী থেকে নির্বিচারে পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন অব্যাহত থাকলে মাছের বংশবৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্বেগ ও জলজ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রজননের ভরা মৌসুমে এসব নদীতে পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নির্বিচারে নিধন বন্ধ করা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে নদীগুলোতে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র আকাল দেখা দেয়ার আশংকা করছেন বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।