ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:২০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / 156

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার ‘ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুকে বাল্যবিবাহ, হতে হলো লাশ’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সংম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য আমিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্য্যালয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে ভেড়ামারা দিয়ার পাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের কন্যা রাখী খাতুনের সাথে একই গ্রামের পূর্বপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর পুত্র সুজন আহম্মেদ এর সাথে পারিবারিক ভাবে মুসলিম শরিয়াহ আইনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে পুত্রবধূ হিসেবে তাদের বাড়িতে আসেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারে সুখে শান্তিইে দিন কাটতেছিল।

তার ছেলে চাকুরীর সুবাদে বাহিরে অবস্থান করত। এমতাবস্থায় ছেলে সুজনের অনুপস্থিতিতে পুত্রবধূ রাখী খাতুন তাদের বাড়ির ছেলেই নির্ধারিত শয়ন কক্ষেই বসবাস করত। ঘটনার দিনে গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে ওই শয়ন কক্ষে পুত্রবধূ রাখী খাতুন তার শয়ন কক্ষে তার আপন ছোট বোনের সাথে ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু ভোর রাতে হঠাৎ তার ছোট বোন কান্না করতে করতে ওই শয়ন ঘরের দরজা খুলে দেয় এবং বলতে থাকে তার বোন ও আমার পুত্রবধূ রাখী খাতুন গলায় ওড়না পোঁচিয়ে ডাবের সাথে ঝুলছে।

এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘরে গিয়ে তাকে গলায় ওড়না পোঁচানো অবস্থায় নিচে নামাই এবং স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকে খবর দিলে তিনি এসে পুত্রবধূ মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে আমাদেরকে অবগত করেন। তখন উপায় না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে জানতে পারি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

পক্ষান্তে রাখী খাতুনকে পুত্রবধূ হিসেবে আমাদের বাড়িতে আনার পর থেকেই আমাদের সন্তানের মতই তাকে আমরা দেখা শোনা করতাম। কিন্তু কি কারণে হঠাৎ আত্মহত্যার মত এহেন কাজ করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, সুজন মাহমুদ নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিধিমোতাবেক যাচাই বাছাই অন্তে চাকুরী পেয়েছেন। তার বিবাহে মোটা অঙ্কের যৌতুক নেওয়া হয়েছে একথা মোটেও সঠিক নয়। তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে তিনি শোকাহত।

তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে স্ত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন। পরিশেষে তাদের পুত্রবধূ ও সুজন মাহমুদকে নিয়ে মানহানিকর মনগড়া কথা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তার প্রতিবাদও জানান।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুকে বাল্যবিবাহ, অবশেষে হলো লাশ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত সময় ০২:২০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনার ‘ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুকে বাল্যবিবাহ, হতে হলো লাশ’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সংম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য আমিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্য্যালয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে ভেড়ামারা দিয়ার পাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের কন্যা রাখী খাতুনের সাথে একই গ্রামের পূর্বপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর পুত্র সুজন আহম্মেদ এর সাথে পারিবারিক ভাবে মুসলিম শরিয়াহ আইনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে পুত্রবধূ হিসেবে তাদের বাড়িতে আসেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারে সুখে শান্তিইে দিন কাটতেছিল।

তার ছেলে চাকুরীর সুবাদে বাহিরে অবস্থান করত। এমতাবস্থায় ছেলে সুজনের অনুপস্থিতিতে পুত্রবধূ রাখী খাতুন তাদের বাড়ির ছেলেই নির্ধারিত শয়ন কক্ষেই বসবাস করত। ঘটনার দিনে গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে ওই শয়ন কক্ষে পুত্রবধূ রাখী খাতুন তার শয়ন কক্ষে তার আপন ছোট বোনের সাথে ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু ভোর রাতে হঠাৎ তার ছোট বোন কান্না করতে করতে ওই শয়ন ঘরের দরজা খুলে দেয় এবং বলতে থাকে তার বোন ও আমার পুত্রবধূ রাখী খাতুন গলায় ওড়না পোঁচিয়ে ডাবের সাথে ঝুলছে।

এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘরে গিয়ে তাকে গলায় ওড়না পোঁচানো অবস্থায় নিচে নামাই এবং স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকে খবর দিলে তিনি এসে পুত্রবধূ মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে আমাদেরকে অবগত করেন। তখন উপায় না পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে জানতে পারি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

পক্ষান্তে রাখী খাতুনকে পুত্রবধূ হিসেবে আমাদের বাড়িতে আনার পর থেকেই আমাদের সন্তানের মতই তাকে আমরা দেখা শোনা করতাম। কিন্তু কি কারণে হঠাৎ আত্মহত্যার মত এহেন কাজ করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, সুজন মাহমুদ নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিধিমোতাবেক যাচাই বাছাই অন্তে চাকুরী পেয়েছেন। তার বিবাহে মোটা অঙ্কের যৌতুক নেওয়া হয়েছে একথা মোটেও সঠিক নয়। তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে তিনি শোকাহত।

তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে স্ত্রীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন। পরিশেষে তাদের পুত্রবধূ ও সুজন মাহমুদকে নিয়ে মানহানিকর মনগড়া কথা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তার প্রতিবাদও জানান।

আরও পড়ুনঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা যৌতুকে বাল্যবিবাহ, অবশেষে হলো লাশ