ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে নাপা ঔষধের চরম সঙ্কট

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:০০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • / 210

ঈশ্বরদী প্রতিনিধী: ঈশ্বরদী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা ওয়ান, নাপা ডল, নাপা রেপিড ও নাপা সিরাপের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

বেক্সিমকো কোম্পানী প্যারাসিটামল গ্রুপের এই ওষুধ নাপা নামে বাজারজাত করে। প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপার বিকল্প অন্যান্য কোম্পানীর বিভিন্ন নামে ট্যাবলেট ও সিরাপ থাকলেও সাধারণ মানুষের নাপাতেই আসক্তি। বেশী দাম দিয়ে হলেও নাপা চাই। নাপা ছাড়া অন্য কোম্পানীর প্যারাসিটামল কিনতে চায় না।

সাম্পতিক সময়ে ঈশ্বরদীতে করোনা আক্রান্তের হার আশংকাজনক বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিজিন্যাল জ্বর ও ইনফুয়েঞ্জায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। করোনাসহ সর্দি-জ্বরে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার হয়ে থকে।

বেশীরভাগই প্যারাসিটামল বলতে নাপাকেই বুঝে থাকে। আর প্রচারণা রয়েছে করোনা আক্রান্ত হলেই নাপা খেতে হবে। নাপা পাওয়া যাচ্ছে না এই সংবাদ প্রচারিত হলে অনেকেই কোন উপসর্গ ছাড়াই বিনা কারণে নাপা কেনার জন্য ঝুঁকে পড়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

দাশুড়িয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তার ছেলের হঠাৎ করে জ্বর এসেছে। নাপা বা নাপা এক্সটা ট্যাবলেট কেনার জন্য দাশুড়িয়া বাজারের ফার্মেসী ঘুরে কোথাও নাপা বা নাপা এক্সটা, নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট পাননি। পরে একটি ফার্মেসির পরামর্শে অন্য কোম্পানীর ওষুধ কিনতে বাধ্য হয়েছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি নাপা ট্যাবলেট ঈশ্বরদীতে সরবরাহ কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। দোকানে নাপা না পেয়ে মানুষ দিশেহারা। প্রয়োজন না থাকলেও বা অতিরিক্ত নাপা কেনার জন্য মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরছে। ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কোম্পানি কিছুদিন হলো তাদের নাপা সাপ্লাই দিচ্ছে না।

ঈশ্বরদী পৌর শহর, দাশুড়িয়া, আরামবাড়ীয়া, পাকশী, রূপপুর, আওতাপাড়া, মুলাডুলি,কালিকাপুর, জয়নগর, সাহাপুর এলাকার কোন ফার্মেসীতে নাপা পাওয়া যাচ্ছে না ।

শহরের কলেজ রোডের শুভ্র ফার্মেসীর মালিক জানান, নাপার সাপ্লাই কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। মানুষ পাগলের মতো নাপা খুঁজছে। বেশী দামেও নাপা কেনার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। আর বেশী দামে ওষুধ বিক্রির প্রশ্নই উঠে না।

স্কয়ারের এইচ, ওপসোনিনের রেনেভা, এরিস্ট্রোফার্মার এক্সপো, ইনসেপটার রিসেট, এসকেএফ কোমানীর তামেনসহ আরো অনেক কোম্পানীর প্যারাসিটামল গ্রুপের বিপুল ওষুধ বাজারে রয়েছে। কিন্তু খরিদ্দারের নাপাই চাই। কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে কথা হয়েছে, বুধবার নাপার সাপ্লাই আসতে পারে বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল বাতেন বলেন, প্যারাসিটামল গ্রুপের যে কোন কোম্পানির ওষুধ হলে একই কাজ হবে।

আরও পড়ুনঃ নীলফামারীতে এই লকডাউনে ভালো নেই রিকশা-ভ্যান চালকেরা

পাবনার ঈশ্বরদীতে নাপা ঔষধের চরম সঙ্কট

প্রকাশিত সময় ০৬:০০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

ঈশ্বরদী প্রতিনিধী: ঈশ্বরদী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা ওয়ান, নাপা ডল, নাপা রেপিড ও নাপা সিরাপের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

বেক্সিমকো কোম্পানী প্যারাসিটামল গ্রুপের এই ওষুধ নাপা নামে বাজারজাত করে। প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপার বিকল্প অন্যান্য কোম্পানীর বিভিন্ন নামে ট্যাবলেট ও সিরাপ থাকলেও সাধারণ মানুষের নাপাতেই আসক্তি। বেশী দাম দিয়ে হলেও নাপা চাই। নাপা ছাড়া অন্য কোম্পানীর প্যারাসিটামল কিনতে চায় না।

সাম্পতিক সময়ে ঈশ্বরদীতে করোনা আক্রান্তের হার আশংকাজনক বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিজিন্যাল জ্বর ও ইনফুয়েঞ্জায় অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। করোনাসহ সর্দি-জ্বরে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার হয়ে থকে।

বেশীরভাগই প্যারাসিটামল বলতে নাপাকেই বুঝে থাকে। আর প্রচারণা রয়েছে করোনা আক্রান্ত হলেই নাপা খেতে হবে। নাপা পাওয়া যাচ্ছে না এই সংবাদ প্রচারিত হলে অনেকেই কোন উপসর্গ ছাড়াই বিনা কারণে নাপা কেনার জন্য ঝুঁকে পড়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

দাশুড়িয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তার ছেলের হঠাৎ করে জ্বর এসেছে। নাপা বা নাপা এক্সটা ট্যাবলেট কেনার জন্য দাশুড়িয়া বাজারের ফার্মেসী ঘুরে কোথাও নাপা বা নাপা এক্সটা, নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট পাননি। পরে একটি ফার্মেসির পরামর্শে অন্য কোম্পানীর ওষুধ কিনতে বাধ্য হয়েছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি নাপা ট্যাবলেট ঈশ্বরদীতে সরবরাহ কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। দোকানে নাপা না পেয়ে মানুষ দিশেহারা। প্রয়োজন না থাকলেও বা অতিরিক্ত নাপা কেনার জন্য মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরছে। ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কোম্পানি কিছুদিন হলো তাদের নাপা সাপ্লাই দিচ্ছে না।

ঈশ্বরদী পৌর শহর, দাশুড়িয়া, আরামবাড়ীয়া, পাকশী, রূপপুর, আওতাপাড়া, মুলাডুলি,কালিকাপুর, জয়নগর, সাহাপুর এলাকার কোন ফার্মেসীতে নাপা পাওয়া যাচ্ছে না ।

শহরের কলেজ রোডের শুভ্র ফার্মেসীর মালিক জানান, নাপার সাপ্লাই কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। মানুষ পাগলের মতো নাপা খুঁজছে। বেশী দামেও নাপা কেনার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে। আর বেশী দামে ওষুধ বিক্রির প্রশ্নই উঠে না।

স্কয়ারের এইচ, ওপসোনিনের রেনেভা, এরিস্ট্রোফার্মার এক্সপো, ইনসেপটার রিসেট, এসকেএফ কোমানীর তামেনসহ আরো অনেক কোম্পানীর প্যারাসিটামল গ্রুপের বিপুল ওষুধ বাজারে রয়েছে। কিন্তু খরিদ্দারের নাপাই চাই। কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে কথা হয়েছে, বুধবার নাপার সাপ্লাই আসতে পারে বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল বাতেন বলেন, প্যারাসিটামল গ্রুপের যে কোন কোম্পানির ওষুধ হলে একই কাজ হবে।

আরও পড়ুনঃ নীলফামারীতে এই লকডাউনে ভালো নেই রিকশা-ভ্যান চালকেরা