ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মানবিকতার দৃষ্টান্ত ফরিদপুর পুলিশের এস আই আজাদ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:১৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • / 137

ফরিদপুর প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী এখন অচেনা। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো গ্রহটাই যেন লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে।

প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অনেকে অন্যের সাহায্যে ছুটে যাচ্ছেন। বাংলাদেশেও অনেকে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমন অনেক মানিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সৎ ও নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা।

এমনই এক মানবিক পুলিশ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের কাছে তিনি মানবিক পুলিশ নামেই পরিচিত। পেশাগত কাজের বাইরেও অনেক কাজ করেন তিনি।

যেমন তিনি গত বছর কঠোর লকডাউনে একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু যখন বাইরে বের হয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে খাবারের সন্ধানে যাচ্ছিল তখন পুলিশের চেক পোস্টের সামনে দাড়ালে কর্তব্যরত ভাঙ্গা পুলিশের এস আই আজাদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কেন বের হয়েছো? তার উত্তরে বাচ্চা টি বলে ঘরে খাবার নাই আব্বার কাজ নাই তাই খাবার খোঁজে যাচ্ছিলাম।

এই কথা শুনে এস আই আজাদ নিজের উদ্যোগে ভাঙ্গা থানা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটির পরিবার কে এক মাসের রেশন কিনে দেন।আবার গত জুন মাসে এক বৃদ্ধা বাক প্রতিবন্ধী নারীর ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিয়েছি “ভাঙ্গা থানা পুলিশ”এস আই আজাদের উদ্যোগে ।

গত মে মাসে হারিয়ে যাওয়া বাক-প্রতিবন্ধি শিশু দিদারুলকে নিজ দায়িত্ব তার বাড়ি ও বাবা মায়ের ঠিকানা সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেন তার পরিবারের কাছে। এই করোনায় ভাঙ্গা থানার বিভিন্ন অসহায় মানুষদের সাহায্য করে যাচ্ছেন নিরন্তর।

বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল সদিচ্ছা থাকলে এভাবেই বুঝি নিঃস্বার্থ হওয়া যায়। এভাবেই বুঝি প্রমাণ করা যায় শুধু একজন মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বদলে দিতে পারে আরেকজন অসহায় মানুষের অবস্থা। আর সেই মানুষ টা যদি পুলিশ হয় তবে তো আর কোন কথাই নয়।

এস আই আজাদ তার এগারো বছরের পেশাগত কাজে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তার কর্ম জীবনে। গত এগারো বছর সার্ভিস লাইফে তার বেশ সুনাম আছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মধ্যেও বিকাশ প্রতারক দের কাছে এস আই আজাদ আতঙ্কের নাম। ফিল্ম স্টাইলে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ মাদক ব্যবসায়ীদের কাল হয়ে দাঁড়িয়ে ভাঙ্গা থানা জনগণকে দিচ্ছে নিরাপত্তা।

এস আই আজাদ সোনারগাঁ থানায় কর্তব্য কালীন সময়ে নিজের কষ্টার্জিত অর্থে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি গ্রামের দুস্থ অসহায় ৭৫ বছর বয়স্ক রূপবাহারের জন্য একটি আদর্শ বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি।

বৃদ্ধাএই নারীর জন্য নিজের ভবিষ্যতের জন্য জমাকৃত তহবিল (জিপিএফ) থেকে টাকা উত্তোলন করে তিনি এই বাড়িটি নির্মাণে ব্যয় করেন। বছর খানেক আগে স্বামী মারা গেলে নিঃসন্তান রূপবাহার অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছিলেন রূপবাহার।

খবর পেয়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঝুপড়ি ঘর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এএসআই আবুল কালাম আজাদ। অসহায় বৃদ্ধার প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আহবান জানান বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর।

সেই আহবানে সাড়া দিয়ে উপজেলা প্রশাসন রূপবানকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও কিছু নগদ সাহায্য প্রদান করে।এসআই আজাদের এই মানবিক কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সবার কাছে। পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নয়নেও এটি একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে ভাঙ্গা থানার জনগণ মনে করেন।

মানবিকতার দৃষ্টান্ত ফরিদপুর পুলিশের এস আই আজাদ

প্রকাশিত সময় ০৮:১৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

ফরিদপুর প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী এখন অচেনা। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো গ্রহটাই যেন লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে।

প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে অনেকে অন্যের সাহায্যে ছুটে যাচ্ছেন। বাংলাদেশেও অনেকে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমন অনেক মানিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সৎ ও নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা।

এমনই এক মানবিক পুলিশ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের কাছে তিনি মানবিক পুলিশ নামেই পরিচিত। পেশাগত কাজের বাইরেও অনেক কাজ করেন তিনি।

যেমন তিনি গত বছর কঠোর লকডাউনে একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু যখন বাইরে বের হয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে খাবারের সন্ধানে যাচ্ছিল তখন পুলিশের চেক পোস্টের সামনে দাড়ালে কর্তব্যরত ভাঙ্গা পুলিশের এস আই আজাদ তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কেন বের হয়েছো? তার উত্তরে বাচ্চা টি বলে ঘরে খাবার নাই আব্বার কাজ নাই তাই খাবার খোঁজে যাচ্ছিলাম।

এই কথা শুনে এস আই আজাদ নিজের উদ্যোগে ভাঙ্গা থানা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটির পরিবার কে এক মাসের রেশন কিনে দেন।আবার গত জুন মাসে এক বৃদ্ধা বাক প্রতিবন্ধী নারীর ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিয়েছি “ভাঙ্গা থানা পুলিশ”এস আই আজাদের উদ্যোগে ।

গত মে মাসে হারিয়ে যাওয়া বাক-প্রতিবন্ধি শিশু দিদারুলকে নিজ দায়িত্ব তার বাড়ি ও বাবা মায়ের ঠিকানা সংগ্রহ করে ফিরিয়ে দেন তার পরিবারের কাছে। এই করোনায় ভাঙ্গা থানার বিভিন্ন অসহায় মানুষদের সাহায্য করে যাচ্ছেন নিরন্তর।

বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল সদিচ্ছা থাকলে এভাবেই বুঝি নিঃস্বার্থ হওয়া যায়। এভাবেই বুঝি প্রমাণ করা যায় শুধু একজন মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বদলে দিতে পারে আরেকজন অসহায় মানুষের অবস্থা। আর সেই মানুষ টা যদি পুলিশ হয় তবে তো আর কোন কথাই নয়।

এস আই আজাদ তার এগারো বছরের পেশাগত কাজে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তার কর্ম জীবনে। গত এগারো বছর সার্ভিস লাইফে তার বেশ সুনাম আছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মধ্যেও বিকাশ প্রতারক দের কাছে এস আই আজাদ আতঙ্কের নাম। ফিল্ম স্টাইলে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ মাদক ব্যবসায়ীদের কাল হয়ে দাঁড়িয়ে ভাঙ্গা থানা জনগণকে দিচ্ছে নিরাপত্তা।

এস আই আজাদ সোনারগাঁ থানায় কর্তব্য কালীন সময়ে নিজের কষ্টার্জিত অর্থে সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি গ্রামের দুস্থ অসহায় ৭৫ বছর বয়স্ক রূপবাহারের জন্য একটি আদর্শ বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি।

বৃদ্ধাএই নারীর জন্য নিজের ভবিষ্যতের জন্য জমাকৃত তহবিল (জিপিএফ) থেকে টাকা উত্তোলন করে তিনি এই বাড়িটি নির্মাণে ব্যয় করেন। বছর খানেক আগে স্বামী মারা গেলে নিঃসন্তান রূপবাহার অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছিলেন রূপবাহার।

খবর পেয়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঝুপড়ি ঘর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এএসআই আবুল কালাম আজাদ। অসহায় বৃদ্ধার প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আহবান জানান বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর।

সেই আহবানে সাড়া দিয়ে উপজেলা প্রশাসন রূপবানকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও কিছু নগদ সাহায্য প্রদান করে।এসআই আজাদের এই মানবিক কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সবার কাছে। পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নয়নেও এটি একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে ভাঙ্গা থানার জনগণ মনে করেন।