নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে ভারত থেকে পুশইন করা ৮ নারী পুরুষ আটক
- প্রকাশিত সময় ০৫:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
- / 79
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে ভারত থেকে পুশইন ৮ নারী পুরুষ আটকর সীমান্তে ভারত থেকে পুশইন করার পর ৮জন বাংলাদেশী নারী পুরুষকে আটক করে স্থানীয় সাপাহার থানায় সোপর্দ করেছে ১৬বিবিজি কোম্পানী হাপানিয়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।
মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে সাপাহার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করে বলে তারা জানান।
সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো: আজিজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, মঙ্গলবার অনুমান ভোর ৪টার দিকে হাপানিয়া সীমান্তের হরিণ মাঠ নামক এলাকা হতে টহলরত বিজিবি সদস্যরা ভারত থেকে পুশইন হয়ে আসায় ব্যক্তিদের আটক করে সকালে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করে।
বেশ কিছুদিন পূর্বে আটককৃত ব্যক্তিরা একত্রে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যদের হাতে আটকা পড়ে এবং ভারতীয় আইনে কলকাতার সেন্ট্রাল দমদম জেলখানায় জেল হাজত খাটার পর ছাড়া পেলে মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে সাপাহার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে পুশইন করে দেয় বলে বিজিবিরা জানান।
বিজিবির হাতে আটককৃত ব্যক্তিরা হচ্ছেন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জের আ: রহমান গাজীর ছেলে মো: জহুর আলী গাজী (৩৭), শ্যামনগরের শামসুর রহমান গাজীর ছেলে মো: হাসান আলী (৩২), শ্যামনগরের আবু হাসানের স্ত্রী মোসা: নুরনাহার বেগম (২৭) একই থান ও জেলার জহর আলী গাজীর মেয়ে মো: সালমা পারভীন (৩০)। জয়পুর হাট জেলার পাঁচবিবির মো: আতিয়ার রহমানের ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম (২৭), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মো: আলিফ খালাসীর মোয়ে মোসা: সেনিয়া খাতুন (২৫), ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ারী থানার জাহাঙ্গীর আকন্দ এর মেয়ে মোসা: সাদিয়া খন্দকার ইভা (২৪), কুড়ীগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার আবুল হোসেন এর মেয়ে মোসা: পপি আক্তার (২১)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৫২সালের কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি এ্যাক্ট এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এবিষয়ে ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আল মাহমুদের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিম্চিত করেন এবং তিনি জানান যেহেতু তারা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাই তাদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইন রেখে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কন্ট্রোল এন্ট্রি এক্ট ৪ ধারায় মামলা দিয়ে জেলা হাজতে প্ররণ করা হবে।