ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দুর্দিন যাচ্ছে চিত্র শিল্পীদের

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
  • / 89
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ কথা গুলো শুনতে হয়তবা পুরনো লাগবে। কিন্ত তাদের দুঃখ গাঁথা অন্যের কাছে পুরনো হলেও তাদের কাছে হৃদয় বিদারক। ভূক্ত ভোগীরা জানান, ডিজিটাল ব্যানার শুধু আমাদেরই নয় – হত্যা করেছে জাতীর যুগ যুগ ধরে লালিত একটি ঐহিত্যবাহী শিল্পকেও। বলছিলাম আর্ট শিল্পীদের দূর্দিনের কথা।

কাঠে, টিনে কিংবা কাপড় সহ নানা স্থানে তারা তাদের পেশাভিত্তিক শিল্পকর্ম দেখাচ্ছেন সেই আদিকাল থেকেই। বিশ্বখ্যাত পুরনো যেসব ছবি আজও বিশ্বজুড়ে নন্দিত সেসব ছবি মূলত এ সব চিত্র শিল্পীর হাতের তুলির আঁচড়।

বিশ্বখ্যাত লিওনার্দো মোনালিসা কিংবা আদি কালের নবাব বাদশা থেকে শুরু করে আধুনিক কালের রবীন্দ্র- নজরুল-মধুসুদন সহ যে গুণী জনের ছবি আমরা এখনো দেখি তা মূলত আজকের অবহেলিত আর্ট শিল্পীদেরই অবদান। কিন্ত বিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল ব্যানার এসে তাদের কদর তো নেই-ই বরং তাদের পেটে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নও জোটে না।

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথা গুলো বললেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরের এক সময়ের ডাকসাইটে আর্টিস্ট আর্ট গ্যালারীর আর্টের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন আকন্দ। তিনি জানান,৫০বছর পূর্বে তিনি এ পেশায় আসেন। তার পর ৮/১০ জন সদস্য বিশিষ্ট সংসার মাছে-ভাতেই যাচ্ছিল। কিন্ত বাদ সাজে ডিজিটাল ব্যানার। ফলে কাজ নেই হাতে।

তার পুত্র মিল্টন আকন্দ জানান, তার সত্তরর্ধ পিতা বয়সের ভারে এ পেশা করতে না পারলেও পিতার হাতে গড়া আর্ট গ্যালারীতে তিনি কাজ করছেন। তিনি জানান, বাধ্য হয়েই এ পেশা ছাড়তে হবে। কিন্ত তার দুশ্চিন্তা কী করে চলবে সংসার।

একই অনুভূতি জানালেন,আর্টের মালিক আলতাব হোসেন, মিজান আর্টের মালিক মিজানুর রহমান। সবাই জানান, কোন রকমে দিন যায়। পেটে খায় ও পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করতে হয়, তাই সারা দিন দোকানে বসে থাকি, হয়তবা কোনো দিন কিছু রোজগার হয়, আবার কোন দিন শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়।

উপজেলার স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত, আর্ট শিল্পী স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এ ভাবে আর সংসার চলে না, এসে আমাদের রিজিক মারছে। মানুষ জন অতি অল্প সময় – ব্যয়ে করে ঝক-ঝকা ব্যানার ডিজিটাল মেশিনে তৈরী করে তাদের প্রয়োজন মিটাচ্ছে। এ পেশায় টিকে থাকার জন্য সরকারও আমাদের কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করছে না। তা হলে আমরা বাচঁব কী করে ?

তারা দাবি করে বলেন, আমরা সংখ্যায় অল্প। সরকার ইচ্ছা করলেই আমাদের কর্মসংস্থান করতে পারে। উপজেলার সচেতন মহলের দাবী ঐহিত্যবাহী এ পেশাটি ধরে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়ুনঃ পাবনা সদরে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

দুর্দিন যাচ্ছে চিত্র শিল্পীদের

প্রকাশিত সময় ০৯:২৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুলাই ২০২১
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ কথা গুলো শুনতে হয়তবা পুরনো লাগবে। কিন্ত তাদের দুঃখ গাঁথা অন্যের কাছে পুরনো হলেও তাদের কাছে হৃদয় বিদারক। ভূক্ত ভোগীরা জানান, ডিজিটাল ব্যানার শুধু আমাদেরই নয় – হত্যা করেছে জাতীর যুগ যুগ ধরে লালিত একটি ঐহিত্যবাহী শিল্পকেও। বলছিলাম আর্ট শিল্পীদের দূর্দিনের কথা।

কাঠে, টিনে কিংবা কাপড় সহ নানা স্থানে তারা তাদের পেশাভিত্তিক শিল্পকর্ম দেখাচ্ছেন সেই আদিকাল থেকেই। বিশ্বখ্যাত পুরনো যেসব ছবি আজও বিশ্বজুড়ে নন্দিত সেসব ছবি মূলত এ সব চিত্র শিল্পীর হাতের তুলির আঁচড়।

বিশ্বখ্যাত লিওনার্দো মোনালিসা কিংবা আদি কালের নবাব বাদশা থেকে শুরু করে আধুনিক কালের রবীন্দ্র- নজরুল-মধুসুদন সহ যে গুণী জনের ছবি আমরা এখনো দেখি তা মূলত আজকের অবহেলিত আর্ট শিল্পীদেরই অবদান। কিন্ত বিংশ শতাব্দীতে ডিজিটাল ব্যানার এসে তাদের কদর তো নেই-ই বরং তাদের পেটে দু’বেলা দু’মুঠো অন্নও জোটে না।

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথা গুলো বললেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরের এক সময়ের ডাকসাইটে আর্টিস্ট আর্ট গ্যালারীর আর্টের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন আকন্দ। তিনি জানান,৫০বছর পূর্বে তিনি এ পেশায় আসেন। তার পর ৮/১০ জন সদস্য বিশিষ্ট সংসার মাছে-ভাতেই যাচ্ছিল। কিন্ত বাদ সাজে ডিজিটাল ব্যানার। ফলে কাজ নেই হাতে।

তার পুত্র মিল্টন আকন্দ জানান, তার সত্তরর্ধ পিতা বয়সের ভারে এ পেশা করতে না পারলেও পিতার হাতে গড়া আর্ট গ্যালারীতে তিনি কাজ করছেন। তিনি জানান, বাধ্য হয়েই এ পেশা ছাড়তে হবে। কিন্ত তার দুশ্চিন্তা কী করে চলবে সংসার।

একই অনুভূতি জানালেন,আর্টের মালিক আলতাব হোসেন, মিজান আর্টের মালিক মিজানুর রহমান। সবাই জানান, কোন রকমে দিন যায়। পেটে খায় ও পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করতে হয়, তাই সারা দিন দোকানে বসে থাকি, হয়তবা কোনো দিন কিছু রোজগার হয়, আবার কোন দিন শূন্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়।

উপজেলার স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত, আর্ট শিল্পী স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এ ভাবে আর সংসার চলে না, এসে আমাদের রিজিক মারছে। মানুষ জন অতি অল্প সময় – ব্যয়ে করে ঝক-ঝকা ব্যানার ডিজিটাল মেশিনে তৈরী করে তাদের প্রয়োজন মিটাচ্ছে। এ পেশায় টিকে থাকার জন্য সরকারও আমাদের কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করছে না। তা হলে আমরা বাচঁব কী করে ?

তারা দাবি করে বলেন, আমরা সংখ্যায় অল্প। সরকার ইচ্ছা করলেই আমাদের কর্মসংস্থান করতে পারে। উপজেলার সচেতন মহলের দাবী ঐহিত্যবাহী এ পেশাটি ধরে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।

আরও পড়ুনঃ পাবনা সদরে উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ